নিষেধাজ্ঞায় এলোমেলো হয়ে গেছে তাঁদের জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image

টেবিল টেনিস ফেডারেশন থেকে দুই খেলোয়াড়ের ভাগ্য এখন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) হাতে। সোনাম সুলতানা সোমা ও সাদিয়া রহমান মৌকে দেওয়া নিষেধাজ্ঞা কি বহাল থাকবে নাকি আবার স্বাধীনভাবে খেলা শুরু করতে পারবেন তাঁরা, সেই সিদ্ধান্ত এখন বিওএর তিন সদস্যের কমিটির কাছে।

বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমস চলার সময় অনুমতি ছাড়া আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাওয়া ও প্রতিপক্ষকে ওয়াকওভার দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিক এবং ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিষেধাজ্ঞা আছে সোমা ও মৌর। প্রথমে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিন বছর ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও পরে শাস্তি কমিয়ে দেওয়া হয় যথাক্রমে দুই ও এক বছরের নিষেধাজ্ঞা।

বার্মিংহামের পর তুরস্কের কোনিয়াতেও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে খেলেছেন সোমা। কমনওয়েলথ গেমসে না খেলার বিষয়টি জানাজানি হয় দুই গেমস শেষে দেশে ফেরার পর। কমনওয়েলথে না খেলার দোষে যদি দোষী হন সোমা, তাহলে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে কীভাবে খেললেন তিনি? সোমা বলছেন, তাঁকে অভিযুক্ত করার বিষয়টি তিনি জেনেছেন দেশে ফেরার পর।

গত ৫ আগস্ট যে ম্যাচ না খেলায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেটি সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা ছিল না বলেই জানালেন তিনি। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা গেছে, খেলোয়াড় তো নয়ই; ম্যাচের দিন কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না ফেডারেশনের কোনো কর্মকর্তাও! গতকাল আজকের পত্রিকাকে সোমা বললেন, ‘সেদিন ২৫ কী ২৬ আগস্ট। জানতে পারলাম, ৫ আগস্ট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের খেলা ছিল। পরে আমাদেরই দায়ী করা হলো। যদি এত বড় অন্যায় করে থাকি, তাহলে কোনিয়ায় খেলতে দেওয়া হলো কেন? ফেডারেশন কর্মকর্তারা কিন্তু তখনো আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেননি। বরং বলেছিলেন আমরা যদি ভালো করতে পারি, তাহলে ইস্তাম্বুলে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে। সে জন্য ১৫০ ডলার লাগবে।’

সোমার অভিযোগ, টিটি ফেডারেশনের সহসভাপতি হাসান মুনীরের ব্যক্তিগত ক্ষোভের শিকার তাঁরা, ‘হাসান মুনীরের সঙ্গে একটা দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। জাতীয় দলের ক্যাম্পে একটি বরাদ্দ থাকে। সব খেলোয়াড়ের হয়ে আমি তাঁর কাছে সেই বরাদ্দটা চেয়েছিলাম। এটা তিনি ভালোভাবে নেননি। আবাহনী থেকে পুলিশের হয়ে খেলাটাও তিনি পছন্দ করেননি।’

ফেডারেশনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞায় নিজেদের স্বাভাবিক জীবনও এলোমেলো হয়ে গেছে সোমা ও মৌয়ের। এইচএসসি পরীক্ষার্থী মৌ গত দুই মাস পড়াশোনায় ঠিক মন বসাতে পারছেন না বলে জানালেন তাঁর খালাতো বোন সোমা। তিনি বললেন, ‘গত দুই মাস মৌ পড়াশোনাই করতে পারছে না। সাধারণ অনুশীলনও করতে পারছি না। অনেক কান্নাকাটি করেছি আমরা। কী মাত্রায় হয়রানির শিকার, বোঝানো যাবে না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত