সম্পাদকীয়
গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্য ছিল মান্না দের। পুলকের সঙ্গে অনেক স্মৃতিময় ঘটনা আছে মান্নার। তারই দুটো ঘটনার কথা বলা যাক।
সুরকার ঊষা খান্নার অনুরোধে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন মুম্বাইয়ে। সেখানে তখন মান্না দে থাকতেন। মান্না দের স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে কোথাও বেরিয়েছিলেন। বিকেলে কারও আসার কথা ছিল বলে মান্না দে রান্না করছিলেন। শখ করে মাঝে মাঝে রান্না করতেন তিনি। সেদিনও রান্না করছিলেন। এ সময় বেজে উঠল দোরঘণ্টি। দরজা খুলেই দেখেন পুলক! রান্নাঘরে গ্যাসের চুলোয় রান্না হচ্ছে। দরজা খুলে দিয়ে বসতে বলে মান্না ঢুকে পড়লেন হেঁসেলে। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় রান্নাঘরে এসে দেখেন মান্না দে রান্না করছেন।
পুলক জিজ্ঞেস করলেন, ‘ও, আপনি রান্না করছেন? কী রান্না?’
মান্না বললেন, ‘তা তো বলব না আগে থেকে। রান্না শেষ হোক। খেয়ে দেখুন।’
পুলকবাবু হেসে চলে গেলেন বসার ঘরে। সাদা কাগজে কী সব লিখলেন। মান্না এসে দেখেন, সাদা কাগজে জন্মেছে একটি কবিতা, ‘আমি শ্রীশ্রী ভজহরি মান্না।’
এই কবিতাটাই অনেক পরে ‘প্রথম কদমফুল’ সিনেমায় গান হয়ে এসেছিল।
আরেক দিনের কথা। সিন্ধ্রি নামে এক খনিপ্রধান অঞ্চলে গেছেন মান্না দে আর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলকবাবুর ভায়রাভাইয়ের বাড়িও ছিল ওখানে। সেই বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু বাড়িটা চিনতে পারলেন না পুলকবাবু। গাড়ি থেকে নেমে একটা বাড়ির দোরঘণ্টি বাজালেন তিনি। মান্না দে বসে আছেন গাড়িতে। একটু পর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসিমুখে ফিরে এসে বললেন, ‘মান্নাদা, আপনার গান তৈরি হয়ে গেছে।’
মান্না দে অবাক, ‘সেকি মশাই! আমি দেখলাম আপনি কলবেল টিপলেন। কে যেন দরজা খুলল। তারপর ফিরে এলেন। এর মধ্যে গান তৈরি হলো কী করে?’
পুলক বললেন, ‘ভুলবাড়িতে কলবেল টিপেছিলাম। খুললেন এক অসাধারণ সুন্দরী নারী!’
যে গানটি মনের ভেতর গজিয়ে উঠছিল পুলকের, সেটা হলো, ‘ও কেন এত সুন্দরী হলো?’
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘর, পৃষ্ঠা ১৯৫-১৯৬
গীতিকার পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্য ছিল মান্না দের। পুলকের সঙ্গে অনেক স্মৃতিময় ঘটনা আছে মান্নার। তারই দুটো ঘটনার কথা বলা যাক।
সুরকার ঊষা খান্নার অনুরোধে পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছেন মুম্বাইয়ে। সেখানে তখন মান্না দে থাকতেন। মান্না দের স্ত্রী কন্যাদের নিয়ে কোথাও বেরিয়েছিলেন। বিকেলে কারও আসার কথা ছিল বলে মান্না দে রান্না করছিলেন। শখ করে মাঝে মাঝে রান্না করতেন তিনি। সেদিনও রান্না করছিলেন। এ সময় বেজে উঠল দোরঘণ্টি। দরজা খুলেই দেখেন পুলক! রান্নাঘরে গ্যাসের চুলোয় রান্না হচ্ছে। দরজা খুলে দিয়ে বসতে বলে মান্না ঢুকে পড়লেন হেঁসেলে। পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় রান্নাঘরে এসে দেখেন মান্না দে রান্না করছেন।
পুলক জিজ্ঞেস করলেন, ‘ও, আপনি রান্না করছেন? কী রান্না?’
মান্না বললেন, ‘তা তো বলব না আগে থেকে। রান্না শেষ হোক। খেয়ে দেখুন।’
পুলকবাবু হেসে চলে গেলেন বসার ঘরে। সাদা কাগজে কী সব লিখলেন। মান্না এসে দেখেন, সাদা কাগজে জন্মেছে একটি কবিতা, ‘আমি শ্রীশ্রী ভজহরি মান্না।’
এই কবিতাটাই অনেক পরে ‘প্রথম কদমফুল’ সিনেমায় গান হয়ে এসেছিল।
আরেক দিনের কথা। সিন্ধ্রি নামে এক খনিপ্রধান অঞ্চলে গেছেন মান্না দে আর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলকবাবুর ভায়রাভাইয়ের বাড়িও ছিল ওখানে। সেই বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু বাড়িটা চিনতে পারলেন না পুলকবাবু। গাড়ি থেকে নেমে একটা বাড়ির দোরঘণ্টি বাজালেন তিনি। মান্না দে বসে আছেন গাড়িতে। একটু পর পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসিমুখে ফিরে এসে বললেন, ‘মান্নাদা, আপনার গান তৈরি হয়ে গেছে।’
মান্না দে অবাক, ‘সেকি মশাই! আমি দেখলাম আপনি কলবেল টিপলেন। কে যেন দরজা খুলল। তারপর ফিরে এলেন। এর মধ্যে গান তৈরি হলো কী করে?’
পুলক বললেন, ‘ভুলবাড়িতে কলবেল টিপেছিলাম। খুললেন এক অসাধারণ সুন্দরী নারী!’
যে গানটি মনের ভেতর গজিয়ে উঠছিল পুলকের, সেটা হলো, ‘ও কেন এত সুন্দরী হলো?’
সূত্র: মান্না দে, জীবনের জলসাঘর, পৃষ্ঠা ১৯৫-১৯৬
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে