সম্পাদকীয়
দারিদ্র্য কখনো পেছন ছাড়েনি শাহ আবদুল করিমের। ধল গ্রামে যখন প্রথম ধলবাজার হলো, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানদারেরা এলেন সেখানে। ভুসিমালের দোকানদার এক মহাজন সেই বর্ষার পর শাহ আবদুল করিমকে কাজ দিলেন। যে বেতন পেতেন, তা বাবা-মাকে দিতেন তিনি।
সেটা ব্রিটিশ শাসনামল। বড়দের শিক্ষার জন্য নাইট স্কুল করা হলো। তৈমুর চৌধুরী সেখানে মাস্টারি করতেন। সুযোগ পেয়ে শাহ আবদুল করিম সেই স্কুলে ভর্তি হলেন। কিন্তু গুজব রটিয়ে দেওয়া হলো, যারা স্কুলে পড়বে, তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে যুদ্ধে। ভয়ে কেউ আর স্কুলে আসে না। স্কুল থেকে বড়দের পড়ার মতো একটা বই পেয়েছিলেন তিনি। সেটাই পড়ে যেতে লাগলেন।
সে সময় গান গাওয়া ও উপস্থিত রচনা করার নেশায় পেয়ে বসল তাঁকে। ওস্তাদ করম উদ্দিনের কাছে গেলেন। সাধ হলো বাউল হবেন। দোতারা বাজিয়ে ভক্তিমূলক গান গাইতেন ওস্তাদ। ওস্তাদের ছেলে আসদ্দর আলীও গান করেন একসঙ্গে।
ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেন। দুই মুরব্বি মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গান গাওয়া কি ঠিক?’
ইমাম যা বললেন, তাতে বোঝা গেল, ধর্মে গান গাওয়া মানা। সেই মুরব্বিরা শাহ আবদুল করিমকে বললেন, ‘গান ছাড়বে কি না ছাড়বে, বলো সত্যি করে।’ ইমাম সাহেব বললেন, ‘তওবা করে বেদাতি কাজ ছাড়ো। সবার সামনে বলো, আমি এসব করব না।’
শাহ আবদুল করিম বললেন, ‘সত্য বলি, গান আমি ছাড়ব না। জামাতে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি। এখানে মিথ্যা বলতে চাই না।’ যখন ওই দুই মুরব্বি হাঙ্গামা বাধানোর তালে ছিলেন, তখন বয়স্ক আরেক মুরব্বি বললেন, ‘ঈদের জামাতে কেন গানের বিচার? আমরা এক গ্রামে হিন্দু-মুসলমান বাস করি।
কে না গেয়েছি জারি-সারি গান? নামাজ পড়তে এসেছেন, নামাজ পড়েন।’ দয়ালকে স্মরণ করে আবদুল করিম তাঁর জীবনের নৌকা ছেড়ে দিলেন অকূলপাথারে।
সূত্র: শাহ আবদুল করিম, আত্মকথা
দারিদ্র্য কখনো পেছন ছাড়েনি শাহ আবদুল করিমের। ধল গ্রামে যখন প্রথম ধলবাজার হলো, তখন বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানদারেরা এলেন সেখানে। ভুসিমালের দোকানদার এক মহাজন সেই বর্ষার পর শাহ আবদুল করিমকে কাজ দিলেন। যে বেতন পেতেন, তা বাবা-মাকে দিতেন তিনি।
সেটা ব্রিটিশ শাসনামল। বড়দের শিক্ষার জন্য নাইট স্কুল করা হলো। তৈমুর চৌধুরী সেখানে মাস্টারি করতেন। সুযোগ পেয়ে শাহ আবদুল করিম সেই স্কুলে ভর্তি হলেন। কিন্তু গুজব রটিয়ে দেওয়া হলো, যারা স্কুলে পড়বে, তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে যুদ্ধে। ভয়ে কেউ আর স্কুলে আসে না। স্কুল থেকে বড়দের পড়ার মতো একটা বই পেয়েছিলেন তিনি। সেটাই পড়ে যেতে লাগলেন।
সে সময় গান গাওয়া ও উপস্থিত রচনা করার নেশায় পেয়ে বসল তাঁকে। ওস্তাদ করম উদ্দিনের কাছে গেলেন। সাধ হলো বাউল হবেন। দোতারা বাজিয়ে ভক্তিমূলক গান গাইতেন ওস্তাদ। ওস্তাদের ছেলে আসদ্দর আলীও গান করেন একসঙ্গে।
ঈদের নামাজ পড়তে মসজিদে গেলেন। দুই মুরব্বি মসজিদের ইমামকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘গান গাওয়া কি ঠিক?’
ইমাম যা বললেন, তাতে বোঝা গেল, ধর্মে গান গাওয়া মানা। সেই মুরব্বিরা শাহ আবদুল করিমকে বললেন, ‘গান ছাড়বে কি না ছাড়বে, বলো সত্যি করে।’ ইমাম সাহেব বললেন, ‘তওবা করে বেদাতি কাজ ছাড়ো। সবার সামনে বলো, আমি এসব করব না।’
শাহ আবদুল করিম বললেন, ‘সত্য বলি, গান আমি ছাড়ব না। জামাতে ঈদের নামাজ পড়তে এসেছি। এখানে মিথ্যা বলতে চাই না।’ যখন ওই দুই মুরব্বি হাঙ্গামা বাধানোর তালে ছিলেন, তখন বয়স্ক আরেক মুরব্বি বললেন, ‘ঈদের জামাতে কেন গানের বিচার? আমরা এক গ্রামে হিন্দু-মুসলমান বাস করি।
কে না গেয়েছি জারি-সারি গান? নামাজ পড়তে এসেছেন, নামাজ পড়েন।’ দয়ালকে স্মরণ করে আবদুল করিম তাঁর জীবনের নৌকা ছেড়ে দিলেন অকূলপাথারে।
সূত্র: শাহ আবদুল করিম, আত্মকথা
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে