৬ ঘণ্টা দাঁড়িয়েও চাল পাচ্ছেন না ক্রেতারা

মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
Thumbnail image

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ওএমএসের চাল বিতরণ স্থানে দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। সকাল ১০টার পর বিক্রি শুরু হলেও ভোর থেকেই ব্যাগ নিয়ে লাইনে অবস্থান করেন শত শত নারী-পুরুষ। ছয় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল না পেয়ে খালি হাতে ফিরছেন বলে অনেক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন।

চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করছেন ভুক্তভোগীরা। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার পৌর শহরের সানকিভাঙ্গা, বারইখালীর ফেরিঘাট, কলেজ রোড ও নব্বইরশী স্থানে ওএমএসের চাল বিক্রি করা হয়।

পাঁচ কেজি চাল পাওয়ার অপেক্ষায় সকাল থেকেই হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে যান সানকিভাঙ্গা গ্রামের ফেরদৌসী বেগম (৫৫), রনজিনা বেগম (৬০), জাহানারা বেগম (৫৮), আলতাফ শেখ (৬০), আবুল কালাম (৭০), গুয়াবাড়িয়া গ্রামের রশিদ শেখ ও পুটিখালী গ্রামের আব্দুল গফফারসহ (৫০) শতাধিক ক্রেতা। তাঁদের অনেকে অভিযোগ করে বলেন, চার দিন এসেও লাইনের মাথায় যেতে পারিনি। ভোর ছয়টায় এসেও দেখি নারী-পুরুষের দুই লাইনে ২ থেকে ৩০০ লোক অবস্থান করছে।

তারা বলছেন, সকাল ১০টায় চাল দেওয়া শুরু হয় এবং ১১টায় শেষ হয়ে যায়। ডিলাররা বলছেন, চাল নেই। এ বিষয়ে সানকিভাঙ্গা ওএমএস ডিলার নিজামুল ইসলাম বলেন, ওএমএস কার্যক্রমের শুরুতেই প্রতিদিন দুই টন চাল একজন ডিলারের বরাদ্দ ছিল।

১৫ অক্টোবর থেকে বরাদ্দ কমিয়ে এক টন করা হয়েছে। ভোর থেকেই শত শত লোক লাইনে দাঁড়ান বলে স্বীকার করেছেন তিনি। শুধু পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের নয়, ১০টি ইউনিয়নের মানুষ চাল নিতে আসে এখানে। প্রতিদিন সরকারনির্ধারিত ২০০ মানুষকে ৫ কেজি করে ১৫০ টাকায় চাল দেওয়া যায়। আগের বরাদ্দ ঠিক থাকলে কিছুটা এ সমস্যা লাঘব হবে বলে জানান ডিলাররা।

এ সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ওএমএসের চাল বিতরণে সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন আনা হবে।কোনো বিরতি না দিয়ে প্রতিদিন একটি স্পটে চাল বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে। তাহলে এ সমস্যা থাকবে না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত