সম্পাদকীয়
দারুণ একরোখা মানুষ ছিলেন সলিল চৌধুরীর বাবা। করতেন ডাক্তারি। সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধ করতেন গরিবের জন্য ভালো ওষুধ আনানোর জন্য। জীবনসংগ্রামে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে ছেলেমেয়েদের ডেকে বলতেন, ‘কবে তোরা বড় হবি, মানুষ হবি?’
যখন বাবাকে একটু অবসর দেওয়ার দরকার, তখন সলিল চৌধুরী যোগ দিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে, বাবার স্বপ্ন পূরণ না করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেওয়ায় আশাহত হলেন বাবা। তিনি চিঠি লিখলেন ছেলেকে, পত্রপাঠ পার্টির সঙ্গে সংস্রব ত্যাগ করে পড়াশোনায় মন দেওয়ার জন্য। ছেলে সলিল তাঁর বাবার যন্ত্রণা আর হতাশা বুঝলেন না। তিনি রেগে গেলেন, ভাবলেন, বাবা তাঁর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। লিখে দিলেন, ‘আমাকে আর টাকা পাঠাবেন না। আমি নিজের ভার নিজে নিতে পারব।’
বাবাকে এই আঘাত দেওয়া যে উচিত হয়নি, সেটা সলিল চৌধুরী বুঝেছেন অনেক বয়স হলে। বাবা কিন্তু টাকা পাঠানো বন্ধ করেননি। মামাবাড়ির ঠিকানায় সে টাকা যেত। সলিল চৌধুরী নিতেন না। সে টাকা আবার ফেরত যেত।
সলিল চৌধুরীর এমএ পরীক্ষার সময় বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শিলং হাসপাতালে ভর্তি হলেন। অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করতে হবে। সলিলের পরীক্ষার খবর ছিল বাবার কাছে, তাই সবাইকে বলে রেখেছিলেন, সলিল যেন খবরটা জানতে না পারেন। কিন্তু মা জানিয়ে দিলেন। সলিল যেদিন শিলং এলেন, সেদিনই অপারেশন হয়েছে বাবার। অপারেশনের পর জ্ঞান হয়নি, নার্স যখন সলিলকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন, তখনো বাবার চোখ আচ্ছন্ন। ছেলেকে দেখে বললেন, ‘পরীক্ষা?’ সলিল মিথ্যে বললেন, ‘শেষ হয়ে গেছে।’
প্রশান্তিতে চোখ বুজলেন তিনি। হাসপাতালে ১০ দিন থাকার পর যখন ফিরছেন বাড়ি, তখনই সলিল ফাঁস করে দিলেন কথাটা—বাবার অসুখের কারণে তিনটি পেপার পরীক্ষা দিতে পারেননি।
খুব খেপে গেলেন তিনি। কেন মা সলিলকে জানালেন, সে কথা মনে করে খুব রাগ করলেন।
সূত্র: সলিল চৌধুরী, জীবন উজ্জীবন, পৃষ্ঠা ২৯-৩০
দারুণ একরোখা মানুষ ছিলেন সলিল চৌধুরীর বাবা। করতেন ডাক্তারি। সাহেবদের সঙ্গে যুদ্ধ করতেন গরিবের জন্য ভালো ওষুধ আনানোর জন্য। জীবনসংগ্রামে অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে ছেলেমেয়েদের ডেকে বলতেন, ‘কবে তোরা বড় হবি, মানুষ হবি?’
যখন বাবাকে একটু অবসর দেওয়ার দরকার, তখন সলিল চৌধুরী যোগ দিলেন কমিউনিস্ট পার্টিতে। পড়াশোনা বাদ দিয়ে, বাবার স্বপ্ন পূরণ না করে কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেওয়ায় আশাহত হলেন বাবা। তিনি চিঠি লিখলেন ছেলেকে, পত্রপাঠ পার্টির সঙ্গে সংস্রব ত্যাগ করে পড়াশোনায় মন দেওয়ার জন্য। ছেলে সলিল তাঁর বাবার যন্ত্রণা আর হতাশা বুঝলেন না। তিনি রেগে গেলেন, ভাবলেন, বাবা তাঁর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করছেন। লিখে দিলেন, ‘আমাকে আর টাকা পাঠাবেন না। আমি নিজের ভার নিজে নিতে পারব।’
বাবাকে এই আঘাত দেওয়া যে উচিত হয়নি, সেটা সলিল চৌধুরী বুঝেছেন অনেক বয়স হলে। বাবা কিন্তু টাকা পাঠানো বন্ধ করেননি। মামাবাড়ির ঠিকানায় সে টাকা যেত। সলিল চৌধুরী নিতেন না। সে টাকা আবার ফেরত যেত।
সলিল চৌধুরীর এমএ পরীক্ষার সময় বাবা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। শিলং হাসপাতালে ভর্তি হলেন। অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করতে হবে। সলিলের পরীক্ষার খবর ছিল বাবার কাছে, তাই সবাইকে বলে রেখেছিলেন, সলিল যেন খবরটা জানতে না পারেন। কিন্তু মা জানিয়ে দিলেন। সলিল যেদিন শিলং এলেন, সেদিনই অপারেশন হয়েছে বাবার। অপারেশনের পর জ্ঞান হয়নি, নার্স যখন সলিলকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দিলেন, তখনো বাবার চোখ আচ্ছন্ন। ছেলেকে দেখে বললেন, ‘পরীক্ষা?’ সলিল মিথ্যে বললেন, ‘শেষ হয়ে গেছে।’
প্রশান্তিতে চোখ বুজলেন তিনি। হাসপাতালে ১০ দিন থাকার পর যখন ফিরছেন বাড়ি, তখনই সলিল ফাঁস করে দিলেন কথাটা—বাবার অসুখের কারণে তিনটি পেপার পরীক্ষা দিতে পারেননি।
খুব খেপে গেলেন তিনি। কেন মা সলিলকে জানালেন, সে কথা মনে করে খুব রাগ করলেন।
সূত্র: সলিল চৌধুরী, জীবন উজ্জীবন, পৃষ্ঠা ২৯-৩০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে