সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
অটোরাইস মিলের দাপটে টিকতে না পেরে ঠাকুরগাঁওয়ে শত শত হাস্কিং মিল (চালকল) বন্ধ হয়ে গেছে। টানা লোকসানের কারণে অনেক মালিক মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে চাতাল কল ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। জীবিকার তাগিদে পেশাও বদল করেছেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা।
জেলা চালকল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪২৫টি চালকল ছিল, যেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। বর্তমানে এসব হাস্কিং মিলের পাশাপাশি চালু রয়েছে ২২টি অটোরাইস মিল। এগুলো পুরোদমে চালু থাকলেও হাস্কিং মিল টিকে আছে মাত্র ৫০টি, যেগুলোর অবস্থা নাজুক।
জেলায় কয়েকটি হাস্কিং মিলে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো বন্ধ থাকায় চাতালে ঘাস গজিয়েছে, ভেঙে পড়েছে চিমনি। বছরের পর বছর অব্যবহৃত থাকায় ঝোপে পরিণত হয়েছে চাতাল। নষ্ট হচ্ছে মিলের মূল্যবান যন্ত্র।
সদর উপজেলার খোচাবাড়ী বাজারের চালকলের মালিক শাহীন আলম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে শুধু সরকারি বরাদ্দের চাল উৎপাদনের জন্য বছরে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন মিল চালু করি। এ ছাড়া সারা বছরই মিল বন্ধ থাকে। আমার মতো সিংহভাগ হাস্কিং মিলের একই অবস্থা।’
মেসার্স ভাইভাই চালকলের মালিক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যায়। আর অটোরাইস মিলে এক-দুদিনের মধ্যে চাল উৎপাদন করে বাজারজাত করে এবং তাঁরা দাম পায়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় নয়।’
হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী এলাকার মেসার্স নুর ইসলাম চালকলের মালিক আবু সায়েদ জানান, অটোরাইস মিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় এবং ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে তাঁদের মতো ছোট ছোট চালকল মালিক পুঁজি হারিয়ে ফেলছেন। ফলে লোকসান ঠেকাতে তাঁরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মেসার্স নুর ইসলাম চালকলে কর্মরত নারী শ্রমিক শাহীনা, ভেউলা, আলবা খাতুন বলেন, এ মিলে একসময় অনেক মানুষ কাজ করতেন। এখন চালকল বন্ধ হয়ে গেছে। তাই যারা আগে মিলে কাজ করতেন, তাঁরা এখন পেশা বদল করেছেন। আমরা অন্য কোনো কাজ পারি না। তাই বাধ্য হয়েই চাতালে পড়ে আছি।
এ বিষয়ে জেলা চালকলমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাছান রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ হাস্কিং মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে পারছেন না অনেক চালকলমালিক। ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পারায় কোনো কোনো চালকলমালিকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলা হয়েছে। এর মূল কারণ সরকার অটোরাইস মিলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যার কারণে হাস্কিং মিল সরকারকে চাল দিতে পারছে না। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চালকলগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মাহমুদ হাছান আরও বলেন, ৩০০টি হাস্কিং মিলের সমান কাজ করে একেকটি অটোরাইস মিল। বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলগুলোকে সচল করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ বরাদ্দ ও ভর্তুকির মাধ্যমে মিলগুলোকে আধুনিক মেশিনারিজ দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।
অটোরাইস মিলের দাপটে টিকতে না পেরে ঠাকুরগাঁওয়ে শত শত হাস্কিং মিল (চালকল) বন্ধ হয়ে গেছে। টানা লোকসানের কারণে অনেক মালিক মিল বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে চাতাল কল ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। জীবিকার তাগিদে পেশাও বদল করেছেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকেরা।
জেলা চালকল মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর আগেও ঠাকুরগাঁওয়ে ১ হাজার ৪২৫টি চালকল ছিল, যেখানে ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ছিল। বর্তমানে এসব হাস্কিং মিলের পাশাপাশি চালু রয়েছে ২২টি অটোরাইস মিল। এগুলো পুরোদমে চালু থাকলেও হাস্কিং মিল টিকে আছে মাত্র ৫০টি, যেগুলোর অবস্থা নাজুক।
জেলায় কয়েকটি হাস্কিং মিলে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরে মিলগুলো বন্ধ থাকায় চাতালে ঘাস গজিয়েছে, ভেঙে পড়েছে চিমনি। বছরের পর বছর অব্যবহৃত থাকায় ঝোপে পরিণত হয়েছে চাতাল। নষ্ট হচ্ছে মিলের মূল্যবান যন্ত্র।
সদর উপজেলার খোচাবাড়ী বাজারের চালকলের মালিক শাহীন আলম বলেন, ‘আমি দুই বছর ধরে শুধু সরকারি বরাদ্দের চাল উৎপাদনের জন্য বছরে মাত্র ১০ থেকে ১৫ দিন মিল চালু করি। এ ছাড়া সারা বছরই মিল বন্ধ থাকে। আমার মতো সিংহভাগ হাস্কিং মিলের একই অবস্থা।’
মেসার্স ভাইভাই চালকলের মালিক হামিদুল ইসলাম বলেন, ‘ধান কিনে চাল উৎপাদন করতে ৮ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যায়। আর অটোরাইস মিলে এক-দুদিনের মধ্যে চাল উৎপাদন করে বাজারজাত করে এবং তাঁরা দাম পায়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় নয়।’
হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী এলাকার মেসার্স নুর ইসলাম চালকলের মালিক আবু সায়েদ জানান, অটোরাইস মিলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় এবং ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহারের কারণে তাঁদের মতো ছোট ছোট চালকল মালিক পুঁজি হারিয়ে ফেলছেন। ফলে লোকসান ঠেকাতে তাঁরা মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মেসার্স নুর ইসলাম চালকলে কর্মরত নারী শ্রমিক শাহীনা, ভেউলা, আলবা খাতুন বলেন, এ মিলে একসময় অনেক মানুষ কাজ করতেন। এখন চালকল বন্ধ হয়ে গেছে। তাই যারা আগে মিলে কাজ করতেন, তাঁরা এখন পেশা বদল করেছেন। আমরা অন্য কোনো কাজ পারি না। তাই বাধ্য হয়েই চাতালে পড়ে আছি।
এ বিষয়ে জেলা চালকলমালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাছান রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে প্রায় ৯৫ শতাংশ হাস্কিং মিলের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। উৎপাদন বন্ধ থাকায় ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে পারছেন না অনেক চালকলমালিক। ব্যাংকঋণ শোধ করতে না পারায় কোনো কোনো চালকলমালিকের বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির মামলা হয়েছে। এর মূল কারণ সরকার অটোরাইস মিলকে প্রাধান্য দিচ্ছে। যার কারণে হাস্কিং মিল সরকারকে চাল দিতে পারছে না। প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে চালকলগুলো এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
মাহমুদ হাছান আরও বলেন, ৩০০টি হাস্কিং মিলের সমান কাজ করে একেকটি অটোরাইস মিল। বন্ধ হয়ে যাওয়া মিলগুলোকে সচল করতে হলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ বরাদ্দ ও ভর্তুকির মাধ্যমে মিলগুলোকে আধুনিক মেশিনারিজ দিয়ে ঢেলে সাজাতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে