সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও
হরিহর চক্কদি। বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে এসেও চুল-দাঁড়ি কাটার কাজ করছেন তিনি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটের রাস্তার পাশে কাজ করেন তিনি।
৫০ বছর ধরে হরিহর চুল-দাঁড়ি কাটার কাজ করছেন। এক সময় চুল কাটা বাবদ চার পয়সা আর দাঁড়ি কাটার জন্য দুই পয়সা পেতেন, ওই আয় দিয়েই তাঁর সংসার ভালোভাবে চলে যেত। কিন্তু এখন ২০ টাকায় চুল ও ১৫ টাকায় দাঁড়ি কেটেও সংসার চলে না।
সম্প্রতি সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী হাটে হরিহরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘বাপু খুব কষ্টে আছি। দেহখান (শরীর) চলে না আর। বিভিন্ন হাটে গিয়ে মাটিতে পিঁড়ি বসিয়ে মানুষের চুল কাটি। দিনে ১০০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। বাড়ির ভিটেটুকু ছাড়া আর কিছু নেই। এভাবেই দিন পার করছি।’
হরিহর চক্কদির পাশে চুল কাটছেন আরেক নরসুন্দর গোপাল চন্দ্র। তিনি ২৫ বছর থেকে ইটের ওপর সাজানো পিঁড়িতে এই কাজ করছেন। গোপাল বলেন, ‘এটা আমার অনেক দিনের পেশা, ছাড়তে পারি না। এ ছাড়া অন্য কোনো কাজও জানি না। সংসারের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই কাজ করে যাচ্ছি। সারাদিনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা উপার্জন হয়। আর এটি দিয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোনো মতে দিন চলে।’
কথা হয় দাঁড়ি কাটানোর জন্য বসে থাকা নেল ভেলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০ বছর থেকে এইখান থেকে চুলদাড়ি কাটি। এটা আমার পুরোনো অভ্যাস, খোলা জায়গায় ভালো লাগে। আবার এখানে খরচও অনেক কম হয়।’
চুল কাটতে আসা বাসেদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দুই এক সপ্তাহ পরপর আমি এখানে চুলদাড়ি কাটাই। চুল কাটাতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, আর দাঁড়ি কাটাতে লাগে ১০ থেকে ১২ টাকা। বড় বড় সেলুনে এসব করতে গেলে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগত। এখানে কম খরচ হয় এ জন্য আসি।’
বাজারের স্থানীয় নাপিত গোপাল বর্মণ ও নিতাই রায় আক্ষেপ করে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে এই পেশায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু আধুনিকতার কারণে আমরা এখন কোনো কাজ করতে পারছি না। এখন সবাই দালান ঘরে গদির নরম চেয়ারে বসে চুলদাড়ি কাটায়। গরিব মানুষ আমরা। ওই সব দালান, চেয়ার আর ডেকোরেটর করতে অনেক টাকার দরকার, ওতো টাকা কোথায় পাব? এ কারণে আমাদের কাছে এখন তেমন একটা মানুষ আসতে চায় না।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর মানুষের বিশেষিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে তাঁরা সচ্ছলভাবে চলতে পারেন।’
হরিহর চক্কদি। বয়স ৭০ বছর। এই বয়সে এসেও চুল-দাঁড়ি কাটার কাজ করছেন তিনি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন হাটের রাস্তার পাশে কাজ করেন তিনি।
৫০ বছর ধরে হরিহর চুল-দাঁড়ি কাটার কাজ করছেন। এক সময় চুল কাটা বাবদ চার পয়সা আর দাঁড়ি কাটার জন্য দুই পয়সা পেতেন, ওই আয় দিয়েই তাঁর সংসার ভালোভাবে চলে যেত। কিন্তু এখন ২০ টাকায় চুল ও ১৫ টাকায় দাঁড়ি কেটেও সংসার চলে না।
সম্প্রতি সদর উপজেলার বড় খোঁচাবাড়ী হাটে হরিহরের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘বাপু খুব কষ্টে আছি। দেহখান (শরীর) চলে না আর। বিভিন্ন হাটে গিয়ে মাটিতে পিঁড়ি বসিয়ে মানুষের চুল কাটি। দিনে ১০০ থেকে ২০০ টাকা আয় হয়। বাড়ির ভিটেটুকু ছাড়া আর কিছু নেই। এভাবেই দিন পার করছি।’
হরিহর চক্কদির পাশে চুল কাটছেন আরেক নরসুন্দর গোপাল চন্দ্র। তিনি ২৫ বছর থেকে ইটের ওপর সাজানো পিঁড়িতে এই কাজ করছেন। গোপাল বলেন, ‘এটা আমার অনেক দিনের পেশা, ছাড়তে পারি না। এ ছাড়া অন্য কোনো কাজও জানি না। সংসারের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই কাজ করে যাচ্ছি। সারাদিনে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা উপার্জন হয়। আর এটি দিয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে কোনো মতে দিন চলে।’
কথা হয় দাঁড়ি কাটানোর জন্য বসে থাকা নেল ভেলুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ২০ বছর থেকে এইখান থেকে চুলদাড়ি কাটি। এটা আমার পুরোনো অভ্যাস, খোলা জায়গায় ভালো লাগে। আবার এখানে খরচও অনেক কম হয়।’
চুল কাটতে আসা বাসেদ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘দুই এক সপ্তাহ পরপর আমি এখানে চুলদাড়ি কাটাই। চুল কাটাতে ১৫ থেকে ২০ টাকা, আর দাঁড়ি কাটাতে লাগে ১০ থেকে ১২ টাকা। বড় বড় সেলুনে এসব করতে গেলে ৮০ থেকে ১০০ টাকা লাগত। এখানে কম খরচ হয় এ জন্য আসি।’
বাজারের স্থানীয় নাপিত গোপাল বর্মণ ও নিতাই রায় আক্ষেপ করে বলেন, ‘অনেক বছর ধরে এই পেশায় আমরা কাজ করছি। কিন্তু আধুনিকতার কারণে আমরা এখন কোনো কাজ করতে পারছি না। এখন সবাই দালান ঘরে গদির নরম চেয়ারে বসে চুলদাড়ি কাটায়। গরিব মানুষ আমরা। ওই সব দালান, চেয়ার আর ডেকোরেটর করতে অনেক টাকার দরকার, ওতো টাকা কোথায় পাব? এ কারণে আমাদের কাছে এখন তেমন একটা মানুষ আসতে চায় না।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর মানুষের বিশেষিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে তাঁরা সচ্ছলভাবে চলতে পারেন।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে