স্বপন নাথ
দ্বিজেন শর্মা (২৯ মে ১৯২৯-১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ব্যক্তিজীবন নিবেদন করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে। এ জন্য তাঁকে বলা হয় নিসর্গসখা ও প্রকৃতিপুত্র। পিতা চন্দ্রকান্ত শর্মার কবিরাজি ও মা মগ্নময়ী দেবীর নিসর্গ এবং গ্রন্থপ্রেম তাঁর জীবনকে প্রভাবিত করে। ভেষজ চিকিৎসার প্রয়োজনে চন্দ্রকান্ত বাড়িতে ঔষধি বৃক্ষের বাগান তৈরি করেন। একই সঙ্গে বাড়িতে গড়ে তোলেন সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে দ্বিজেন শর্মা পাঠ করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর, জয়দেবের রচনাসহ বৈষ্ণব সাহিত্য। কৈশোরে মায়ের কাছে বসে শুনেছেন রামায়ণ, মহাভারতসহ পৌরাণিক গল্প। তাঁদের পারিবারিক বাগানরক্ষক ছিলেন শোভাবুড়া। এই শোভা ছিলেন তাঁর কৈশোরের সঙ্গী এবং প্রকৃতিবিষয়ক শিক্ষক। শোভাবুড়ার সঙ্গে বালকবেলার দুরন্তকাল কেটেছে পাথারিয়া-মাধবকুণ্ডে গাছগাছালি, পাখি ও প্রাণী দর্শনে। প্রতিবেশীদের উদারতা, বাড়ির পাশের বনজঙ্গল, হাওর ও জলাভূমিতে নৌভ্রমণ ইত্যাদি কারণে প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর
চমৎকার সখ্য তৈরি হয়।
দ্বিজেন শর্মা প্রকৃতিবিদ হিসেবে খ্যাতি পেলেও তাঁর লেখালেখির পরিধি ছিল বিচিত্রমুখী। যেমন শিক্ষা, সাহিত্য, পরিবেশ, কৈশোর, মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য ইত্যাদি। ইতিহাস, বিবর্তন, নৃতত্ত্ব ও বিজ্ঞানবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বই অনুবাদ করেছেন। সম্পাদনা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কোষগ্রন্থ। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় তিনি সমাজতন্ত্র ও বিবর্তনতত্ত্বে আকৃষ্ট হন। এর আলোকে তরুণ বয়সে জড়িত হন প্রগতিশীল রাজনীতিতে। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তিনি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষক-সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র অবস্থায়ই তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চার্লস ডারউইনের স্মৃতিলগ্ন ডাউনগ্রাম পরিদর্শন করবেন। এসব স্বপ্ন পূরণের সুযোগ আসে ১৯৭৪ সালে; সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদকের কাজে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মস্কোবাসের সুবাদে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, এর উত্থান-পতন, পুঁজিবাদের বিকাশ তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মূলত এত ভাঙাগড়া দেখে তিনি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সমাজতন্ত্র থেকে তাঁর সমর্থন কখনো প্রত্যাহার করেননি। তাঁর বিবেচনায় মানবসভ্যতার ইতিহাস, সমাজকাঠামো মূল্যায়নে মার্ক্সবাদ ও বিবর্তনবাদ চিরকালই প্রাসঙ্গিক।
ওই সময় তিনি ভ্রমণ করেছেন ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ইতালি, শ্রুসবেরি, ডাউনগ্রাম ইত্যাদি। ভ্রমণ করেছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বাগান ও উদ্যান। এই ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশে ফিরে তিনি বাগান ও উদ্যান সাজানোর বাসনা প্রকাশ করেছেন নানাভাবে।
তিনি প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখালেখিতে নিজস্ব একটি ভাষা ও উপস্থাপনভঙ্গি নির্মাণ করেছেন; যা সাধারণ বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় পাওয়া যায় না। উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে বিজ্ঞান ও বিষয়গত সীমাবদ্ধতা তিনি অতিক্রম করেছেন; অর্থাৎ বিষয়গত লেখাগুলোকে তিনি সাধারণের পাঠযোগ্য করতে পেরেছেন। ফলে, কেউ মনেই করে না যে বিজ্ঞানের কোনো নীরস বিষয়কে পাঠ করছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ইকোলজি বা বাস্তুসংস্থানবিদ্যা সম্পর্কে জানতে হলে দেশজ মাটি, বৃক্ষ, লতাগুল্ম সম্পর্কে জানা-বোঝা আবশ্যক; যা কিছু তিনি লিখেছেন বা বলেছেন, এর ভিত্তি হলো ওই ইকোলজি ও মানবভাবনা। যে কারণে তাঁর শিক্ষাচিন্তার কেন্দ্রে ছিল পরিবেশ ন্যায্যতা এবং রুশো ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা। যে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক জ্ঞান ও আবহে মানুষের সামাজিক এবং আবেগিক কোমল দক্ষতা বিকশিত হয়ে থাকে তা হলো, মনের প্রকৃতি, জাগতিক প্রকৃতি ও জীবপ্রকৃতি। বস্তুত আমরা প্রকৃতিবিনাশী কার্যক্রম, পরিবেশদূষণ, নির্বিচারে বনজসম্পদ ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন নিবিড়ভাবে বিবেচনা করছি না; বরং এর বিপরীতে নগদ আয় ও স্বার্থ হাসিলের কথা ভাবছি। এতে পরিবেশ বজায় থাকল কি না বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হলো কি না, তা ভাবছি না। এসব নিয়ে দ্বিজেন শর্মা সব সময় তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর ব্যাখ্যায়, মানুষ সভ্যতার নামে, দখলের লক্ষ্যে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি করছে। কাল-ব্যবধানে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলে প্রকৃতির ওপর প্রভুত্ব ও আগ্রাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। ফলে জীববৈচিত্র্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন ও প্রত্যাঘাত। এ ক্ষেত্রে দ্বিজেন শর্মার আকুতি হলো, প্রকৃতির অকৃত্রিম সুরক্ষা। তাঁর বক্তব্যের সারার্থ—প্রথমত, এই জীবগোষ্ঠী প্রকৃতির অংশ এবং জৈব বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচনের অধীন। দ্বিতীয়ত, প্রকৃতির ওপর মানবসমাজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জীবসত্তার ক্রমবিকাশের ফল। এ জন্য তিনি মধুপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটে বৈচিত্র্যহীন সামাজিক বনায়নের বিরোধিতা করেছেন।
খাদ্যনিরাপত্তা ও পরিবেশের প্রয়োজনে দ্বিজেন শর্মা কথা বলেছেন। তিনি বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করেছেন, বর্তমান বিশ্বের পরিবেশদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা কোনো একক দেশের সমস্যা নয়। বিশ্বে নিয়ত বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন ঘটছে। সংকট সেখানেই। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে জীববৈচিত্র্য ক্রম-হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশদূষণের পরিণাম সারা বিশ্বেই এখন প্রকটভাবে লক্ষণীয়। ফলে দ্বিজেন শর্মার প্রকৃতি সাধনার জ্ঞান ও বোধ এখন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃতির শৃঙ্খল ভাঙা সহজ, কিন্তু পুনর্নির্মাণ সুকঠিন, কখনো সাধ্যাতীত।’
আজ জন্মদিনে এই নিসর্গসখা প্রকৃতিপুত্রকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: উপপরিচালক, নায়েম, ঢাকা
দ্বিজেন শর্মা (২৯ মে ১৯২৯-১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭) ব্যক্তিজীবন নিবেদন করেছেন প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণে। এ জন্য তাঁকে বলা হয় নিসর্গসখা ও প্রকৃতিপুত্র। পিতা চন্দ্রকান্ত শর্মার কবিরাজি ও মা মগ্নময়ী দেবীর নিসর্গ এবং গ্রন্থপ্রেম তাঁর জীবনকে প্রভাবিত করে। ভেষজ চিকিৎসার প্রয়োজনে চন্দ্রকান্ত বাড়িতে ঔষধি বৃক্ষের বাগান তৈরি করেন। একই সঙ্গে বাড়িতে গড়ে তোলেন সমৃদ্ধ লাইব্রেরি। যেখানে দ্বিজেন শর্মা পাঠ করেছেন বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, তারাশঙ্কর, জয়দেবের রচনাসহ বৈষ্ণব সাহিত্য। কৈশোরে মায়ের কাছে বসে শুনেছেন রামায়ণ, মহাভারতসহ পৌরাণিক গল্প। তাঁদের পারিবারিক বাগানরক্ষক ছিলেন শোভাবুড়া। এই শোভা ছিলেন তাঁর কৈশোরের সঙ্গী এবং প্রকৃতিবিষয়ক শিক্ষক। শোভাবুড়ার সঙ্গে বালকবেলার দুরন্তকাল কেটেছে পাথারিয়া-মাধবকুণ্ডে গাছগাছালি, পাখি ও প্রাণী দর্শনে। প্রতিবেশীদের উদারতা, বাড়ির পাশের বনজঙ্গল, হাওর ও জলাভূমিতে নৌভ্রমণ ইত্যাদি কারণে প্রকৃতির সঙ্গে তাঁর
চমৎকার সখ্য তৈরি হয়।
দ্বিজেন শর্মা প্রকৃতিবিদ হিসেবে খ্যাতি পেলেও তাঁর লেখালেখির পরিধি ছিল বিচিত্রমুখী। যেমন শিক্ষা, সাহিত্য, পরিবেশ, কৈশোর, মুক্তিযুদ্ধ ও সাহিত্য ইত্যাদি। ইতিহাস, বিবর্তন, নৃতত্ত্ব ও বিজ্ঞানবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ বই অনুবাদ করেছেন। সম্পাদনা করেছেন গুরুত্বপূর্ণ কোষগ্রন্থ। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার সময় তিনি সমাজতন্ত্র ও বিবর্তনতত্ত্বে আকৃষ্ট হন। এর আলোকে তরুণ বয়সে জড়িত হন প্রগতিশীল রাজনীতিতে। ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলন শুরু হলে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন তিনি বরিশাল ব্রজমোহন কলেজে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শিক্ষক-সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ছাত্র অবস্থায়ই তিনি স্বপ্ন দেখেন, একদিন সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চার্লস ডারউইনের স্মৃতিলগ্ন ডাউনগ্রাম পরিদর্শন করবেন। এসব স্বপ্ন পূরণের সুযোগ আসে ১৯৭৪ সালে; সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রগতি প্রকাশনে অনুবাদকের কাজে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মস্কোবাসের সুবাদে সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, এর উত্থান-পতন, পুঁজিবাদের বিকাশ তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন। মূলত এত ভাঙাগড়া দেখে তিনি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার অনেক সমালোচনা করেছেন। কিন্তু সমাজতন্ত্র থেকে তাঁর সমর্থন কখনো প্রত্যাহার করেননি। তাঁর বিবেচনায় মানবসভ্যতার ইতিহাস, সমাজকাঠামো মূল্যায়নে মার্ক্সবাদ ও বিবর্তনবাদ চিরকালই প্রাসঙ্গিক।
ওই সময় তিনি ভ্রমণ করেছেন ফিনল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, ব্রিটিশ মিউজিয়াম, ইতালি, শ্রুসবেরি, ডাউনগ্রাম ইত্যাদি। ভ্রমণ করেছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর গুরুত্বপূর্ণ বাগান ও উদ্যান। এই ভ্রমণ ও অভিজ্ঞতার আলোকে দেশে ফিরে তিনি বাগান ও উদ্যান সাজানোর বাসনা প্রকাশ করেছেন নানাভাবে।
তিনি প্রকৃতি ও পরিবেশবিষয়ক লেখালেখিতে নিজস্ব একটি ভাষা ও উপস্থাপনভঙ্গি নির্মাণ করেছেন; যা সাধারণ বিজ্ঞানবিষয়ক লেখায় পাওয়া যায় না। উদ্ভিদবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে বিজ্ঞান ও বিষয়গত সীমাবদ্ধতা তিনি অতিক্রম করেছেন; অর্থাৎ বিষয়গত লেখাগুলোকে তিনি সাধারণের পাঠযোগ্য করতে পেরেছেন। ফলে, কেউ মনেই করে না যে বিজ্ঞানের কোনো নীরস বিষয়কে পাঠ করছে।
তিনি উল্লেখ করেছেন, ইকোলজি বা বাস্তুসংস্থানবিদ্যা সম্পর্কে জানতে হলে দেশজ মাটি, বৃক্ষ, লতাগুল্ম সম্পর্কে জানা-বোঝা আবশ্যক; যা কিছু তিনি লিখেছেন বা বলেছেন, এর ভিত্তি হলো ওই ইকোলজি ও মানবভাবনা। যে কারণে তাঁর শিক্ষাচিন্তার কেন্দ্রে ছিল পরিবেশ ন্যায্যতা এবং রুশো ও রবীন্দ্রনাথের শিক্ষাভাবনা। যে ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক জ্ঞান ও আবহে মানুষের সামাজিক এবং আবেগিক কোমল দক্ষতা বিকশিত হয়ে থাকে তা হলো, মনের প্রকৃতি, জাগতিক প্রকৃতি ও জীবপ্রকৃতি। বস্তুত আমরা প্রকৃতিবিনাশী কার্যক্রম, পরিবেশদূষণ, নির্বিচারে বনজসম্পদ ধ্বংস, জলবায়ু পরিবর্তন নিবিড়ভাবে বিবেচনা করছি না; বরং এর বিপরীতে নগদ আয় ও স্বার্থ হাসিলের কথা ভাবছি। এতে পরিবেশ বজায় থাকল কি না বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হলো কি না, তা ভাবছি না। এসব নিয়ে দ্বিজেন শর্মা সব সময় তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁর ব্যাখ্যায়, মানুষ সভ্যতার নামে, দখলের লক্ষ্যে পরিবেশের সমূহ ক্ষতি করছে। কাল-ব্যবধানে মানুষ শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলে প্রকৃতির ওপর প্রভুত্ব ও আগ্রাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। ফলে জীববৈচিত্র্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক ভাঙন ও প্রত্যাঘাত। এ ক্ষেত্রে দ্বিজেন শর্মার আকুতি হলো, প্রকৃতির অকৃত্রিম সুরক্ষা। তাঁর বক্তব্যের সারার্থ—প্রথমত, এই জীবগোষ্ঠী প্রকৃতির অংশ এবং জৈব বিবর্তন প্রাকৃতিক নির্বাচনের অধীন। দ্বিতীয়ত, প্রকৃতির ওপর মানবসমাজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা জীবসত্তার ক্রমবিকাশের ফল। এ জন্য তিনি মধুপুর, চট্টগ্রাম, সিলেটে বৈচিত্র্যহীন সামাজিক বনায়নের বিরোধিতা করেছেন।
খাদ্যনিরাপত্তা ও পরিবেশের প্রয়োজনে দ্বিজেন শর্মা কথা বলেছেন। তিনি বিভিন্ন লেখায় উল্লেখ করেছেন, বর্তমান বিশ্বের পরিবেশদূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যা কোনো একক দেশের সমস্যা নয়। বিশ্বে নিয়ত বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন ঘটছে। সংকট সেখানেই। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে জীববৈচিত্র্য ক্রম-হ্রাস পাচ্ছে। পরিবেশদূষণের পরিণাম সারা বিশ্বেই এখন প্রকটভাবে লক্ষণীয়। ফলে দ্বিজেন শর্মার প্রকৃতি সাধনার জ্ঞান ও বোধ এখন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ‘প্রকৃতির শৃঙ্খল ভাঙা সহজ, কিন্তু পুনর্নির্মাণ সুকঠিন, কখনো সাধ্যাতীত।’
আজ জন্মদিনে এই নিসর্গসখা প্রকৃতিপুত্রকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
লেখক: উপপরিচালক, নায়েম, ঢাকা
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে