মণিপুরে সহিংসতা ও কুকি-চিনের উত্থানের নেপথ্যে কী

এ কে এম শামসুদ্দিন
প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ০৯: ৪২

দুই মাসের বেশি সময় ধরে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরে জাতিগত সংঘাত, রক্তপাত এবং সন্ত্রাসী আক্রমণে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মণিপুরের চলমান এই সন্ত্রাস ও অসন্তোষ, উত্তর-পূর্ব ভারতে নিরাপত্তাঝুঁকি তৈরি করছে, যা থেকে আশপাশের অঞ্চলও মুক্ত থাকতে পারবে কি না, এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মণিপুরের পরিস্থিতি সেখানকার প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। সংঘাতে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ মারা গেছে। প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক নাগরিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। তিন শতাধিক গির্জা পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪১টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। মণিপুরের এই সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উদ্বিঘ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।

মিয়ানমারের জন্যও এ পরিস্থিতি স্বস্তির নয়। এর কারণ, এই সংঘাতের কেন্দ্রস্থল মণিপুর, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সন্নিকটবর্তী; বিদ্রোহী কুকি-চিন জাতিগোষ্ঠী এই তিন দেশেই বসবাস করে এবং তাদের অবাধ যাতায়াত আছে বিধায়, এই সংকটময় পরিস্থিতি আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য যে হুমকিস্বরূপ, তা এড়িয়ে যাওয়া যায় না। মণিপুরের পূর্বাংশের মিয়ানমারের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এবং এই সীমান্ত অঞ্চলে যথেষ্ট অস্থিরতাও রয়েছে। বাংলাদেশের সিলেট থেকে পূর্ব দিকে আসামের শিলচর জেলা অতিক্রম করে মণিপুর রাজ্যের সীমানা শুরু।

বাংলাদেশের সঙ্গে যদিও মণিপুরের কোনো সীমান্ত নেই, তবু এ পরিস্থিতিতে চুপ করে বসে থাকা ঠিক হবে না। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন হলেও মণিপুর তখনো ভারতভুক্ত হয়নি। ব্রিটিশ আমলে মণিপুর ‘প্রিন্সলি স্টেট’ হিসেবে মর্যাদা পেত। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর কংগ্রেস দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা বল্লব ভাই প্যাটেলের অব্যাহত চাপের মুখে মণিপুরের তৎকালীন শাসক, মহারাজা বুদ্ধচরণ ১৯৪৯ সালে ভারত অন্তর্ভুক্তি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন। মণিপুরবাসী কখনো সেই একত্রকরণ মেনে নিতে পারেনি বলেই ওই রাজ্যে সশস্ত্র সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের সূত্রপাত হয়।

মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই জনগোষ্ঠী। বাকি ৪৭ শতাংশ নাগা, মিজো ও কুকি তফসিলি জনজাতি। ধর্মে মেইতেইরা হিন্দু। অপরদিকে তফসিলি জনজাতির লোকেরা অধিকাংশই খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী। এই তফসিলি জনজাতির মধ্যে আদিকাল থেকেই কুকিরা ছিল যোদ্ধা জাতি। এরা বারুদ বানাতে ও বন্দুক চালাতে পারদর্শী। এই কুকি জাতিগোষ্ঠীর বসবাস উত্তর ভারতের নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, আসাম, মিজোরাম, মণিপুর; মিয়ানমারের কাচিন, সাগাইং ও চিন রাজ্যে। বাংলাদেশে তাদের অবস্থান বান্দরবানে।

গোড়ায় কুকিরা খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী ছিল না। ব্রিটিশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় খ্রিষ্টধর্মীয় মিশনারিরা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎকালীন মিয়ানমারের পার্বত্য এলাকার পিছিয়ে পড়া জনজাতিগোষ্ঠীর ভেতর খ্রিষ্টানধর্মের বিস্তার ঘটানোর উদ্যোগ নেয়। ব্রিটিশরা এই উদ্যোগের মাধ্যমে একটি খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত ‘ক্রাউন কলোনি’ স্থাপনের চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত ক্রাউন কলোনি স্থাপনে ব্যর্থ হলেও এই অঞ্চলের এক বিরাট জনগোষ্ঠীকে তারা খ্রিষ্টানধর্মে দীক্ষা দিতে সক্ষম হয়। এ কারণেই ভারত ও বর্তমান মিয়ানমারের এসব রাজ্যের অধিকাংশ জনগণই খ্রিষ্টান। বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের বম, পাংক্ষু, লুসাই, গুণী, ম্রো, খিয়াং নামের ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণ খ্রিষ্টানধর্মে দীক্ষিত এবং এরা সবাই কুকি সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত।

সম্প্রতি ভারতের মণিপুরের উচ্চ আদালতের একটি রায়কে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা শুরু হয়েছে, তা কেবল মণিপুরেই সীমাবদ্ধ নেই।আশপাশের রাজ্যের কুকিসহ সমগোত্রীয় সম্প্রদায়ের ভেতর বিস্তার লাভ করছে। কথিত আছে, এই সংঘাতে আশপাশের রাজ্যগুলো থেকে, এমনকি মিয়ানমার ও বাংলাদেশে বসবাসকারী কুকি সম্প্রদায়ের যোদ্ধারা মণিপুরের কুকিদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছে। জাতিগত ও ধর্মীয় বিশ্বাসে অভিন্নতা থাকায় মণিপুরের চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ভারত, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের কুকি-চিনের ভেতর খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত ‘বৃহত্তর কুকিল্যান্ড’ স্থাপনের আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ করতেই পারে। মিয়ানমারের চিন জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের বম এবং ভারতের মিজো জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকিদের নৃতাত্ত্বিক মিল আছে।

এ ধরনের প্রচেষ্টার পেছনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সম্পৃক্ততা থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ইন্দোনেশিয়ার খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত ‘ইস্ট তিমুর’ ও সুদানের ‘দক্ষিণ সুদান’ প্রতিষ্ঠার পেছনে পশ্চিমারা যে ইন্ধন জুগিয়েছিল, তা বলাই বাহুল্য। ইস্ট তিমুর ও দক্ষিণ সুদান নামের দুটি খ্রিষ্টান রাষ্ট্র সৃষ্টির মাধ্যমে তারা ইতিমধ্যেই এ ধরনের প্রচেষ্টার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী কার্যকলাপকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার কোনো কারণ দেখি না।

পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবানে হত্যা ও সন্ত্রাসের নতুন আতঙ্কের নাম কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট। ২০০৮ সালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট প্রতিষ্ঠিত হলেও, ২০১৬ সালে সংগঠনটি সশস্ত্র গ্রুপ হিসেবে গড়ে ওঠে। শুরুতে এর নাম ছিল ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার্স’। প্রথম দিকে তারা শান্তিপূর্ণ সামাজিক কর্মসূচি পালন করে ভারতের মণিপুর ও মিয়ানমারের চিন রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। সন্ত্রাসী এই দলের সদস্যদের ভারতের মণিপুর ও মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে পাঠানো হয় গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য। ২০১৯ সালে প্রশিক্ষণ শেষে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে ফিরে আসে। শুরুতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্যে ব্যস্ত থাকলেও ধীরে ধীরে তারা সক্রিয় হয়ে ওঠে।

বর্তমানে সংগঠনটির সশস্ত্র উইং কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি বা কেএনএ নামে পরিচিত এবং তাদের তিন থেকে চার হাজার সদস্য রয়েছে। এদের অনেকেই পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ভারতের মিজোরামে যাতায়াত করে থাকে। এই দলের সদস্যদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে এক মাস ভারতের মিজোরামে তাত্ত্বিক ও শারীরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাকি দুই মাস মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী দলের সঙ্গে যৌথভাবে সে দেশের আর্মির বিরুদ্ধে যুদ্ধের মাধ্যমে বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

কুকি-চিনরা নিজেদের পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মনে করে। চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে তারা বার্মিজ ও ভারতীয় জাতিভুক্ত এবং বহিরাগত মনে করে। কেএনএ পার্বত্য তিন জেলার লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি ও বরকল উপজেলার সমন্বয়ে পৃথক রাজ্যের দাবি করে আসছে। উল্লিখিত এলাকা নিয়ে তারা একটি মানচিত্রও তৈরি করেছে। তাদের এই প্রস্তাবিত মানচিত্রের তিন দিকে বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত।

পৃথক রাজ্য দাবির পেছনে কেএনএ যে যুক্তি উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে, তার পেছনেও ছোট্ট একটি ইতিহাস আছে। উনিশ শতকের শেষ ভাগে তৎকালীন পার্বত্য চট্টগ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব দিক থেকে নানামুখী আক্রমণ আসতে থাকে। নানামুখী আক্রমণের চাপে কুকি-চিন জনগোষ্ঠীর লোকেরা ধীরে ধীরে ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরার পর্বতমালা, লুসাই পাহাড়ের দিকে চলে যায়। তাদের ছেড়ে যাওয়া অঞ্চলগুলোই হলো বর্তমানে কুকিদের দাবি করা লামা, রুমা, আলীকদম, থানচি, রোয়াংছড়ি, বিলাইছড়ি, জুরাইছড়ি ও বরকল উপজেলা।

এই অঞ্চল পরে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর লোকদের দখলে চলে যায়। ১৮৯২ সালের পর তদানীন্তন ব্রিটিশ সরকারও কুকি জনগোষ্ঠীকে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে তিন ভাগে ভাগ করে দেয়। তৎকালীন বার্মার চিন পর্বতমালা, বাংলার দক্ষিণভাগে লুসাই পর্বতমালা ও উত্তরে আসামের নিয়ন্ত্রণে দিয়ে দেয়। এখানে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোচনা করা উচিত। বাংলাদেশে দুই দশক ধরে চাকমাদের নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে যেসব নৃগোষ্ঠীর লোকেরা তথাকথিত শান্তিবাহিনীর নামে যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল; তারা নিজেদের আদিবাসী হিসেবে দাবি করে আসছে।

আমাদের দেশের তথাকথিত অন্ধ কিছু বুদ্ধিজীবীও তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, এসব নৃগোষ্ঠীর লোকেরা আদতেই বাংলাদেশের বাইরে থেকে আসা জনগোষ্ঠী; বরং কুকি-চিন জনগোষ্ঠীরা চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়েরও অনেক আগে থেকে এই অঞ্চলে বসবাস করছে! বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বের উল্লিখিত আটটি উপজেলায় কুকি জনগোষ্ঠীর বসবাস। তারা সাধারণত উঁচু পাহাড়ে থাকে। বাংলা বলতে পারে না বলে পার্বত্য চট্টগ্রামসংলগ্ন মানুষের কাছে তারা ‘কুকি’ 
নামেই পরিচিত। তাদের ‘জো’ জাতির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর যারা বাংলা বলতে পারত, যেমন চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীকে চট্টগ্রামের মানুষ জুমিয়া বা ‘জুম্ম’ নামে ডাকত।

এই জনগোষ্ঠীই শান্তিবাহিনী সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘জম্মু ল্যান্ড’ হিসেবে পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে। কুকিরা সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকেই দুর্ধর্ষ, আগ্রাসী ও হিংস্র জাতি হিসেবে পরিচিত। তারা মনে করে লুসাই পর্বতমালার পাদভূমি তাদের মাতৃভূমি, আর বাকিরা অর্থাৎ চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ইত্যাদি জনগোষ্ঠী সব বহিরাগত। কুকিরা তাই প্রয়োজনে বাইরের শক্তির সাহায্য নিয়ে হলেও পার্বত্য চট্টগ্রামের যে এলাকা থেকে তারা বিতাড়িত হয়েছিল, সেই এলাকাগুলো নিয়ে তাদের কল্পিত স্বপ্ন রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে পৃথক 
শাসনব্যবস্থা চালু করবে।

ভারতের মণিপুরের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে সেখানকার কুকি-চিন জনগোষ্ঠী পুনরায় লড়াই শুরু করেছে। সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের কুকিরা যেভাবে অংশগ্রহণ করছে বলে শোনা যাচ্ছে, শেষ পর্যন্ত এ পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় বলা যায় না। মনে রাখতে হবে, উত্তর-পূর্ব ভারত ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ঘটনাবলি পশ্চিমা শক্তিগুলোর নজর ও আগ্রহের বাইরে নেই। মণিপুরের পরিস্থিতি তারা গভীর নজরদারিতে রাখবে সন্দেহ নেই। অতএব, এই অঞ্চলে খ্রিষ্টান-অধ্যুষিত ‘বৃহত্তর কুকি ল্যান্ড’ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্রিটিশ আমলের সেই স্বপ্ন ‘ক্রাউন কলোনি’ বাস্তবায়নে পশ্চিমাদের যে ইন্ধন থাকবে না, তা কে বলতে পারে!

পশ্চিমা বিশ্ব ইতিমধ্যেই জানিয়েছে তারা মণিপুরে সংখ্যালঘুদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ওদিকে ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ভারত চাইলে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে। মণিপুরের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত মনে হলেও প্রকৃতপক্ষে তা তুষের আগুনের মতো চাপা পড়ে আছে। এই আগুন যেকোনো সময় ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমাদের নিজেদের স্বার্থেই মণিপুরের পরিস্থিতির প্রতি লক্ষ রাখতে হবে, যাতে সেই আগুনের আঁচ বাংলাদেশে এসে না পড়ে।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলাম লেখক

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত