বিসিবি ‘সচিব’ আর বাফুফে ‘স্কুল মাস্টার’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ০২
আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২: ২০

বাংলাদেশ ফুটবলের সোনালি দিনগুলোয় নিজেদের খরচ চালাতে হিমশিম খেত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের সাফল্য, উন্নত বিপণন উদ্যোগ, পৃষ্ঠপোষক আর আইসিসির লভ্যাংশ মিলিয়ে আজ বিসিবি বিশ্বের অন্যতম ধনী ক্রিকেট বোর্ড। আর জাতীয় দল চালাতে সরকারের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

নারী-পুরুষ জাতীয় দল ও চারটি একাডেমি চালাতে সরকারের কাছে পাঁচ বছরের মেয়াদে ৫৮৭ কোটি টাকা চেয়েছে বাফুফে। উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব বা ডিপিপি নামের পাঁচ বছর মেয়াদি এই উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকে থাকায় কমলাপুরের এলিট একাডেমির পরিচালনা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বাফুফে। গতকাল বাফুফের ডেভেলপমেন্ট কমিটির সভা শেষে এমনটাই জানিয়েছেন কমিটির প্রধান ও বাফুফে সহসভাপতি আতাউর রহমান মানিক। আতাউর রহমান বলেছেন, ‘আমরা ডিপিপি পাঠিয়েছি, প্রস্তাব আকারে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের মনে হয় টাকার সমস্যা থাকবে না। আমরা কষ্ট করে একাডেমি চালিয়ে নিচ্ছি। যত দিন চালাতে পারি, চেষ্টা তো করবই।’

সাফল্য আর বিপণনে প্রতি সিরিজেই কোটি টাকার পৃষ্ঠপোষক পাচ্ছে বিসিবি। সঙ্গে আছে আইসিসির লভ্যাংশও। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয় আলাদা অধিদপ্তর গড়তে পারে বিসিবি, শোনা যাচ্ছে এমন গুঞ্জনও। সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকা বাফুফে কেন বিসিবির মতো স্বাবলম্বী হতে পারছে না, এ ব্যাখ্যায় আতাউর বলেছেন, ‘বিসিবির সঙ্গে বাফুফেকে মেলানো ঠিক হবে না। একই মা-বাবার দুই ভাই। একজন সচিব হয়েছে, আরেকজন স্কুলের মাস্টার। বিসিবির যে ফান্ড, সেটা আমাদের নেই।’

আতাউর রহমানের কথায় উঠে এসেছে পাশের দেশ ভারতের ২৪ বছরের মহাপরিকল্পনার কথাও, যেটি নিয়ে গতকাল একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে আজকের পত্রিকায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ভারতের বরাদ্দ অনেক বেশি। আমি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে কথা বলছি। নেপালের ছয়টি একাডেমি সরকার চালায়। নেপাল যে আমাদের চেয়ে খুব ভালো করছে, তা নয়। আমাদের অর্থের প্রয়োজন। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ভালো হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত