চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে টানা ২২ দিন প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার বন্ধ ছিল। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত মঙ্গলবার থেকে আটঘাট বেঁধে ইলিশ শিকারে নামেন জেলেরা। প্রথম দিন বরগুনার নদ-নদীতে কিছু ইলিশ ধরা পড়লেও এরপর থেকে মাছটির আর দেখা মিলছে না। এতে যারপরনাই হতাশ উপকূলের প্রান্তিক জেলেরা।

জেলেরা বলছেন, গোটা চলতি মৌসুমে এই অঞ্চলে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়েনি। মৎস্য বিভাগের (বিএফডিসি) পরিসংখ্যানের সঙ্গে জেলেদের হিসাব মিলে যায়। বরগুনার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের তথ্যমতে, মৌসুম শুরু থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১ হাজার ২১৯ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ অবতরণ হয়, যা গত ১০ বছরের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০-২১ বছরে একই মৌসুমে পাথরঘাটায় অবতরণ হয় মাত্র ১ হাজার ১১ দশমিক ২০ মেট্রিক টন ইলিশ। কেন্দ্রটিতে ইলিশ অবতরণের পরিমাণ ১০ বছরে এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে।

বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবোচর ও অবৈধ বেহুন্দি জালের বিস্তারের কারণেই মূলত দুই বছরে এ অঞ্চলে ইলিশের অবতরণ কমেছে মনে করেন জেলে ও ট্রলারের মালিকেরা।

তবে চাঁদপুর মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, ‘নাব্যসংকটের বিষয়টিই প্রধান। তার ওপর ক্ষেত্রবিশেষে অনেক জায়গায় দূষণও আছে। এসব কারণে প্রধান নদ-নদীতে ওভাবে ইলিশ আসছে না। কিন্তু বিষয়টি শঙ্কার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, সরকারি নিষেধাজ্ঞা শেষে এখন জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়ার কথা। আমরা আশাবাদী জেলেদের জালে মাছ ধরা পড়বে।