পরামর্শক দলের সঙ্গে বৈঠক রেলওয়ের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৩ মে ২০২২, ১২: ১৫
Thumbnail image

কালুরঘাট সেতু দিয়ে ট্রেন চালানোর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পরামর্শক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর রেলভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে টেকনিক্যাল বিষয়ের পাশাপাশি আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ নিয়েও আলোচনা হয়। তবে এ বৈঠকে খরচের পরিমাণ নির্ধারণ হয়নি। আগামী বৈঠকে তা নির্ধারণ হবে বলে জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া।

প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুয়েটের পরামর্শক দলের সঙ্গে এই বৈঠকে এখনো আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারিনি। আগামী বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারব।’

কর্ণফুলী নদীতে নতুন রেলসেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু দিয়েই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালাতে চায় বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ জন্য রেলওয়ের আমন্ত্রণে গত বছরের ৯ অক্টোবর ৯০ বছরের পুরোনো সেতুটি পরিদর্শন করে বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের পর্যবেক্ষক দল। পর্যবেক্ষণে তারা কালুরঘাট সেতুর জানালিহাট অংশে আবৃত প্রাচীর এবং সুরক্ষা দেয়ালে ফাটল খুঁজে পায়। এ ছাড়া আরও বড় ধরনের ছয়টি ত্রুটি চিহ্নিত করে।

সে জন্য তাঁরা প্রায় ১৩ কোটি টাকা চেয়েছেন। এই প্রস্তাবনার বিষয়ে বৈঠকে মিলিত হন তাঁরা।

ওই বছরের ৪ ডিসেম্বর রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) আহসান জাবিরের কাছে পরিদর্শনের প্রতিবেদন জমা দেন বুয়েটের পরামর্শক দল। সেখানে সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

কালুরঘাট সেতুটি নির্মিত হয় ১৯৩১ সালে। উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সংযুক্তকারী এ সেতুকে ২০০১ সালেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হলেও এর ওপর দিয়ে চলাচল করছে ট্রেন এবং সব ধরনের হালকা ও ভারী যানবাহন। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে ১১ দশমিক ৯৬ টন এক্সেল লোডের ছোট লোকোমোটিভ বা হালকা ওজনের কোচ চলাচল করে। যেহেতু নতুন রেলপথ এখনো নির্মাণ হয়নি, তাই সেতুটির গার্ডার ও অন্যান্য অবকাঠামো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে প্রতিটি এক্সেল লোডে ১৫ টন ওজনের ইঞ্জিন ব্যবহার করতে চায় রেলওয়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত