আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
বড় বড় একেকটি প্রকল্পে একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। এর মধ্যেই বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আরও বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পর্যটনের চিত্র তো বদলাবেই, রাস্তাঘাট উন্নত হবে, উন্নতি হবে জীবনমানের। আগামী তিন বছরের মধ্যে যা অনেকটাই দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যত মেগা প্রকল্প
মেগা প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর থেকে প্রায় ৬ গুণ বড় আকারের বে টার্মিনাল ২০২৪ সালেই দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া বড় বড় মাদার ভেসেল যাতে বন্দরে ভিড়তে পারে সে জন্য মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ চলছে। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে মাতারবাড়ীতে কোল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম নগরে পানির সমস্যা সমাধানে গত ১০ বছরে পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওয়াসা। বৈদেশিক বাণিজ্য আকৃষ্ট করতে মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগর প্রকল্প।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আমাদের চারটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ, ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, ৩৪০ কোটি টাকায় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণ এবং কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।’
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রেললাইনের কাজ প্রায় ৬৯ শতাংশ শেষ। ২০২৩ সালের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করা হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, নগরে পানি সমস্যা সমাধানে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকায় পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটি প্রকল্প শেষ হয়েছে। দুটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের আয়তনের ৬ গুণ বড় প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বে টার্মিনাল।
চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিম পাশে আউটার রিং রোডের কোল ঘেঁষে ৩৫০০ মিটার এলাকা নিয়ে বে টার্মিনালের অবস্থান। প্রায় এক দশক আগে এই টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরই এটি চালু করা হবে।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রায় ৩২ একর জমির ওপর নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নিয়মে পরিচালিত হবে। এ জন্য ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার।
সূত্র জানায়, মহেশখালীতে বড় বড় জাহাজ ভেড়ানোর জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। ২০২৬ সালেই শেষ হবে এই প্রকল্প। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে মাতারবাড়ীতে নির্মাণ করা হচ্ছে মাতারবাড়ী আলটা সুপারক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। ১ হাজার ৪০০ একর জায়গার ওপর বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের কাজ ৬৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।
বড় বড় একেকটি প্রকল্পে একটু একটু করে বদলে যাচ্ছে চট্টগ্রাম। এর মধ্যেই বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আরও বেশ কিছু বড় প্রকল্পের কাজ চলছে। সব মিলিয়ে প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার কাজ হচ্ছে। সব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে পর্যটনের চিত্র তো বদলাবেই, রাস্তাঘাট উন্নত হবে, উন্নতি হবে জীবনমানের। আগামী তিন বছরের মধ্যে যা অনেকটাই দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
যত মেগা প্রকল্প
মেগা প্রকল্পের মধ্যে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বন্দর থেকে প্রায় ৬ গুণ বড় আকারের বে টার্মিনাল ২০২৪ সালেই দৃশ্যমান হবে। এ ছাড়া বড় বড় মাদার ভেসেল যাতে বন্দরে ভিড়তে পারে সে জন্য মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ চলছে। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে মাতারবাড়ীতে কোল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম নগরে পানির সমস্যা সমাধানে গত ১০ বছরে পাঁচটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে ওয়াসা। বৈদেশিক বাণিজ্য আকৃষ্ট করতে মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্পনগর প্রকল্প।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ‘আমাদের চারটি প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প, নগরীর লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত বিমানবন্দর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ, ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকায় চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড, ৩৪০ কোটি টাকায় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লিংক রোড নির্মাণ এবং কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই পর্যন্ত ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকায় সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।’
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন রেললাইনের কাজ প্রায় ৬৯ শতাংশ শেষ। ২০২৩ সালের মধ্যেই বাকি কাজ শেষ করা হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, নগরে পানি সমস্যা সমাধানে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকায় পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে তিনটি প্রকল্প শেষ হয়েছে। দুটি প্রকল্পের কাজ চলছে।
বন্দর সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরের আয়তনের ৬ গুণ বড় প্রায় ২ হাজার ৫০০ একর জমির ওপর নির্মিত হচ্ছে বে টার্মিনাল।
চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিম পাশে আউটার রিং রোডের কোল ঘেঁষে ৩৫০০ মিটার এলাকা নিয়ে বে টার্মিনালের অবস্থান। প্রায় এক দশক আগে এই টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। এ ছাড়া পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। চলতি বছরই এটি চালু করা হবে।
বন্দর সূত্র জানায়, প্রায় ৩২ একর জমির ওপর নির্মিত পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করতে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। এ পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) নিয়মে পরিচালিত হবে। এ জন্য ‘ইকুইপ, অপারেট অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স অব পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল’ প্রকল্পের নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার।
সূত্র জানায়, মহেশখালীতে বড় বড় জাহাজ ভেড়ানোর জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হচ্ছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। ২০২৬ সালেই শেষ হবে এই প্রকল্প। বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে মাতারবাড়ীতে নির্মাণ করা হচ্ছে মাতারবাড়ী আলটা সুপারক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ৫১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। ১ হাজার ৪০০ একর জায়গার ওপর বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের কাজ ৬৬ শতাংশ শেষ হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে