সৈয়দ শামসুল হক
রশীদ করীম একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকার ছাপা হওয়ার পর দেখা গেল, সম্পাদনার ঠেলায় তিনি যা বলতে চেয়েছেন, তার গুরুত্বপূর্ণ অংশই বাদ পড়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে সাহিত্যের মূল্যায়ন ও সাহিত্যিক খ্যাতির বিষয়টি তুলে এনেছেন। নির্মোহ সাহিত্য আলোচনার চেয়ে কোনো একদিকে ঝুঁকে আলোচনা করার একটা স্বভাব দাঁড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন, কোনো কোনো লেখকের লবি আছে। তাঁদের প্রশংসা করার জন্য একদল লোক তৈরি থাকে। শুধু লোক নয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা আর সংবাদপত্রের সাময়িকীও একই কাজ করে। সেই নির্দিষ্ট কিছু লেখক কারণে-অকারণে তাঁদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে থাকেন। তাঁদেরই কেউ কেউ লেখকদের সার্টিফিকেট দেন, যেন তাঁদের এই প্রশংসার ওপরই নির্ভর করছে লেখকের উত্থান। আবার কারও লেখার তুমুল সমালোচনা করেন, যেন সেই লেখকের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, পতনই তাঁর একমাত্র গন্তব্য।
টেলিভিশনেরও একই রোগ পেয়েছে। চেনা মুখদের নাটক তারা গ্রহণ করে, পরিবেশন করে। চেনা লেখকদের আনে আলোচনা সভায় এবং সেখানে যে আলোচনা হয়, সেগুলো চেনা লোক ছাড়া আর কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
পরস্পর পিঠ চুলকানি সমিতি সে সময়েও ছিল, এখনো আছে। তবে রশীদ করীম তাঁর প্রবন্ধের একেবারে শেষে যে কথা বলেছেন, সেটা আমাদের সাহিত্য সমালোচনাকে একেবারে উলঙ্গ করে ছেড়েছে।
একবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাহিত্য আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে একজন লেখক ও একজন লেখিকা ছিলেন আলোচক। আলোচনা শুরু হলে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আর শওকত ওসমানকে নিয়ে কথা হলো। তাঁদের দুজনের লেখালেখির প্রশংসা হলো এবং এরপর যাঁদের ওপর প্রশংসা বর্ষিত হলো, তাঁরা আর কেউ নন, স্টুডিওতে উপস্থিত দুই লেখক-লেখিকা। লেখক প্রশংসা করছেন লেখিকার লেখার, লেখিকা প্রশংসা করছেন লেখকের লেখার।
রশীদ করীম এটুকু বলেই ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ২৯৯-৩০০
রশীদ করীম একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সেই সাক্ষাৎকার ছাপা হওয়ার পর দেখা গেল, সম্পাদনার ঠেলায় তিনি যা বলতে চেয়েছেন, তার গুরুত্বপূর্ণ অংশই বাদ পড়ে গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন। সেখানে তিনি বাংলাদেশে সাহিত্যের মূল্যায়ন ও সাহিত্যিক খ্যাতির বিষয়টি তুলে এনেছেন। নির্মোহ সাহিত্য আলোচনার চেয়ে কোনো একদিকে ঝুঁকে আলোচনা করার একটা স্বভাব দাঁড়িয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন, কোনো কোনো লেখকের লবি আছে। তাঁদের প্রশংসা করার জন্য একদল লোক তৈরি থাকে। শুধু লোক নয়, সাপ্তাহিক পত্রিকা আর সংবাদপত্রের সাময়িকীও একই কাজ করে। সেই নির্দিষ্ট কিছু লেখক কারণে-অকারণে তাঁদের কাছ থেকে প্রশংসা পেতে থাকেন। তাঁদেরই কেউ কেউ লেখকদের সার্টিফিকেট দেন, যেন তাঁদের এই প্রশংসার ওপরই নির্ভর করছে লেখকের উত্থান। আবার কারও লেখার তুমুল সমালোচনা করেন, যেন সেই লেখকের কোনো ভবিষ্যৎ নেই, পতনই তাঁর একমাত্র গন্তব্য।
টেলিভিশনেরও একই রোগ পেয়েছে। চেনা মুখদের নাটক তারা গ্রহণ করে, পরিবেশন করে। চেনা লেখকদের আনে আলোচনা সভায় এবং সেখানে যে আলোচনা হয়, সেগুলো চেনা লোক ছাড়া আর কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
পরস্পর পিঠ চুলকানি সমিতি সে সময়েও ছিল, এখনো আছে। তবে রশীদ করীম তাঁর প্রবন্ধের একেবারে শেষে যে কথা বলেছেন, সেটা আমাদের সাহিত্য সমালোচনাকে একেবারে উলঙ্গ করে ছেড়েছে।
একবার এক টেলিভিশন অনুষ্ঠানে সাহিত্য আলোচনা হচ্ছিল। সেখানে একজন লেখক ও একজন লেখিকা ছিলেন আলোচক। আলোচনা শুরু হলে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ আর শওকত ওসমানকে নিয়ে কথা হলো। তাঁদের দুজনের লেখালেখির প্রশংসা হলো এবং এরপর যাঁদের ওপর প্রশংসা বর্ষিত হলো, তাঁরা আর কেউ নন, স্টুডিওতে উপস্থিত দুই লেখক-লেখিকা। লেখক প্রশংসা করছেন লেখিকার লেখার, লেখিকা প্রশংসা করছেন লেখকের লেখার।
রশীদ করীম এটুকু বলেই ছেড়ে দিয়েছেন।
সূত্র: সৈয়দ শামসুল হক, হৃৎকলমের টানে, পৃষ্ঠা ২৯৯-৩০০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে