শাকিলা ববি, সিলেট
ইফতারে আখনি অনেকটা আবশ্যিক উপকরণ হয়ে উঠেছে সিলেট অঞ্চলে। আখনি না থাকলে যেন অপূর্ণ থেকে যায় সিলেটবাসীর ইফতার। যুগের পরিবর্তনে নিত্যনতুন পদের খাবার ইফতারের তালিকা সমৃদ্ধ করেছে। তবে সিলেটের মানুষের রুচির পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই বাসায় তৈরি হোক কিংবা রেস্টুরেন্ট থেকে আনা হোক, ইফতারে আখনি চাই-ই চাই।
রমজানের শুরু থেকেই বাহারি স্বাদের উপকরণ নিয়ে জমে উঠেছে সিলেট নগরের ইফতারির বাজার। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ইফতারির বাজার সরগরম হয়ে ওঠে। নগরীর জিন্দাবাজারের পানসী, পাল্কি, পাঁচভাইসহ সব রেস্টুরেন্টে তৈরি ও বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী আখনি। রেস্টুরেন্টগুলোতে ৪০ থেকে ৬০ পদের বাহারি ইফতারসামগ্রী সাজানো থাকে। তবে বাহারি এসব খাবারের মধ্যেও সিলেটের ঐতিহ্য আখনির চাহিদাই বেশি ইফতারির বাজারে। আগে আখনি, এর পাশাপাশি অন্য ইফতারসামগ্রী কেনেন রোজাদাররা।
সিলেটিদের কাছে পরিচিত খাবার হলেও আখনি সম্পর্কে ধারণা সবার নেই। অনেকটা বিরিয়ানির মতো হলেও আখনি মসলাবহুল খাবার। খেতে কিছুটা ঝাঁঝালোও। আখনি তৈরিতে সাধারণত সুগন্ধি চাল, মুরগি, গরু বা খাসির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে ব্যবহার হয়। কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া চাল দিয়েও আখনি তৈরি করা যায়। সঙ্গে মসলা হিসেবে থাকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, ডালচিনি, এলাচি, গোলমরিচ, মটরশুঁটি, জায়ফল-জয়ত্রী, ঘি, তেল ইত্যাদি। অনেকটা বিরিয়ানির মতোই রান্না করতে হয় আখনি।
নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকার গৃহিণী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের বাসার ইফতারির প্রধান উপকরণ আখনি। পিয়াজি, আলুর চপ, ছোলার সঙ্গে আখনি না হলে ইফতারে পূর্ণতা আসে না। তাই প্রতিদিনই বাসায় ইফতারে আখনি রান্না করা হয়।’
সিলেটের রোজাদারদের ইফতারে আখনির চাহিদা থাকায় রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন স্বাদের আখনি রাখা হয়। মাটন আখনি, বিফ আখনি, চিকেন আখনি পাওয়া যাচ্ছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের উপকরণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বিফ আখনি, পাতলা খিচুড়ি ও স্পেশাল জিলাপি। এ ছাড়া রমজানজুড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান পদ হিসেবে পাঠানো হয় আখনি।
নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা বুশরা নূর। গতকাল রোববার পানসী রেস্টুরেন্ট থেকে তিনি কিনেছেন বিফ আখনি। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার থাকে সুনামগঞ্জে। লেখাপড়ার জন্য আমরা কয়েকজন মিলে মেসে থাকি। ইফতারি তৈরি করার সময় নেই, তাই আখনি কিনে নিলাম। কারণ, আখনি হলো ইফতারের প্রধান আইটেম। সঙ্গে পিয়াজি, ছোলা, বেগুনি নিয়েছি।’
সিলেট নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় আখনি। বিফ ও মাটন আখনি ৩০০ টাকা কেজি এবং চিকেন আখনি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে রেস্টুরেন্ট ভেদে দামের কিছুটা তারতম্য আছে।
নগরীর পানসী রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, ‘ইফতারের আইটেমের মধ্যে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে আখনি। তাই রোজার সময় আখনির অনেক চাহিদা থাকে। আমরা বিফ ও চিকেন আখনি বিক্রি করি। যারা রেস্টুরেন্টে বসে খান, তাঁরাও আখনি খান। অনেকে বাসায়ও নিয়ে যান।’
ইফতারে আখনি অনেকটা আবশ্যিক উপকরণ হয়ে উঠেছে সিলেট অঞ্চলে। আখনি না থাকলে যেন অপূর্ণ থেকে যায় সিলেটবাসীর ইফতার। যুগের পরিবর্তনে নিত্যনতুন পদের খাবার ইফতারের তালিকা সমৃদ্ধ করেছে। তবে সিলেটের মানুষের রুচির পরিবর্তন করতে পারেনি। তাই বাসায় তৈরি হোক কিংবা রেস্টুরেন্ট থেকে আনা হোক, ইফতারে আখনি চাই-ই চাই।
রমজানের শুরু থেকেই বাহারি স্বাদের উপকরণ নিয়ে জমে উঠেছে সিলেট নগরের ইফতারির বাজার। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ইফতারির বাজার সরগরম হয়ে ওঠে। নগরীর জিন্দাবাজারের পানসী, পাল্কি, পাঁচভাইসহ সব রেস্টুরেন্টে তৈরি ও বিক্রি হয় ঐতিহ্যবাহী আখনি। রেস্টুরেন্টগুলোতে ৪০ থেকে ৬০ পদের বাহারি ইফতারসামগ্রী সাজানো থাকে। তবে বাহারি এসব খাবারের মধ্যেও সিলেটের ঐতিহ্য আখনির চাহিদাই বেশি ইফতারির বাজারে। আগে আখনি, এর পাশাপাশি অন্য ইফতারসামগ্রী কেনেন রোজাদাররা।
সিলেটিদের কাছে পরিচিত খাবার হলেও আখনি সম্পর্কে ধারণা সবার নেই। অনেকটা বিরিয়ানির মতো হলেও আখনি মসলাবহুল খাবার। খেতে কিছুটা ঝাঁঝালোও। আখনি তৈরিতে সাধারণত সুগন্ধি চাল, মুরগি, গরু বা খাসির মাংস ছোট ছোট টুকরো করে ব্যবহার হয়। কালিজিরা ও চিনিগুঁড়া চাল দিয়েও আখনি তৈরি করা যায়। সঙ্গে মসলা হিসেবে থাকে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, কাঁচা মরিচ, ডালচিনি, এলাচি, গোলমরিচ, মটরশুঁটি, জায়ফল-জয়ত্রী, ঘি, তেল ইত্যাদি। অনেকটা বিরিয়ানির মতোই রান্না করতে হয় আখনি।
নগরীর সাগরদীঘিরপাড় এলাকার গৃহিণী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমাদের বাসার ইফতারির প্রধান উপকরণ আখনি। পিয়াজি, আলুর চপ, ছোলার সঙ্গে আখনি না হলে ইফতারে পূর্ণতা আসে না। তাই প্রতিদিনই বাসায় ইফতারে আখনি রান্না করা হয়।’
সিলেটের রোজাদারদের ইফতারে আখনির চাহিদা থাকায় রেস্টুরেন্টগুলোতে বিভিন্ন স্বাদের আখনি রাখা হয়। মাটন আখনি, বিফ আখনি, চিকেন আখনি পাওয়া যাচ্ছে রেস্টুরেন্টগুলোতে। রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ইফতারের উপকরণগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে বিফ আখনি, পাতলা খিচুড়ি ও স্পেশাল জিলাপি। এ ছাড়া রমজানজুড়ে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ইফতারি পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রধান পদ হিসেবে পাঠানো হয় আখনি।
নগরীর পূর্ব জিন্দাবাজার এলাকার বাসিন্দা বুশরা নূর। গতকাল রোববার পানসী রেস্টুরেন্ট থেকে তিনি কিনেছেন বিফ আখনি। তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার থাকে সুনামগঞ্জে। লেখাপড়ার জন্য আমরা কয়েকজন মিলে মেসে থাকি। ইফতারি তৈরি করার সময় নেই, তাই আখনি কিনে নিলাম। কারণ, আখনি হলো ইফতারের প্রধান আইটেম। সঙ্গে পিয়াজি, ছোলা, বেগুনি নিয়েছি।’
সিলেট নগরীর রেস্টুরেন্টগুলোতে কেজি হিসেবে বিক্রি হয় আখনি। বিফ ও মাটন আখনি ৩০০ টাকা কেজি এবং চিকেন আখনি ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়। তবে রেস্টুরেন্ট ভেদে দামের কিছুটা তারতম্য আছে।
নগরীর পানসী রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আহমেদ বলেন, ‘ইফতারের আইটেমের মধ্যে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে আখনি। তাই রোজার সময় আখনির অনেক চাহিদা থাকে। আমরা বিফ ও চিকেন আখনি বিক্রি করি। যারা রেস্টুরেন্টে বসে খান, তাঁরাও আখনি খান। অনেকে বাসায়ও নিয়ে যান।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে