শামিমুজ্জামান, খুলনা
একসময় খুলনা অঞ্চলের সম্ভাবনা জাগানো সাদা সোনাখ্যাত গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ববাজারে দিন দিন কমছে। ৫ বছর ধরে অব্যাহতভাবে কমছে চিংড়ি রপ্তানি। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার খুলনা অঞ্চলের (খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট) চিংড়ি থেকে প্রায় ৯ কোটি ডলার আয় কমেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা ও চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় তা আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বিদেশে নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে।
খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪ হাজার ১০০ টন, আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৯ হাজার ৯০০ টন।
পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর কমছে খুলনা থেকে চিংড়ি রপ্তানি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৩৬৭ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৬৮ টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৪ হাজার ৪১৩ টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এই সময় বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৫ ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০ কোটি ৭১ লাখ ২৭ হাজার ৭১৭ ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৭২ ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৭ কোটি ১৩ লাখ ৯ হাজার ২১ ডলার।
এ ব্যাপারে খুলনা ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, করোনা মহামারির ধাক্কা এবং এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা চলছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চিংড়ি রপ্তানি কমে গেছে। শুধু রয়েছে ইউরোপের বাজার। খুলনার বাগদা চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় রপ্তানি কমেছে। তিনি বলেন, প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ির দাম ১৫-২০ ডলার। তবে সমপরিমাণ ভেনামি চিংড়ির দাম প্রতি কেজি ৫-৬ ডলার। বাগদার দাম বেশি হওয়ায় রপ্তানি কমেছে। এভাবে চললে চিংড়ি রপ্তানিতে ধস নামবে। বেকার হবেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লাখ কর্মী। সুদিন ফিরিয়ে আনতে ভেনামি চিংড়ির চাষ বাড়াতে হবে; পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
বাংলাদেশ সি ফুড বায়িং এজেন্ট এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ বলেন, চিংড়ির গুণগত মান বাড়াতে হবে; পাশাপাশি দাম কমাতে হবে। তবে বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। তাই দাম কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু ভেনামির দাম কম। স্বাভাবিকভাবে ক্রেতারা ভেনামির দিকে ঝুঁকছেন।
এদিকে চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার কমে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে। চাষিরা ফ্যাক্টরিতে চিংড়ি বিক্রি করতে না পেরে কম দামে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। এতে লাভ হচ্ছে কম।
বটিয়াঘাটার চিংড়িচাষি সাগর মণ্ডল বলেন, আগে ফ্যাক্টরিতে চিংড়ি সরবরাহ হতো। মালিকদের প্রতিনিধি মৌসুমের শুরুতে যোগাযোগ করতেন চিংড়ি কেনার জন্য। নির্ধারিত ক্রেতা ছিল। এই বছর ফ্যাক্টরি কিনছে কম। নির্ধারিত ক্রেতা নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে চিংড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দাম পাওয়া যাচ্ছে কম।
অপর চাষি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরও ফ্যাক্টরির প্রতিনিধিরা চাষিদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন চিংড়ি কেনার জন্য। কিন্তু এই বছর চিত্র উল্টো। এবার ফ্যাক্টরিতে যোগাযোগ করেও চিংড়ি বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয়
বাজারে কম দামে চিংড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।’
অন্যদিকে খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, কম খরচে বেশি চিংড়ি উৎপাদন করতে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কম খরচে বেশি উৎপাদিত হয়; পাশাপাশি ভেনামি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিংড়ির নতুন বাজারও খোঁজা হচ্ছে।
একসময় খুলনা অঞ্চলের সম্ভাবনা জাগানো সাদা সোনাখ্যাত গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাহিদা বিশ্ববাজারে দিন দিন কমছে। ৫ বছর ধরে অব্যাহতভাবে কমছে চিংড়ি রপ্তানি। গত অর্থবছরের তুলনায় এবার খুলনা অঞ্চলের (খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট) চিংড়ি থেকে প্রায় ৯ কোটি ডলার আয় কমেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, অর্থনৈতিক মন্দা ও চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় তা আন্তর্জাতিক বাজার হারাচ্ছে। তবে মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চিংড়ি রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বিদেশে নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে।
খুলনা মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪ হাজার ১০০ টন, আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ১৯ হাজার ৯০০ টন।
পরিসংখ্যান বলছে, পাঁচ বছর ধরে প্রতিবছর কমছে খুলনা থেকে চিংড়ি রপ্তানি। ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৩৬৭ টন, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৩ হাজার ৬৮ টন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৪ হাজার ৪১৩ টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। এই সময় বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১ কোটি ৯২ লাখ ৯৪ হাজার ৬১৫ ডলার, ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩০ কোটি ৭১ লাখ ২৭ হাজার ৭১৭ ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৬ কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৭২ ডলার, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২৭ কোটি ১৩ লাখ ৯ হাজার ২১ ডলার।
এ ব্যাপারে খুলনা ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক মো. তরিকুল ইসলাম জহির বলেন, করোনা মহামারির ধাক্কা এবং এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা চলছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রে চিংড়ি রপ্তানি কমে গেছে। শুধু রয়েছে ইউরোপের বাজার। খুলনার বাগদা চিংড়ির দাম বেশি হওয়ায় রপ্তানি কমেছে। তিনি বলেন, প্রতি কেজি বাগদা চিংড়ির দাম ১৫-২০ ডলার। তবে সমপরিমাণ ভেনামি চিংড়ির দাম প্রতি কেজি ৫-৬ ডলার। বাগদার দাম বেশি হওয়ায় রপ্তানি কমেছে। এভাবে চললে চিংড়ি রপ্তানিতে ধস নামবে। বেকার হবেন এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কয়েক লাখ কর্মী। সুদিন ফিরিয়ে আনতে ভেনামি চিংড়ির চাষ বাড়াতে হবে; পাশাপাশি নতুন বাজার সৃষ্টি করতে হবে।
বাংলাদেশ সি ফুড বায়িং এজেন্ট এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ বলেন, চিংড়ির গুণগত মান বাড়াতে হবে; পাশাপাশি দাম কমাতে হবে। তবে বাগদা ও গলদা চিংড়ির উৎপাদন খরচ অনেক বেশি। তাই দাম কমানো সম্ভব নয়। কিন্তু ভেনামির দাম কম। স্বাভাবিকভাবে ক্রেতারা ভেনামির দিকে ঝুঁকছেন।
এদিকে চিংড়ির আন্তর্জাতিক বাজার কমে যাওয়ায় বিরূপ প্রভাব পড়েছে প্রান্তিক পর্যায়ে। চাষিরা ফ্যাক্টরিতে চিংড়ি বিক্রি করতে না পেরে কম দামে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছেন। এতে লাভ হচ্ছে কম।
বটিয়াঘাটার চিংড়িচাষি সাগর মণ্ডল বলেন, আগে ফ্যাক্টরিতে চিংড়ি সরবরাহ হতো। মালিকদের প্রতিনিধি মৌসুমের শুরুতে যোগাযোগ করতেন চিংড়ি কেনার জন্য। নির্ধারিত ক্রেতা ছিল। এই বছর ফ্যাক্টরি কিনছে কম। নির্ধারিত ক্রেতা নেই। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয় বাজারে চিংড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে দাম পাওয়া যাচ্ছে কম।
অপর চাষি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত বছরও ফ্যাক্টরির প্রতিনিধিরা চাষিদের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন চিংড়ি কেনার জন্য। কিন্তু এই বছর চিত্র উল্টো। এবার ফ্যাক্টরিতে যোগাযোগ করেও চিংড়ি বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফ্যাক্টরিতে বিক্রি করতে না পেরে স্থানীয়
বাজারে কম দামে চিংড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের।’
অন্যদিকে খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, কম খরচে বেশি চিংড়ি উৎপাদন করতে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের জন্য চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে কম খরচে বেশি উৎপাদিত হয়; পাশাপাশি ভেনামি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চিংড়ির নতুন বাজারও খোঁজা হচ্ছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে