সম্পাদকীয়
বিনোদিনী দাসী একটি আত্মকাহিনি লিখেছিলেন। সে কাহিনি লিখতে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরই শিক্ষাগুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষ। লেখা শেষ হলে বিনোদিনী সেই পাণ্ডুলিপি দেখতে দিলেন গুরুকে। খুবই মনোযোগ দিয়ে সে লেখা পড়লেন গিরিশচন্দ্র। তারপর কোন কোন জায়গায় কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আনতে হবে, সে কথা বলে দিলেন। তারপর বললেন, ‘তোমার সরলভাবে লিখিত সাদা ভাষায় যে সৌন্দর্য আছে, কাটাকুটি করে পরিবর্তন করলে তা নষ্ট হবে। তুমি যেমন লিখেছ, সেভাবেই ছাপিয়ে দাও। আমি তোমার বইয়ের ভূমিকা লিখে দেব।’
গিরিশচন্দ্র বইটির ভূমিকা লিখে বিনোদিনীকে দিলেন। কিন্তু সেটা বিনোদিনীর মনঃপূত হলো না। লেখাটি ভালো। সেই ভূমিকায় অনেকগুলো সত্যের উপস্থিতি ছিল না বলে বিনোদিনীর আপত্তি ছিল। কেন সত্য কথাগুলো শিক্ষাগুরু লেখেননি, সে কথা গিরিশচন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চাইলেন বিনোদিনী। গিরিশ বললেন, ‘সত্য যদি অপ্রিয় ও কটু হয়, তাহলে তা সব সময় প্রকাশ করা উচিত নয়।’
সে সময় অভিমানে বিনোদিনীর হৃদয় পূর্ণ। গিরিশ তাঁর স্বভাবের উদারতা দিয়েই বিনোদিনীকে স্নেহের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সে কথা বুঝতেন বিনোদিনী। কিন্তু অভিমানের কারণে রুগ্ণ দেহে রোগশয্যায় থাকা গিরিশকে তিনি নতুন করে সব সত্য প্রকাশ করে আবার একটি ভূমিকা লিখে দিতে বললেন। এমন জোর দিয়ে তিনি নতুন ভূমিকা চাইলেন যে গিরিশচন্দ্র নতুন করে ভূমিকা লিখবেন বলে কথা দিলেন।
বিনোদিনী ভেবেছিলেন, তাঁর শিক্ষাগুরু ও সে সময়ের সেরা অভিনেতা যদি সব ঘটনা ভূমিকায় উল্লেখ না করেন, তাহলে বিনোদিনীর আত্মকাহিনি লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। স্নেহের সুরে গিরিশ বললেন, ‘তোমার ভূমিকা লিখে না দিয়ে আমি মরব না।’
কিন্তু গিরিশ তাঁর কথা রাখতে পারেননি। ভূমিকা লেখার আগেই তিনি মারা গেলেন। তখন আগে লেখা ভূমিকাটির খোঁজ পড়ল। সেটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন অবিনাশচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম সংস্করণে বিনোদিনী ভূমিকাটি ছাপেননি, সেই ভূমিকাটাই পরে ছাপা হয়েছিল বইটির নতুন সংস্করণে।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, ভূমিকা
বিনোদিনী দাসী একটি আত্মকাহিনি লিখেছিলেন। সে কাহিনি লিখতে অনুরোধ করেছিলেন তাঁরই শিক্ষাগুরু গিরিশচন্দ্র ঘোষ। লেখা শেষ হলে বিনোদিনী সেই পাণ্ডুলিপি দেখতে দিলেন গুরুকে। খুবই মনোযোগ দিয়ে সে লেখা পড়লেন গিরিশচন্দ্র। তারপর কোন কোন জায়গায় কিঞ্চিৎ পরিবর্তন আনতে হবে, সে কথা বলে দিলেন। তারপর বললেন, ‘তোমার সরলভাবে লিখিত সাদা ভাষায় যে সৌন্দর্য আছে, কাটাকুটি করে পরিবর্তন করলে তা নষ্ট হবে। তুমি যেমন লিখেছ, সেভাবেই ছাপিয়ে দাও। আমি তোমার বইয়ের ভূমিকা লিখে দেব।’
গিরিশচন্দ্র বইটির ভূমিকা লিখে বিনোদিনীকে দিলেন। কিন্তু সেটা বিনোদিনীর মনঃপূত হলো না। লেখাটি ভালো। সেই ভূমিকায় অনেকগুলো সত্যের উপস্থিতি ছিল না বলে বিনোদিনীর আপত্তি ছিল। কেন সত্য কথাগুলো শিক্ষাগুরু লেখেননি, সে কথা গিরিশচন্দ্র ঘোষের কাছে জানতে চাইলেন বিনোদিনী। গিরিশ বললেন, ‘সত্য যদি অপ্রিয় ও কটু হয়, তাহলে তা সব সময় প্রকাশ করা উচিত নয়।’
সে সময় অভিমানে বিনোদিনীর হৃদয় পূর্ণ। গিরিশ তাঁর স্বভাবের উদারতা দিয়েই বিনোদিনীকে স্নেহের প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সে কথা বুঝতেন বিনোদিনী। কিন্তু অভিমানের কারণে রুগ্ণ দেহে রোগশয্যায় থাকা গিরিশকে তিনি নতুন করে সব সত্য প্রকাশ করে আবার একটি ভূমিকা লিখে দিতে বললেন। এমন জোর দিয়ে তিনি নতুন ভূমিকা চাইলেন যে গিরিশচন্দ্র নতুন করে ভূমিকা লিখবেন বলে কথা দিলেন।
বিনোদিনী ভেবেছিলেন, তাঁর শিক্ষাগুরু ও সে সময়ের সেরা অভিনেতা যদি সব ঘটনা ভূমিকায় উল্লেখ না করেন, তাহলে বিনোদিনীর আত্মকাহিনি লেখাটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। স্নেহের সুরে গিরিশ বললেন, ‘তোমার ভূমিকা লিখে না দিয়ে আমি মরব না।’
কিন্তু গিরিশ তাঁর কথা রাখতে পারেননি। ভূমিকা লেখার আগেই তিনি মারা গেলেন। তখন আগে লেখা ভূমিকাটির খোঁজ পড়ল। সেটা যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন অবিনাশচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম সংস্করণে বিনোদিনী ভূমিকাটি ছাপেননি, সেই ভূমিকাটাই পরে ছাপা হয়েছিল বইটির নতুন সংস্করণে।
সূত্র: বিনোদিনী দাসী, আমার কথা ও অন্যান্য রচনা, ভূমিকা
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে