বোরোর নতুন চাল বাজারে, কমছে দাম

আয়নাল হোসেন, ঢাকা
প্রকাশ : ১০ মে ২০২২, ০৬: ৫৯
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১০: ০৬

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারে বোরোর নতুন চাল ওঠা শুরু হয়েছে। এতে কমতে শুরু করেছে দামও। তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরায় এর প্রভাব পড়ছে ধীরগতিতে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে কথা হয় জয়পুরহাটের বারী রাইস মিলের মালিক আমিনুল বারীর সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁদের জেলাসহ আশপাশের জেলায় মানভেদে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চাল আগে বিক্রি হয়েছিল ২ হাজার ৮৫০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৫২-৫৮ টাকা, যা আগে ছিল ৫৭-৬৪ টাকা।

বাজারে বোরোর নতুন চাল ওঠায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পুরান ঢাকার বাবুবাজারের ব্যবসায়ীরাও। বাবুবাজারের মেসার্স ফরিদ রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন বলেন, ইতিমধ্যে দাম কেজিপ্রতি ৪ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং সরবরাহ আরও বাড়লে চালের দাম আরও কমে আসবে।

রাজধানীর পাইকারি বাজারে চালের দাম কেজিতে ৪ টাকা কমলেও সে অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে দাম কমেনি। খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট চালের দাম আগে যেখানে ৬২-৬৫ টাকা ছিল, গতকাল সোমবার তা বিক্রি হয়েছে ৬১-৬৩ টাকায়। অন্যদিকে বিআর-২৮ চাল গতকাল বিক্রি হয়েছে ৪৬-৫০ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৮-৫০ টাকা।

গতকাল কথা হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের নিচতলায় অবস্থিত এম আর ট্রেডার্সের মালিক আনিছ খানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি এখনো নতুন চাল ওঠায়নি। আমার কাছে মোজাম্মেলের মিনিকেট চাল ৬৬ টাকায় কেনা রয়েছে। এগুলো তো আমি কমে বেচুম না।’

একই বাজারের মেসার্স নোয়াখালী রাইস ট্রেডার্সের মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ঈদের পর দোকান খুলছি দুই দিন আগে। বেচাবিক্রি এখনো শুরু হয় নাই। আমার কাছে পুরোনো চাল থাকায় এখনো নতুন ওঠায় নাই।’

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে খুচরা পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি সরু বা চিকন চাল বিক্রি হয়েছে ৬০-৭০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৬০-৬৮ টাকা। আর মোটা চাল বিক্রি হয়েছে ৪৪-৪৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৪৫-৪৮ টাকা।

এদিকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, গত রোববার পর্যন্ত দেশের সরকারি পর্যায়ে গুদামগুলোতে চালের মজুত ছিল ১০ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। একই সময়ে সরকারি পর্যায়ে আমদানি হয়েছে ৬ লাখ ৭৭ হাজার মেট্রিক টন এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৩ লাখ ৬ হাজার মেট্রিক টন। গত রোববার পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ পর্যায়ে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৭৪ মেট্রিক টন এবং চাল ৪৮ মেট্রিক টন। সরকার চলতি বোরো মৌসুমে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ১১ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত