সম্পাদকীয়
১৯৭১ সালের স্বাধিকার আন্দোলনে শুধু রাজনীতিবিদেরাই নন, যুক্ত হয়েছিলেন দেশের সব মানুষ। ১ মার্চ দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ভাষণের পর সারা বাংলা হয়ে উঠেছিল বিক্ষুব্ধ।
টেলিভিশন, বেতার, চলচ্চিত্র, চারু ও কারুশিল্পীরাও নেমেছিলেন রাজপথে।
৬ মার্চ ঢাকার শিল্পীসমাজ বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানুর সভাপতিত্বে একটি সমাবেশ করে। গঠিত হয় ‘বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজ’। ৫ মার্চ থেকেই শিল্পীরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছিলেন। ৯ মার্চ তাঁরা মুক্তিসংগ্রামের চেতনাকে জাগ্রত করার শর্তে কর্মবিরতি শেষ করে কাজে যোগ দেন। ১২ মার্চ ঢাকার আর্টস কাউন্সিল গ্যালারিতে বিকেল ৪টায় চারু ও কারুশিল্পীদের সভা হয়। সেখানে মুর্তজা বশীর ও কাইয়ুম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চারু ও কারুশিল্পী সংগ্রাম পরিষদ যে সমাবেশের আয়োজন করে, সেই সমাবেশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও মুর্তজা বশীর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। সভার পর যে মিছিল হয়, তাতে চারজন ছাত্রীর বুকে বহন করা হয় বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘স্বা-ধী-ন-তা’ শব্দটি।
২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইটের পর যখন মনে হচ্ছিল সবকিছু ভেঙেচুরে যাচ্ছে, তখন মুর্তজা বশীর দেশেই লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সপরিবারে দেশত্যাগ করে প্যারিসে চলে যান। কিন্তু তাঁর মন খচখচ করতে থাকে। তাঁর মনে পড়ে, ১৬ মার্চ শহীদ মিনার থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত ‘স্বা-ধী-ন-তা’ বুকে ধারণ করে যে মিছিলটি হয়, তাঁর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মনে একধরনের পাপবোধ আসে। ফ্রান্সের টেলিভিশনে কিংবা পত্রিকার পাতায় আত্মোৎসর্গীকৃত যুবকদের ছবি দেখে তিনি মর্মপীড়ায় ভুগতে শুরু করেন। ভাবেন, যাঁরা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করছেন, তাঁদের নাম কোনো স্মৃতিস্তম্ভে উৎকীর্ণ হবে না। সবাই তাঁদের রাজনৈতিক কর্মীদের নাম লিপিবদ্ধ করবেন। সেই অজানা নামহীন শহীদদের উদ্দেশে মুর্তজা বশীর নিবেদন করলেন ৩৭টি চিত্রমালা, ‘এপিটাফ ফর দ্য মার্টারস’।
সূত্র: মুর্তজা বশীর, আমার জীবন ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ২৭৯,৩৪৪
১৯৭১ সালের স্বাধিকার আন্দোলনে শুধু রাজনীতিবিদেরাই নন, যুক্ত হয়েছিলেন দেশের সব মানুষ। ১ মার্চ দেশের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ভাষণের পর সারা বাংলা হয়ে উঠেছিল বিক্ষুব্ধ।
টেলিভিশন, বেতার, চলচ্চিত্র, চারু ও কারুশিল্পীরাও নেমেছিলেন রাজপথে।
৬ মার্চ ঢাকার শিল্পীসমাজ বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানুর সভাপতিত্বে একটি সমাবেশ করে। গঠিত হয় ‘বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজ’। ৫ মার্চ থেকেই শিল্পীরা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছিলেন। ৯ মার্চ তাঁরা মুক্তিসংগ্রামের চেতনাকে জাগ্রত করার শর্তে কর্মবিরতি শেষ করে কাজে যোগ দেন। ১২ মার্চ ঢাকার আর্টস কাউন্সিল গ্যালারিতে বিকেল ৪টায় চারু ও কারুশিল্পীদের সভা হয়। সেখানে মুর্তজা বশীর ও কাইয়ুম চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে একটি সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৬ মার্চ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চারু ও কারুশিল্পী সংগ্রাম পরিষদ যে সমাবেশের আয়োজন করে, সেই সমাবেশে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ও মুর্তজা বশীর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন। সভার পর যে মিছিল হয়, তাতে চারজন ছাত্রীর বুকে বহন করা হয় বড় বড় অক্ষরে লেখা ‘স্বা-ধী-ন-তা’ শব্দটি।
২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইটের পর যখন মনে হচ্ছিল সবকিছু ভেঙেচুরে যাচ্ছে, তখন মুর্তজা বশীর দেশেই লুকিয়ে ছিলেন। কিন্তু নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সপরিবারে দেশত্যাগ করে প্যারিসে চলে যান। কিন্তু তাঁর মন খচখচ করতে থাকে। তাঁর মনে পড়ে, ১৬ মার্চ শহীদ মিনার থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত ‘স্বা-ধী-ন-তা’ বুকে ধারণ করে যে মিছিলটি হয়, তাঁর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। মনে একধরনের পাপবোধ আসে। ফ্রান্সের টেলিভিশনে কিংবা পত্রিকার পাতায় আত্মোৎসর্গীকৃত যুবকদের ছবি দেখে তিনি মর্মপীড়ায় ভুগতে শুরু করেন। ভাবেন, যাঁরা অকাতরে জীবন উৎসর্গ করছেন, তাঁদের নাম কোনো স্মৃতিস্তম্ভে উৎকীর্ণ হবে না। সবাই তাঁদের রাজনৈতিক কর্মীদের নাম লিপিবদ্ধ করবেন। সেই অজানা নামহীন শহীদদের উদ্দেশে মুর্তজা বশীর নিবেদন করলেন ৩৭টি চিত্রমালা, ‘এপিটাফ ফর দ্য মার্টারস’।
সূত্র: মুর্তজা বশীর, আমার জীবন ও অন্যান্য, পৃষ্ঠা ২৭৯,৩৪৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে