শাকিলা ববি, সিলেট
‘ই বছর ধান ভালা অইছিল। কত স্বপ্ন দেখছিলাম ধান তুলিয়া ঈদ করমু। বাড়ির তুরা কাম করাইমু। আল্লাহ নিলা গিয়া সবতা। অখন স্বপ্ন পচিয়া গন্ধ বাইর অর। ১০ কেয়ার (৩ একর) খেত লাগাইছলাম, মনে খরছিলাম এখ শ মণ ধান পাইমু। আল্লাহ কপালে এক মনও রাখলা না। বাচ্চাকাচ্চা লইয়া কিলান চলমু মাতায় কাম করের না।’ কথাগুলো বলছিলেন সিলেট সদর উপজেলার ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের পিঠাকড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারিক।
সরিষাকারন্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘দুই একর জমিতে চাষ করেছিলাম, সব ধান পচে শেষ। এই বছর ধার-দেনা করে বোরো চাষ করেছিলাম। পথ দেখছি না। নিজের ধানগুলো গরুকে খাওয়ানোরও উপায় নেই। এদিকে মেয়ের জামাইর চাষ করা অল্প কিছু ধান এখনো ভালো আছে। তাই কেটে ঘরে তুলতে তাদের সাহায্য করতে এসেছি।’
গত কয়েক দিন আগে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ধান। বিশেষ করে উপজেলার ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের উফতা নয়া বিলের হাওরে ধানই বেশি তলিয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে প্রায় ৮০ হেক্টর ধানের জমি। এখন প্রায় ২০ হেক্টর ধান পানিতে নিমজ্জিত আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উফতা নয়া বিলের হাওর অপেক্ষাকৃত নিচু। তাই প্রতি বছরই বর্ষা শুরুর আগেই পানি হাওরে প্রবেশ করে। এই এলাকায় বেড়িবাঁধ প্রয়োজন। দুই বছর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের কাছে গ্রামের মানুষ মিলে উফতার হাওরে বেড়িবাঁধের জন্য লিখিত আবেদন করেন। এই আবেদনের কপি পানি উন্নয়ন বোর্ডেও জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যক্রমই গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের উফতা নয়া বিলের হাওরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান ভেসে উঠেছে। তবে ধানের বেশির ভাগই পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অনেকেই জমিতে পচে যাওয়া ধান কেটে ফেলছেন। অনেকে আধা পাকা ধানও কেটে ফেলছেন।
ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য ছায়ারুন নেছা বলেন, এই এলাকা নিচু হওয়ায় আর বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছরই বর্ষা শুরুর আগেই পানি প্রবেশ করে হাওরে। যদি বাঁধ দেওয়া হতো তাহলে আজ এসব কৃষকের এই দুর্ভোগ হতো না।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৮০ হেক্টর ধানের জমি। এখনো প্রায় ২০ হেক্টর ধান পানিতে নিমজ্জিত আছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আরও কিছু পানি নেমে গেলে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। তবে যে ধান পানির নিচে ছিল সেটাতো আর রক্ষা করা যাবে না। তবে যাদের জমির ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে তাঁদের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।’
‘ই বছর ধান ভালা অইছিল। কত স্বপ্ন দেখছিলাম ধান তুলিয়া ঈদ করমু। বাড়ির তুরা কাম করাইমু। আল্লাহ নিলা গিয়া সবতা। অখন স্বপ্ন পচিয়া গন্ধ বাইর অর। ১০ কেয়ার (৩ একর) খেত লাগাইছলাম, মনে খরছিলাম এখ শ মণ ধান পাইমু। আল্লাহ কপালে এক মনও রাখলা না। বাচ্চাকাচ্চা লইয়া কিলান চলমু মাতায় কাম করের না।’ কথাগুলো বলছিলেন সিলেট সদর উপজেলার ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের পিঠাকড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারিক।
সরিষাকারন্দি গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির বলেন, ‘দুই একর জমিতে চাষ করেছিলাম, সব ধান পচে শেষ। এই বছর ধার-দেনা করে বোরো চাষ করেছিলাম। পথ দেখছি না। নিজের ধানগুলো গরুকে খাওয়ানোরও উপায় নেই। এদিকে মেয়ের জামাইর চাষ করা অল্প কিছু ধান এখনো ভালো আছে। তাই কেটে ঘরে তুলতে তাদের সাহায্য করতে এসেছি।’
গত কয়েক দিন আগে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় সিলেট সদর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের ধান। বিশেষ করে উপজেলার ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের উফতা নয়া বিলের হাওরে ধানই বেশি তলিয়েছে। সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৫০ হেক্টর। পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়েছে প্রায় ৮০ হেক্টর ধানের জমি। এখন প্রায় ২০ হেক্টর ধান পানিতে নিমজ্জিত আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উফতা নয়া বিলের হাওর অপেক্ষাকৃত নিচু। তাই প্রতি বছরই বর্ষা শুরুর আগেই পানি হাওরে প্রবেশ করে। এই এলাকায় বেড়িবাঁধ প্রয়োজন। দুই বছর আগে উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের কাছে গ্রামের মানুষ মিলে উফতার হাওরে বেড়িবাঁধের জন্য লিখিত আবেদন করেন। এই আবেদনের কপি পানি উন্নয়ন বোর্ডেও জমা দেওয়া হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যক্রমই গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ৩ নম্বর খাদিমনগর ইউনিয়নের উফতা নয়া বিলের হাওরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া বোরো ধান ভেসে উঠেছে। তবে ধানের বেশির ভাগই পচে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। অনেকেই জমিতে পচে যাওয়া ধান কেটে ফেলছেন। অনেকে আধা পাকা ধানও কেটে ফেলছেন।
ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারী সদস্য ছায়ারুন নেছা বলেন, এই এলাকা নিচু হওয়ায় আর বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছরই বর্ষা শুরুর আগেই পানি প্রবেশ করে হাওরে। যদি বাঁধ দেওয়া হতো তাহলে আজ এসব কৃষকের এই দুর্ভোগ হতো না।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, ‘পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে প্রায় ৮০ হেক্টর ধানের জমি। এখনো প্রায় ২০ হেক্টর ধান পানিতে নিমজ্জিত আছে। ক্ষয়ক্ষতি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আরও কিছু পানি নেমে গেলে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাবে। তবে যে ধান পানির নিচে ছিল সেটাতো আর রক্ষা করা যাবে না। তবে যাদের জমির ৮০ ভাগ ধান পেকে গেছে তাঁদের ধান কেটে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৫ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪