মিরাজ শাওন, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে
ভোরের আলো না ওঠায় দূর থেকে পাহাড়টি ধূসর দেখাচ্ছিল। মেঘে ঢাকা পড়েছিল পাহাড়ের চূড়া। সীতাকুণ্ড আগলে আছে ব্যাসকুন্ড থেকে শুরু হওয়া এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শাখাগত সারিবদ্ধ ছোট-বড় পাহাড়ে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পাহাড়কে ঘিরে অসংখ্য লোককথা প্রচলিত রয়েছে। রাম-সীতার পৌরানিক কাহিনীর সঙ্গে ভারতবর্ষের যেসব স্থান জড়িত, তার মধ্যে অন্যতম সীতাকুণ্ড এবং এর ১ হাজার ১২৫ ফুট উঁচু চন্দ্রনাথ পাহাড়। সীতার কুণ্ড ও রাম-লক্ষ্মণের স্মৃতিবিজড়িত এই পাহাড়ের পাদদেশের নাম নাকি রাম রেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী সীতার নামে। তখন থেকে এই এলাকা পরিচিত ‘সীতাকুণ্ড’ নামে। আরেকটি লোককথা অনুযায়ী, সীতা ওই অঞ্চলে গিয়ে কুণ্ডে স্নান করেছিলেন। সেই থেকে এর নাম সীতাকুণ্ড। তবে এসব দাবির পক্ষে সনাতন ধর্মের গ্রন্থগুলোয় সুস্পষ্ট কিছু পাওয়া যায় না।
এখানকার সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান। নিচ থেকেই পাহাড়চূড়ায় অস্পষ্ট চন্দ্রনাথ মন্দির চোখে পড়ে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে মন্দিরে পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। পুরো পথজুড়ে দেখা মিলবে আরও বেশ কয়েকটি ছোট-বড় মন্দির। পথে কিছু খাবার দোকানও আছে। পাহাড়ি কলা, ফল ও অন্যান্য খাবার সাজানো থাকে এসব দোকানে। বেশ কিছুক্ষণ পাহাড়ে ওঠার পর একটা ছোট ঝরনার দেখা পেলাম। ঝরনার দুপাশ দুটি পথে বিভক্ত হয়ে ওপরে উঠেছে। ডানদিকের পুরোটা পথেই সিঁড়ি। বামদিকের পথটা পাহাড়ি। পাহাড়ে ওঠার সময় মাটির পথ বেছে নিলে কষ্ট অনেকটাই কম হয়। পাহাড়ি পথেও কিছু ভাঙা সিঁড়ি আছে। পথের দুপাশ পাহাড়ি গাছ আর জুমে ভরপুর।
অনেকটা ওপরে ওঠার পর প্রকৃতির সৌন্দর্য বাকরুদ্ধই করে দিল। সবুজের সমারোহ যেন তার রূপ মেলে ধরেছে। দূরে হাতছানি দিচ্ছিল অস্পষ্ট সমুদ্র। হঠাৎ কানে ভেসে এল ট্রেনের শব্দ। আশপাশের লোকজন জানালেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন ওটা।
ভাঙা, দুর্গম পাহাড়ি পথ। পা পিছলালে আর রক্ষা নেই। প্রকৃতির এই ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পথে পড়বে আরেকটি মন্দির। বিরুপাক্ষ মন্দির। অনেকেই বিশ্রাম নেয় এখানে। এখান থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া বেশ স্পষ্ট। চূড়ার সমতলে দেখা মিলবে চন্দ্রনাথ মন্দিরের। এত ক্লান্তি নিয়ে সেখানে পৌঁছার পর প্রকৃতির সৌন্দর্য মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেবে মুহূর্তেই। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে দৃষ্টি মেললে কেবল একটা কথাই মনে আসবে—এ যেন সবুজ পাহাড় আর নীল সমুদ্রের মিতালি। তবে এদিক-ওদিক দৃষ্টি ঘোরালে ইট-কাঠের শহরের অবয়ব হয়তো কিছুটা বিরক্ত করতে চাইবে। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পর যেকেউ মুগ্ধ হবেন মেঘের রাজ্যে হারিয়ে। বাতাসের ডানায় ভর করে সবুজে ঘেরা ছোট পাহাড়গুলোর ওপর দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘের দল রূপকথার কোনো চিত্রপট মনে করিয়ে দিতে চাইবে।
ঝুঁকিপূর্ণ পথ, উঁচু ভাঙা সিঁড়ি, বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল মাটির পথ, সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অভিযানের দেখা মিলবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। প্রকৃতির এই নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করে ফিরতে হবে খাঁড়া সিঁড়ির পথ ধরেই। নামার পথ যতটা দুর্গম আর কঠিন, তার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর।
ভোরের আলো না ওঠায় দূর থেকে পাহাড়টি ধূসর দেখাচ্ছিল। মেঘে ঢাকা পড়েছিল পাহাড়ের চূড়া। সীতাকুণ্ড আগলে আছে ব্যাসকুন্ড থেকে শুরু হওয়া এই চন্দ্রনাথ পাহাড়ের শাখাগত সারিবদ্ধ ছোট-বড় পাহাড়ে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই পাহাড়কে ঘিরে অসংখ্য লোককথা প্রচলিত রয়েছে। রাম-সীতার পৌরানিক কাহিনীর সঙ্গে ভারতবর্ষের যেসব স্থান জড়িত, তার মধ্যে অন্যতম সীতাকুণ্ড এবং এর ১ হাজার ১২৫ ফুট উঁচু চন্দ্রনাথ পাহাড়। সীতার কুণ্ড ও রাম-লক্ষ্মণের স্মৃতিবিজড়িত এই পাহাড়ের পাদদেশের নাম নাকি রাম রেখেছিলেন তাঁর স্ত্রী সীতার নামে। তখন থেকে এই এলাকা পরিচিত ‘সীতাকুণ্ড’ নামে। আরেকটি লোককথা অনুযায়ী, সীতা ওই অঞ্চলে গিয়ে কুণ্ডে স্নান করেছিলেন। সেই থেকে এর নাম সীতাকুণ্ড। তবে এসব দাবির পক্ষে সনাতন ধর্মের গ্রন্থগুলোয় সুস্পষ্ট কিছু পাওয়া যায় না।
এখানকার সর্বোচ্চ পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত চন্দ্রনাথ মন্দির। এলাকাটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান। নিচ থেকেই পাহাড়চূড়ায় অস্পষ্ট চন্দ্রনাথ মন্দির চোখে পড়ে। পাহাড়ের ঢাল বেয়ে মন্দিরে পৌঁছাতে ঘণ্টাখানেক সময় লাগে। পুরো পথজুড়ে দেখা মিলবে আরও বেশ কয়েকটি ছোট-বড় মন্দির। পথে কিছু খাবার দোকানও আছে। পাহাড়ি কলা, ফল ও অন্যান্য খাবার সাজানো থাকে এসব দোকানে। বেশ কিছুক্ষণ পাহাড়ে ওঠার পর একটা ছোট ঝরনার দেখা পেলাম। ঝরনার দুপাশ দুটি পথে বিভক্ত হয়ে ওপরে উঠেছে। ডানদিকের পুরোটা পথেই সিঁড়ি। বামদিকের পথটা পাহাড়ি। পাহাড়ে ওঠার সময় মাটির পথ বেছে নিলে কষ্ট অনেকটাই কম হয়। পাহাড়ি পথেও কিছু ভাঙা সিঁড়ি আছে। পথের দুপাশ পাহাড়ি গাছ আর জুমে ভরপুর।
অনেকটা ওপরে ওঠার পর প্রকৃতির সৌন্দর্য বাকরুদ্ধই করে দিল। সবুজের সমারোহ যেন তার রূপ মেলে ধরেছে। দূরে হাতছানি দিচ্ছিল অস্পষ্ট সমুদ্র। হঠাৎ কানে ভেসে এল ট্রেনের শব্দ। আশপাশের লোকজন জানালেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী মেইল ট্রেন ওটা।
ভাঙা, দুর্গম পাহাড়ি পথ। পা পিছলালে আর রক্ষা নেই। প্রকৃতির এই ভয়ংকর সৌন্দর্য দেখতে দেখতে পথে পড়বে আরেকটি মন্দির। বিরুপাক্ষ মন্দির। অনেকেই বিশ্রাম নেয় এখানে। এখান থেকে চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়া বেশ স্পষ্ট। চূড়ার সমতলে দেখা মিলবে চন্দ্রনাথ মন্দিরের। এত ক্লান্তি নিয়ে সেখানে পৌঁছার পর প্রকৃতির সৌন্দর্য মন-প্রাণ জুড়িয়ে দেবে মুহূর্তেই। পাহাড়চূড়ায় দাঁড়িয়ে দৃষ্টি মেললে কেবল একটা কথাই মনে আসবে—এ যেন সবুজ পাহাড় আর নীল সমুদ্রের মিতালি। তবে এদিক-ওদিক দৃষ্টি ঘোরালে ইট-কাঠের শহরের অবয়ব হয়তো কিছুটা বিরক্ত করতে চাইবে। চন্দ্রনাথ পাহাড়ের চূড়ায় ওঠার পর যেকেউ মুগ্ধ হবেন মেঘের রাজ্যে হারিয়ে। বাতাসের ডানায় ভর করে সবুজে ঘেরা ছোট পাহাড়গুলোর ওপর দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘের দল রূপকথার কোনো চিত্রপট মনে করিয়ে দিতে চাইবে।
ঝুঁকিপূর্ণ পথ, উঁচু ভাঙা সিঁড়ি, বৃষ্টি হলে পিচ্ছিল মাটির পথ, সব মিলিয়ে দুর্দান্ত এক অভিযানের দেখা মিলবে চন্দ্রনাথ পাহাড়ে। প্রকৃতির এই নৈসর্গিক রূপ উপভোগ করে ফিরতে হবে খাঁড়া সিঁড়ির পথ ধরেই। নামার পথ যতটা দুর্গম আর কঠিন, তার চাইতে বেশি রোমাঞ্চকর।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে