সম্পাদকীয়
বিসিকের পরিকল্পনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ১৯৭৩ সালে জানলেন, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে উপসচিব পদে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। নির্ধারিত দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গেলেন তিনি। পাইপ টানার ফাঁকে স্মিত হাসছিলেন বঙ্গবন্ধু। চাকরি তো হয়ে গেল। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে দেখেছেন তিনি। তারই দুটো কথা আজ বলব।
নাটোর গণভবনে হেলিকপ্টারে যাবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী হেলিকপ্টারের ক্রুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। নেতৃত্বদানকারী স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদকে দেখে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘কি হে, তুমি দাগনভূঁইয়ার দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের নূরুল হুদার ছেলে না? তাঁর মতো দশ-বিশটা লোক সোনার বাংলা গড়তে পারে। কেমন আছেন তিনি? আর ওই যে তোমার একটা চঞ্চল ছোট ভাই আছে কামাল না কী নাম যেন, মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল?’
সুলতান মাহমুদের চোখ আনন্দাশ্রুতে চিকচিক করছিল।
গুণীজনদের সম্মান করার বিশাল গুণ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কবি সিকান্দর আবু জাফর, উপাচার্য আবুল ফজল, অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম, ব্যাংকার এ কে এন আহমদ, সরকারি কর্মকর্তা কে এম আহসান, কবি সুফিয়া কামাল, কথাশিল্পী শওকত ওসমান, অধ্যাপক কবীর চৌধুরীসহ আরও কয়েকজনকে যেন বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে আনা হয়।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একবার তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে আমন্ত্রণ করেছেন। সঙ্গে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন ও রোকনুজ্জামান দাদাভাই। বঙ্গবন্ধু গণভবনের লেকে নিজ হাতে মাছদের বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে স্বগতোক্তির মতো বলছিলেন, ‘প্রকৃতির কী সুন্দর বিধান। পানির মাছ পর্যন্ত স্নেহের আহ্বানে সাড়া দেয়।’
শিল্পাচার্য প্রায় অর্ধ উন্মীলিত চোখে বলেছিলেন, ‘মানুষেরা কিন্তু সকল সময় তেমন নয়, অনেক সময়ই বিশ্বাসহন্তার কাজ করে তারা।’
এ ঘটনার কিছুকাল পরেই সেই বিশ্বাসহন্তা হয়েছিল এ দেশেরই একশ্রেণির কুলাঙ্গার। তারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
সূত্র: ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, প্রথম দর্শনে বঙ্গবন্ধু, পৃষ্ঠা ২৮-৩১
বিসিকের পরিকল্পনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ১৯৭৩ সালে জানলেন, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে উপসচিব পদে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। নির্ধারিত দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গেলেন তিনি। পাইপ টানার ফাঁকে স্মিত হাসছিলেন বঙ্গবন্ধু। চাকরি তো হয়ে গেল। এরপর বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে দেখেছেন তিনি। তারই দুটো কথা আজ বলব।
নাটোর গণভবনে হেলিকপ্টারে যাবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী হেলিকপ্টারের ক্রুদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো। নেতৃত্বদানকারী স্কোয়াড্রন লিডার সুলতান মাহমুদকে দেখে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘কি হে, তুমি দাগনভূঁইয়ার দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের নূরুল হুদার ছেলে না? তাঁর মতো দশ-বিশটা লোক সোনার বাংলা গড়তে পারে। কেমন আছেন তিনি? আর ওই যে তোমার একটা চঞ্চল ছোট ভাই আছে কামাল না কী নাম যেন, মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল?’
সুলতান মাহমুদের চোখ আনন্দাশ্রুতে চিকচিক করছিল।
গুণীজনদের সম্মান করার বিশাল গুণ ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁর সুস্পষ্ট নির্দেশ ছিল অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক, কবি সিকান্দর আবু জাফর, উপাচার্য আবুল ফজল, অধ্যাপক নীলিমা ইব্রাহিম, ব্যাংকার এ কে এন আহমদ, সরকারি কর্মকর্তা কে এম আহসান, কবি সুফিয়া কামাল, কথাশিল্পী শওকত ওসমান, অধ্যাপক কবীর চৌধুরীসহ আরও কয়েকজনকে যেন বিশেষভাবে অভ্যর্থনা জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর সামনে আনা হয়।
রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর একবার তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনকে আমন্ত্রণ করেছেন। সঙ্গে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মুতী শরফুদ্দীন ও রোকনুজ্জামান দাদাভাই। বঙ্গবন্ধু গণভবনের লেকে নিজ হাতে মাছদের বিস্কুট খাওয়াতে খাওয়াতে স্বগতোক্তির মতো বলছিলেন, ‘প্রকৃতির কী সুন্দর বিধান। পানির মাছ পর্যন্ত স্নেহের আহ্বানে সাড়া দেয়।’
শিল্পাচার্য প্রায় অর্ধ উন্মীলিত চোখে বলেছিলেন, ‘মানুষেরা কিন্তু সকল সময় তেমন নয়, অনেক সময়ই বিশ্বাসহন্তার কাজ করে তারা।’
এ ঘটনার কিছুকাল পরেই সেই বিশ্বাসহন্তা হয়েছিল এ দেশেরই একশ্রেণির কুলাঙ্গার। তারা সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল।
সূত্র: ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, প্রথম দর্শনে বঙ্গবন্ধু, পৃষ্ঠা ২৮-৩১
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে