সম্পাদকীয়
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিসহ মন্ত্রিপরিষদের চার সদস্য প্রতিজ্ঞা করেছিলেন দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কেউ পারিবারিক জীবনযাপন করবেন না। তাজউদ্দীন আহমদ সেই প্রতিজ্ঞা রেখেছিলেন।
২৯ এপ্রিল পার্ক স্ট্রিটের কোহিনুর ম্যানশন নামের একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারকে। সেই বাড়ির একটি বিরাট ফ্ল্যাটে থাকতেন মওলানা ভাসানী। একটা ফ্ল্যাট ঠিক করে দেওয়ার আগপর্যন্ত এই ফ্ল্যাটেরই একটি ঘরে থাকা শুরু করল প্রধানমন্ত্রীর পরিবার। মওলানা ভাসানী তাঁদের সঙ্গে গল্প করতেন।
সপ্তাহখানেক পর ৮ তলা এক ফ্ল্যাটবাড়ির অষ্টম তলায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার একটি ফ্ল্যাট পেলেন। সেই ফ্ল্যাটবাড়ির বিভিন্ন তলায় থাকত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও চার মন্ত্রীর পরিবার। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গের একজন এমএনএসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এলেন এই বাড়িতে। খাবার টেবিলেই একজন বললেন, ‘ভাবি, তাজউদ্দীন ভাইয়ের শরীর তো খুব খারাপ। গিয়েছিলেন ভাইকে দেখতে?’
বাড়ির সবাই অবাক। কেউ তো তাঁদের সে কথা বলেনি। ঠিক হলো পরদিনই সবাই মিলে তাজউদ্দীনকে দেখতে যাবেন। ১৯ আগস্ট ট্যাক্সি ডাকা হলো। প্রথমবারের মতো ৮ থিয়েটার রোডে তাজউদ্দীন আহমদের কাছে গেলেন তাঁর পরিবারবর্গ। কিন্তু পথ আটকে দাঁড়ালেন চিকিৎসক। বললেন, ‘কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে না।’
পরিচয় পেয়ে অবশ্য তিনি বললেন, ‘তাঁর তো ডায়াবেটিস, বুকে একটা ফোড়া হয়েছে, প্রচণ্ড জ্বর শরীরে, এর মধ্যেই ফাইল নিয়ে কাজ করছেন!’
জোহরা তাজউদ্দীন সন্তানদের নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। তাজউদ্দীন আহমদকে পেলেন বাথরুমে। সেখানে তিনি শার্ট কাচছেন। তাঁদের দেখে বললেন, ‘ও, তোমরা এসেছ, বসো।’ কাজ সেরে এসে বললেন, ‘কাল সিনেটর টেড কেনেডিকে নিয়ে রণাঙ্গন পরিদর্শনে যাব। তাই রাতেই যাতে শার্টটা শুকিয়ে যায়, জ্বরের সুযোগে ধুয়ে ফেললাম।’
সূত্র: সিমিন হোসেন রিমি, আমার ছোটবেলা, ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, পৃষ্ঠা ৯৬-১০২
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শপথ গ্রহণের পর অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিসহ মন্ত্রিপরিষদের চার সদস্য প্রতিজ্ঞা করেছিলেন দেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কেউ পারিবারিক জীবনযাপন করবেন না। তাজউদ্দীন আহমদ সেই প্রতিজ্ঞা রেখেছিলেন।
২৯ এপ্রিল পার্ক স্ট্রিটের কোহিনুর ম্যানশন নামের একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাজউদ্দীন আহমদের পরিবারকে। সেই বাড়ির একটি বিরাট ফ্ল্যাটে থাকতেন মওলানা ভাসানী। একটা ফ্ল্যাট ঠিক করে দেওয়ার আগপর্যন্ত এই ফ্ল্যাটেরই একটি ঘরে থাকা শুরু করল প্রধানমন্ত্রীর পরিবার। মওলানা ভাসানী তাঁদের সঙ্গে গল্প করতেন।
সপ্তাহখানেক পর ৮ তলা এক ফ্ল্যাটবাড়ির অষ্টম তলায় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের পরিবার একটি ফ্ল্যাট পেলেন। সেই ফ্ল্যাটবাড়ির বিভিন্ন তলায় থাকত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও চার মন্ত্রীর পরিবার। ১৮ আগস্ট সন্ধ্যার পর উত্তরবঙ্গের একজন এমএনএসহ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা এলেন এই বাড়িতে। খাবার টেবিলেই একজন বললেন, ‘ভাবি, তাজউদ্দীন ভাইয়ের শরীর তো খুব খারাপ। গিয়েছিলেন ভাইকে দেখতে?’
বাড়ির সবাই অবাক। কেউ তো তাঁদের সে কথা বলেনি। ঠিক হলো পরদিনই সবাই মিলে তাজউদ্দীনকে দেখতে যাবেন। ১৯ আগস্ট ট্যাক্সি ডাকা হলো। প্রথমবারের মতো ৮ থিয়েটার রোডে তাজউদ্দীন আহমদের কাছে গেলেন তাঁর পরিবারবর্গ। কিন্তু পথ আটকে দাঁড়ালেন চিকিৎসক। বললেন, ‘কোনোভাবেই তাঁর সঙ্গে দেখা করা যাবে না।’
পরিচয় পেয়ে অবশ্য তিনি বললেন, ‘তাঁর তো ডায়াবেটিস, বুকে একটা ফোড়া হয়েছে, প্রচণ্ড জ্বর শরীরে, এর মধ্যেই ফাইল নিয়ে কাজ করছেন!’
জোহরা তাজউদ্দীন সন্তানদের নিয়ে ঘরে ঢুকলেন। তাজউদ্দীন আহমদকে পেলেন বাথরুমে। সেখানে তিনি শার্ট কাচছেন। তাঁদের দেখে বললেন, ‘ও, তোমরা এসেছ, বসো।’ কাজ সেরে এসে বললেন, ‘কাল সিনেটর টেড কেনেডিকে নিয়ে রণাঙ্গন পরিদর্শনে যাব। তাই রাতেই যাতে শার্টটা শুকিয়ে যায়, জ্বরের সুযোগে ধুয়ে ফেললাম।’
সূত্র: সিমিন হোসেন রিমি, আমার ছোটবেলা, ১৯৭১ এবং বাবা তাজউদ্দীন আহমদ, পৃষ্ঠা ৯৬-১০২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে