১৯৫৬ সাল থেকে মান্না দে বাংলা বেসিক গান গাইতে শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে গেয়েছিলেন দুটি গান—‘এই ক্ষণটুকু কেন এত ভালো লাগে...’ এবং ‘আমি আজ আকাশের মতো একেলা...’। পরের বছর নিজের সুরে চারটি গান করেন—‘চাঁদের আশায় নিভায়ে ছিলাম...’, ‘এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি...’, ‘এ জীবনে যত ব্যথা পেয়েছি...’ আর ‘আমি সাগরের বেলা...’।
১৯৫৮ সালে সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুধীন দাশগুপ্তের সঙ্গে পরিচয় হলো মান্না দের। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে নির্মিত ‘ডাক হরকরা’ চলচ্চিত্রে মান্না দেকে দিয়ে চারটি গান গাইয়েছিলেন তিনি। গানগুলো লিখেছিলেন তারাশঙ্কর নিজেই। এর মধ্যে একটি গান ছিল ‘ওগো তোমার শেষ বিচারের আশায়...’।
এটি সর্বকালের সেরা একটি সংবেদনশীল গান। গানটি যখনই গাইতেন মান্না দে, তখনই তাঁর মনে অপূর্ব নিবেদনের ভাষা তৈরি হয়ে যেত। গাইতে গিয়ে কতবার যে কেঁদেছেন তিনি। এমনকি যখন আত্মজীবনী লিখছেন, তখনো গানটির কথা লিখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন, এ কথা লেখা আছে আত্মজীবনীতেই। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নাকি নিজের লেখা এ গানটি বারবার শুনতে চাইতেন।
মান্না দের সঙ্গে তবলা বাজাতেন তবলার জাদুকর রাধাকান্ত নন্দী। মান্না দে এ গানটি ধরলেই ধরা গলায় রাধাকান্ত বলতেন, ‘গাইয়েন না মান্নাদা, গাইয়েন না এই গানটা। এই গান শুনলেই আমার মনের ভেতরটা কেমন যেন কইরা ওঠে। নিজেরে আর সামলাইতে পারি না।’ বলতে বলতে রুমালে চোখ মুছতেন রাধাকান্তবাবু।
এ গানটি সিনেমায় ছিল বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শান্তিদেব ঘোষের লিপে। শান্তিদেব নিজেই গানটি গাইতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুধীন দাশগুপ্ত সুর দেওয়ার পর বললেন, ‘মান্নাদাই গাইবে।’ এরপর দুজনকে নিয়ে সুধীন দাশগুপ্ত বসলেন। দুজনই দুজনার সামনে গাইবেন। মান্না দে গাওয়া শেষ করতেই শান্তিদেব ঘোষ বললেন, ‘না না, এ গান মান্নাবাবুই গাইবেন। উনি সত্যিই ভালো গাইলেন গানটা।’
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৭০-১৭১
১৯৫৬ সাল থেকে মান্না দে বাংলা বেসিক গান গাইতে শুরু করেন। ১৯৫৭ সালে গেয়েছিলেন দুটি গান—‘এই ক্ষণটুকু কেন এত ভালো লাগে...’ এবং ‘আমি আজ আকাশের মতো একেলা...’। পরের বছর নিজের সুরে চারটি গান করেন—‘চাঁদের আশায় নিভায়ে ছিলাম...’, ‘এই কূলে আমি আর ওই কূলে তুমি...’, ‘এ জীবনে যত ব্যথা পেয়েছি...’ আর ‘আমি সাগরের বেলা...’।
১৯৫৮ সালে সুরকার ও সংগীত পরিচালক সুধীন দাশগুপ্তের সঙ্গে পরিচয় হলো মান্না দের। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস থেকে নির্মিত ‘ডাক হরকরা’ চলচ্চিত্রে মান্না দেকে দিয়ে চারটি গান গাইয়েছিলেন তিনি। গানগুলো লিখেছিলেন তারাশঙ্কর নিজেই। এর মধ্যে একটি গান ছিল ‘ওগো তোমার শেষ বিচারের আশায়...’।
এটি সর্বকালের সেরা একটি সংবেদনশীল গান। গানটি যখনই গাইতেন মান্না দে, তখনই তাঁর মনে অপূর্ব নিবেদনের ভাষা তৈরি হয়ে যেত। গাইতে গিয়ে কতবার যে কেঁদেছেন তিনি। এমনকি যখন আত্মজীবনী লিখছেন, তখনো গানটির কথা লিখতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছেন, এ কথা লেখা আছে আত্মজীবনীতেই। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও নাকি নিজের লেখা এ গানটি বারবার শুনতে চাইতেন।
মান্না দের সঙ্গে তবলা বাজাতেন তবলার জাদুকর রাধাকান্ত নন্দী। মান্না দে এ গানটি ধরলেই ধরা গলায় রাধাকান্ত বলতেন, ‘গাইয়েন না মান্নাদা, গাইয়েন না এই গানটা। এই গান শুনলেই আমার মনের ভেতরটা কেমন যেন কইরা ওঠে। নিজেরে আর সামলাইতে পারি না।’ বলতে বলতে রুমালে চোখ মুছতেন রাধাকান্তবাবু।
এ গানটি সিনেমায় ছিল বিখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শান্তিদেব ঘোষের লিপে। শান্তিদেব নিজেই গানটি গাইতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সুধীন দাশগুপ্ত সুর দেওয়ার পর বললেন, ‘মান্নাদাই গাইবে।’ এরপর দুজনকে নিয়ে সুধীন দাশগুপ্ত বসলেন। দুজনই দুজনার সামনে গাইবেন। মান্না দে গাওয়া শেষ করতেই শান্তিদেব ঘোষ বললেন, ‘না না, এ গান মান্নাবাবুই গাইবেন। উনি সত্যিই ভালো গাইলেন গানটা।’
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘরে, পৃষ্ঠা ১৭০-১৭১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে