সম্পাদকীয়
কলকাতার পার্কসার্কাসে জন্ম শহীদ কাদরীর। ১৯৪২ সালে। বাবার মৃত্যুর পর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন তাঁরা। বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন খোকন। তিনি একদিন এসে শহীদের বড় ভাই শাহেদের খোঁজ করছিলেন। তিনি শহীদকে বলেন, ‘তুই শামসুর রাহমানের কবিতা পড়েছিস? নাম শুনেছিস?’
‘না তো, আমি নাম জানি না।’
‘আরে তাঁর কবিতা তো দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়। দেশ পত্রিকায় কখনো দেখিসনি?’
‘না তো!’
‘আচ্ছা, আমি বাচ্চু ভাইকে তোর কথা বলব।’ বলে চলে যান খোকন।
মহিউদ্দিন আহমদের ছদ্মনাম ছিল আহমদ মীর। তিনি ‘স্পন্দন’ নামে পত্রিকা বের করতেন ওয়ারী থেকে। তাঁর পত্রিকায়ই ছাপা হলো শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ‘পরিক্রমা’। কবিতাটি ছিল মার্ক্সিস্ট কবিতা। দ্বিতীয় কবিতাটিও ছাপা হয় সেখানেই ‘জলকন্যার জন্য’ নামে। স্পন্দন খুলে কেউ তাঁর কবিতা পড়ছে কি না, সেটা দেখার জন্য খান মজলিসের বুক স্টলে যেতেন শহীদ কাদরী। একদিন দেখেন শামসুর রাহমান সেখানে দাঁড়িয়ে ‘স্পন্দন’ খুলে কবিতা পড়ছেন। শামসুর রাহমানকে শহীদ কাদরী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কেমন লাগল “জলকন্যার জন্য” কবিতাটা?’ শামসুর রাহমান হেসে বললেন, ‘আপনি কি শহীদ কাদরী? আপনার কথা তো খোকন আমাকে বলেছে।’
শহীদের পকেটে এক টাকা ছিল। সদরঘাটের রিভার ভিউ ক্যাফেতে শামসুর রাহমানকে নিয়ে গেলেন তিনি। চা-বিস্কুট নিয়ে বসলেন। শহীদ বললেন, ‘আমার কাছে আরেকটা কবিতা আছে, শুনবেন?’
শামসুর রাহমান শুনলেন। সে কবিতায় একটা লাইন ছিল, ‘মেয়েটা সারারাত জেগে ভূল বানানে কবিতা লেখে...’।
শামসুর রাহমান বললেন, ‘আপনার “ভূল” বানানটা কিন্তু ভুল।’
এভাবে শুরু হলো কথা। শামসুর রাহমানের আশিক লেনের বাড়ি যান সেখান থেকে। তাঁর ছাপা হওয়া কবিতার বান্ডিল বের করে শুনিয়ে যান একের পর এক কবিতা। গাঢ় হলো বন্ধুত্বের বন্ধন।
সূত্র: জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, শহীদ কাদরী লেখা না-লেখার গল্প, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬
কলকাতার পার্কসার্কাসে জন্ম শহীদ কাদরীর। ১৯৪২ সালে। বাবার মৃত্যুর পর বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের কয়েক দিন আগে পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন তাঁরা। বড় ভাইয়ের বন্ধু ছিলেন খোকন। তিনি একদিন এসে শহীদের বড় ভাই শাহেদের খোঁজ করছিলেন। তিনি শহীদকে বলেন, ‘তুই শামসুর রাহমানের কবিতা পড়েছিস? নাম শুনেছিস?’
‘না তো, আমি নাম জানি না।’
‘আরে তাঁর কবিতা তো দেশ পত্রিকায় ছাপা হয়। দেশ পত্রিকায় কখনো দেখিসনি?’
‘না তো!’
‘আচ্ছা, আমি বাচ্চু ভাইকে তোর কথা বলব।’ বলে চলে যান খোকন।
মহিউদ্দিন আহমদের ছদ্মনাম ছিল আহমদ মীর। তিনি ‘স্পন্দন’ নামে পত্রিকা বের করতেন ওয়ারী থেকে। তাঁর পত্রিকায়ই ছাপা হলো শহীদ কাদরীর প্রথম কবিতা ‘পরিক্রমা’। কবিতাটি ছিল মার্ক্সিস্ট কবিতা। দ্বিতীয় কবিতাটিও ছাপা হয় সেখানেই ‘জলকন্যার জন্য’ নামে। স্পন্দন খুলে কেউ তাঁর কবিতা পড়ছে কি না, সেটা দেখার জন্য খান মজলিসের বুক স্টলে যেতেন শহীদ কাদরী। একদিন দেখেন শামসুর রাহমান সেখানে দাঁড়িয়ে ‘স্পন্দন’ খুলে কবিতা পড়ছেন। শামসুর রাহমানকে শহীদ কাদরী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার কেমন লাগল “জলকন্যার জন্য” কবিতাটা?’ শামসুর রাহমান হেসে বললেন, ‘আপনি কি শহীদ কাদরী? আপনার কথা তো খোকন আমাকে বলেছে।’
শহীদের পকেটে এক টাকা ছিল। সদরঘাটের রিভার ভিউ ক্যাফেতে শামসুর রাহমানকে নিয়ে গেলেন তিনি। চা-বিস্কুট নিয়ে বসলেন। শহীদ বললেন, ‘আমার কাছে আরেকটা কবিতা আছে, শুনবেন?’
শামসুর রাহমান শুনলেন। সে কবিতায় একটা লাইন ছিল, ‘মেয়েটা সারারাত জেগে ভূল বানানে কবিতা লেখে...’।
শামসুর রাহমান বললেন, ‘আপনার “ভূল” বানানটা কিন্তু ভুল।’
এভাবে শুরু হলো কথা। শামসুর রাহমানের আশিক লেনের বাড়ি যান সেখান থেকে। তাঁর ছাপা হওয়া কবিতার বান্ডিল বের করে শুনিয়ে যান একের পর এক কবিতা। গাঢ় হলো বন্ধুত্বের বন্ধন।
সূত্র: জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত, শহীদ কাদরী লেখা না-লেখার গল্প, পৃষ্ঠা ৪৫-৪৬
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে