সম্পাদকীয়
নজরুলের ‘যুগবাণী’ নিষিদ্ধ হয়েছিল ১৯২২ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে এক শ বছর আগে। ১৯২৪ সালে নজরুলের আরও দুটি বই বাজেয়াপ্ত হয়—‘বিষের বাঁশী’ আর ‘ভাঙার গান’। ‘বিষের বাঁশী’র প্রকাশক ছিলেন স্বয়ং কবি।
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদে দেখা যায় একটি রিক্তপাত্র কিশোর হাঁটু মুড়ে বসে বাঁশের বাঁশি বাজাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে আছে তীক্ষ্ণ জিহ্বা বিশাল বিষধর। ছবিটি এঁকেছিলেন কল্লোলের সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাশ। নজরুল তাঁর সম্পর্কে বলছেন, ‘প্রথিতযশা কবি-শিল্পী, আমার ঝড়ের রাতের বন্ধু।’
প্রথম এ বইটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৎকালীন বেঙ্গল লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান বাবু অক্ষয়কুমার দত্তগুপ্ত। ১৯২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি সরকারের পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের কাছে ‘বিষের বাঁশী’ থেকে উদ্ধৃত অংশ ইংরেজি করা অংশ পাঠান। বইটি সম্পর্কে মতামত নেওয়ার জন্য তিনি তা গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করেন। এই সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার টেগার্টও চিফ সেক্রেটারিকে চিঠি লেখেন। টেগার্ট সুপারিশ করেন, ‘কবিতাগুলো মারাত্মক, অবিলম্বে বইটি বাজেয়াপ্ত করা উচিত।’ এর কয়েক দিন পরই ১৯২৪ সালের ২২ অক্টোবর বইটি বাজেয়াপ্ত হয়। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪৪টি বই আটক করা হয়।
কিন্তু তাতে ‘বিষের বাঁশী’র চাহিদা আরও বেড়ে যায়। বইয়ের ফর্মা তো ছাপা হয়েছিল আগে, সব বই তো বাঁধাই হয়নি। তাই কোন দপ্তরির গুদামের কোন কাগজপত্রের ফাঁকে ছাপানো ফর্মাগুলো লুকিয়ে আছে, সেটা তো আর পুলিশ জানত না। গোপনে প্রচ্ছদ ছাড়াই ফর্মাগুলো যুবকদের হাতে চলে যেত। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও নজরুলের বইগুলো নানা সভায়, সম্মিলনে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হতো। কলকাতায় অলি-গলি-ফুটপাতেও তা বিক্রি হয়েছে। তবে এই বিক্রির লভ্যাংশ নজরুলের হাত পর্যন্ত পৌঁছেছিল কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নজরুলের বন্ধু অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।
‘বিষের বাঁশী’র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ১৯৪৫ সালে বাংলা সরকারের একটি আদেশে।
সূত্র: শিশির কর, ব্রিটিশ শাসনের বাজেয়াপ্ত বাংলা বই, পৃষ্ঠা ২৮৪-২৮৭
নজরুলের ‘যুগবাণী’ নিষিদ্ধ হয়েছিল ১৯২২ সালে, অর্থাৎ আজ থেকে এক শ বছর আগে। ১৯২৪ সালে নজরুলের আরও দুটি বই বাজেয়াপ্ত হয়—‘বিষের বাঁশী’ আর ‘ভাঙার গান’। ‘বিষের বাঁশী’র প্রকাশক ছিলেন স্বয়ং কবি।
প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদে দেখা যায় একটি রিক্তপাত্র কিশোর হাঁটু মুড়ে বসে বাঁশের বাঁশি বাজাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে আছে তীক্ষ্ণ জিহ্বা বিশাল বিষধর। ছবিটি এঁকেছিলেন কল্লোলের সম্পাদক দীনেশরঞ্জন দাশ। নজরুল তাঁর সম্পর্কে বলছেন, ‘প্রথিতযশা কবি-শিল্পী, আমার ঝড়ের রাতের বন্ধু।’
প্রথম এ বইটি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৎকালীন বেঙ্গল লাইব্রেরির লাইব্রেরিয়ান বাবু অক্ষয়কুমার দত্তগুপ্ত। ১৯২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি সরকারের পাবলিক ইনস্ট্রাকশনের কাছে ‘বিষের বাঁশী’ থেকে উদ্ধৃত অংশ ইংরেজি করা অংশ পাঠান। বইটি সম্পর্কে মতামত নেওয়ার জন্য তিনি তা গোয়েন্দা বিভাগে পাঠানোর সুপারিশ করেন। এই সুপারিশের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনার টেগার্টও চিফ সেক্রেটারিকে চিঠি লেখেন। টেগার্ট সুপারিশ করেন, ‘কবিতাগুলো মারাত্মক, অবিলম্বে বইটি বাজেয়াপ্ত করা উচিত।’ এর কয়েক দিন পরই ১৯২৪ সালের ২২ অক্টোবর বইটি বাজেয়াপ্ত হয়। বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ৪৪টি বই আটক করা হয়।
কিন্তু তাতে ‘বিষের বাঁশী’র চাহিদা আরও বেড়ে যায়। বইয়ের ফর্মা তো ছাপা হয়েছিল আগে, সব বই তো বাঁধাই হয়নি। তাই কোন দপ্তরির গুদামের কোন কাগজপত্রের ফাঁকে ছাপানো ফর্মাগুলো লুকিয়ে আছে, সেটা তো আর পুলিশ জানত না। গোপনে প্রচ্ছদ ছাড়াই ফর্মাগুলো যুবকদের হাতে চলে যেত। নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও নজরুলের বইগুলো নানা সভায়, সম্মিলনে প্রায় প্রকাশ্যেই বিক্রি হতো। কলকাতায় অলি-গলি-ফুটপাতেও তা বিক্রি হয়েছে। তবে এই বিক্রির লভ্যাংশ নজরুলের হাত পর্যন্ত পৌঁছেছিল কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নজরুলের বন্ধু অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত।
‘বিষের বাঁশী’র ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যায় ১৯৪৫ সালে বাংলা সরকারের একটি আদেশে।
সূত্র: শিশির কর, ব্রিটিশ শাসনের বাজেয়াপ্ত বাংলা বই, পৃষ্ঠা ২৮৪-২৮৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে