সম্পাদকীয়
রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুটা অনেকের কাছেই ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। নিজের মতো একটা জীবনধারণ পদ্ধতি তিনি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। এমন কিছু দ্যুতিময় পঙ্ক্তি তিনি রচনা করেছেন, যা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিল পাঠক বা আবৃত্তিকারদের মুখে মুখে। এর সঙ্গে ছিল তাঁর গান। ‘আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছ তুমি হৃদয়জুড়ে...’ গানটি তো এখনো সবার মুখে মুখে।
সেই রুদ্রের সঙ্গে আহমদ ছফার প্রথম পরিচয় হয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের গ্রিন রোডের ফ্ল্যাটে। নাম-পরিচয়ের সময় রুদ্র বলেন, ‘আমার নাম রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ।’
নাম শুনে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ছফা। জিজ্ঞাসুদৃষ্টিতে তরুণটির দিকে তাকালেন ছফা। তাতে রুদ্র যা বোঝার বুঝে নিলেন, ‘নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? এ রকমই আমার নাম, রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ। আপনার নাম আহমদ ছফা। ওটাও এমন ভালো নাম কী?’
আহমদ ছফা নিজেই কথা বলেন সোজাসুজি। আরও একজন সোজাসুজি কথা বলার মানুষ পেলেন তিনি।
দিন কেটে যায়। একবার ছফার ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে দেখা করতে এলেন রুদ্র। আহমদ ছফা ধরেই নিয়েছিলেন, এত দিনে নিশ্চয়ই চাকরিবাকরি নিয়ে আছে রুদ্র। তাই ছফা জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখন কী করছ?’
রুদ্র বললেন, ‘আমি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপন করছি।’
ছফার প্রশ্ন, ‘তুমি চাকরিবাকরি কিছু করছ না?’
রুদ্রের জবাব, ‘আপনি অশ্লীল প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন না। আমি আপনাকে বলেই দিয়েছি, আমি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপন করছি। আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।’
রুদ্রের প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপনে যাতনা কম ছিল না। বহুবার তাঁর মন গুঁড়িয়ে গেছে কষ্টে, বহুবার নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন কবিতায় কবিতায়। তাই রাজাবাজারের বাড়িতে যখন চিত হয়ে শুয়ে ছিলেন রুদ্র, তখনো মনে হচ্ছিল এটা বুঝি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল পথে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়ায় যবনিকা পড়ল।
সূত্র: আহমদ ছফা, রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬
রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুটা অনেকের কাছেই ছিল বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। নিজের মতো একটা জীবনধারণ পদ্ধতি তিনি আবিষ্কার করে ফেলেছিলেন। এমন কিছু দ্যুতিময় পঙ্ক্তি তিনি রচনা করেছেন, যা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছিল পাঠক বা আবৃত্তিকারদের মুখে মুখে। এর সঙ্গে ছিল তাঁর গান। ‘আমার ভিতরে বাহিরে অন্তরে অন্তরে আছ তুমি হৃদয়জুড়ে...’ গানটি তো এখনো সবার মুখে মুখে।
সেই রুদ্রের সঙ্গে আহমদ ছফার প্রথম পরিচয় হয় আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের গ্রিন রোডের ফ্ল্যাটে। নাম-পরিচয়ের সময় রুদ্র বলেন, ‘আমার নাম রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ।’
নাম শুনে একটু হকচকিয়ে গিয়েছিলেন ছফা। জিজ্ঞাসুদৃষ্টিতে তরুণটির দিকে তাকালেন ছফা। তাতে রুদ্র যা বোঝার বুঝে নিলেন, ‘নাম শুনে অবাক হচ্ছেন? এ রকমই আমার নাম, রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ। আপনার নাম আহমদ ছফা। ওটাও এমন ভালো নাম কী?’
আহমদ ছফা নিজেই কথা বলেন সোজাসুজি। আরও একজন সোজাসুজি কথা বলার মানুষ পেলেন তিনি।
দিন কেটে যায়। একবার ছফার ইন্টারন্যাশনাল হোস্টেলে দেখা করতে এলেন রুদ্র। আহমদ ছফা ধরেই নিয়েছিলেন, এত দিনে নিশ্চয়ই চাকরিবাকরি নিয়ে আছে রুদ্র। তাই ছফা জিজ্ঞেস করলেন, ‘এখন কী করছ?’
রুদ্র বললেন, ‘আমি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপন করছি।’
ছফার প্রশ্ন, ‘তুমি চাকরিবাকরি কিছু করছ না?’
রুদ্রের জবাব, ‘আপনি অশ্লীল প্রশ্ন জিজ্ঞেস করবেন না। আমি আপনাকে বলেই দিয়েছি, আমি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপন করছি। আর কোনো প্রশ্ন করবেন না।’
রুদ্রের প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল জীবনযাপনে যাতনা কম ছিল না। বহুবার তাঁর মন গুঁড়িয়ে গেছে কষ্টে, বহুবার নিজের যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন কবিতায় কবিতায়। তাই রাজাবাজারের বাড়িতে যখন চিত হয়ে শুয়ে ছিলেন রুদ্র, তখনো মনে হচ্ছিল এটা বুঝি প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল পথে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়ায় যবনিকা পড়ল।
সূত্র: আহমদ ছফা, রুদ্র মোহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারকগ্রন্থ, পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে