কবীর সুমন
বেশ আগে কলকাতার এক এফএম বেতার স্টুডিওতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন কবীর সুমন। আধুনিক যন্ত্রপাতিতে শোভিত, কম্পিউটারচালিত স্টুডিও। সাক্ষাৎকারটি ছিল লাইভ। অনুষ্ঠান শেষ হলে যখন ফিরে আসছেন কবীর সুমন, তখন বেতারের এক কর্মকর্তা এগিয়ে এলেন তাঁর দিকে। বললেন, ‘শ্রোতাদের উদ্দেশে একটা শুভেচ্ছাবার্তা রেকর্ড করে দিন।’
ভেবে বলতে হবে না। কী বলতে হবে, সেটা আগে থেকেই লেখা আছে একটা কাগজে। বলতে হবে, ‘আমার নাম অমুক, অমুক এফএম চ্যানেল থেকে বলছি, আমার শুভেচ্ছা নিন’ ইত্যাদি ইত্যাদি। একেবারে ত্রুটিহীন কায়-কারবার। কাগজটা রাখা আছে মাইক্রোফোনের পাশে।
কিন্তু এ কোন ভাষায় লেখা? হরফগুলো তো বাংলা নয়! রোমান হরফ!
একটু চমকে উঠলেন সুমন। বাংলা ভাষায় যা বলা হবে, তা লেখা হয়েছে রোমান হরফে! তাঁর মনে পড়ে গেল, ইদানীং ই-মেইল করতে গিয়ে অনেকেই রোমান হরফে বাংলা লিখছেন। মেসেঞ্জারেও একইভাবে লেখালেখি হচ্ছে। বাংলা হরফে যে লেখা যায়, তা বেমালুম ভুলে থাকছেন অনেক মানুষ। তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক অবশ্য তাঁর দেশে রোমান হরফ প্রবর্তন করেছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তোবা আরবি লিপির বদলে রোমান লিপিতে মাতৃ-পিতৃ ভাষার চর্চা করা হলে ইউরোপের অধিকাংশ ভাষা শিখে নিতে পারবে তুরস্কবাসী। কিন্তু খোদ কলকাতা শহরে এফএম রেডিওতে রোমান হরফে বাংলা!
শুভেচ্ছাবার্তা পড়তে গিয়ে দুবার হোঁচট খেলেন সুমন। খাবেন না কেন, বাংলা হরফে অভ্যস্ত চোখ কীভাবে এত দ্রুত রোমান বাংলা পড়ে নেবে? বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাংলায় লেখা নেই কেন?’
কেউ কোনো উত্তর দিল না। একজন শুধু মিষ্টি করে হাসল। সুমন ভাবলেন, ওরা হয়তো প্রযুক্তিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া অধুনা অচল একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন বলে মনে করছেন।
এখন এমন অনেক বাঙালি আছেন খোদ ঢাকা বা কলকাতায়, যাঁরা বাংলা হরফে বাংলা পড়তে পারেন না। তাঁদের জন্য রোমান হরফে লিখে দিতে হয়!
সূত্র: কবীর সুমন, মনমেজাজ, পৃষ্ঠা ২৫-২৬
বেশ আগে কলকাতার এক এফএম বেতার স্টুডিওতে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েছিলেন কবীর সুমন। আধুনিক যন্ত্রপাতিতে শোভিত, কম্পিউটারচালিত স্টুডিও। সাক্ষাৎকারটি ছিল লাইভ। অনুষ্ঠান শেষ হলে যখন ফিরে আসছেন কবীর সুমন, তখন বেতারের এক কর্মকর্তা এগিয়ে এলেন তাঁর দিকে। বললেন, ‘শ্রোতাদের উদ্দেশে একটা শুভেচ্ছাবার্তা রেকর্ড করে দিন।’
ভেবে বলতে হবে না। কী বলতে হবে, সেটা আগে থেকেই লেখা আছে একটা কাগজে। বলতে হবে, ‘আমার নাম অমুক, অমুক এফএম চ্যানেল থেকে বলছি, আমার শুভেচ্ছা নিন’ ইত্যাদি ইত্যাদি। একেবারে ত্রুটিহীন কায়-কারবার। কাগজটা রাখা আছে মাইক্রোফোনের পাশে।
কিন্তু এ কোন ভাষায় লেখা? হরফগুলো তো বাংলা নয়! রোমান হরফ!
একটু চমকে উঠলেন সুমন। বাংলা ভাষায় যা বলা হবে, তা লেখা হয়েছে রোমান হরফে! তাঁর মনে পড়ে গেল, ইদানীং ই-মেইল করতে গিয়ে অনেকেই রোমান হরফে বাংলা লিখছেন। মেসেঞ্জারেও একইভাবে লেখালেখি হচ্ছে। বাংলা হরফে যে লেখা যায়, তা বেমালুম ভুলে থাকছেন অনেক মানুষ। তুরস্কের কামাল আতাতুর্ক অবশ্য তাঁর দেশে রোমান হরফ প্রবর্তন করেছিলেন। ভেবেছিলেন হয়তোবা আরবি লিপির বদলে রোমান লিপিতে মাতৃ-পিতৃ ভাষার চর্চা করা হলে ইউরোপের অধিকাংশ ভাষা শিখে নিতে পারবে তুরস্কবাসী। কিন্তু খোদ কলকাতা শহরে এফএম রেডিওতে রোমান হরফে বাংলা!
শুভেচ্ছাবার্তা পড়তে গিয়ে দুবার হোঁচট খেলেন সুমন। খাবেন না কেন, বাংলা হরফে অভ্যস্ত চোখ কীভাবে এত দ্রুত রোমান বাংলা পড়ে নেবে? বিরক্ত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বাংলায় লেখা নেই কেন?’
কেউ কোনো উত্তর দিল না। একজন শুধু মিষ্টি করে হাসল। সুমন ভাবলেন, ওরা হয়তো প্রযুক্তিজ্ঞানে পিছিয়ে পড়া অধুনা অচল একজন মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন বলে মনে করছেন।
এখন এমন অনেক বাঙালি আছেন খোদ ঢাকা বা কলকাতায়, যাঁরা বাংলা হরফে বাংলা পড়তে পারেন না। তাঁদের জন্য রোমান হরফে লিখে দিতে হয়!
সূত্র: কবীর সুমন, মনমেজাজ, পৃষ্ঠা ২৫-২৬
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে