বিরস
সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর লেনিন ক্ষমতায় বসেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ট্যালিনের ওপর শাসনক্ষমতা অর্পিত হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবকিছু চলত। স্ট্যালিন আমলে তিনি হন পার্টি এবং শাসনকাজের সর্বেসর্বা। তাঁর কথার ওপর কোনো কথা চলত না। এমনকি পার্টি নেতৃত্বও তাঁর আজ্ঞাবাহী ছিলেন। সে সময় নানা ধরনের বাড়াবাড়ি হওয়ার বিস্তর অভিযোগ আছে। সর্বহারার একনায়কত্বের নামে চালু হয়েছিল স্ট্যালিনের একনায়কতন্ত্র। সবকিছুরই যেমন শেষ আছে, তেমনি স্ট্যালিন শাসনেরও অবসান হয় তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। স্ট্যালিনের পর ক্ষমতা যায় ক্রুশ্চেভের হাতে।
ক্রুশ্চেভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়ে তাঁর ক্ষমতা সংহত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। পার্টির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন ক্রুশ্চেভ। স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে তিনি তুমুল বিষোদগার করছেন। পেছন থেকে কেউ একজন মিনমিনে কণ্ঠে বললেন, ‘স্ট্যালিন বেঁচে থাকতে এসব বলেননি কেন?’
ক্রুশ্চেভ একটু চুপ থাকলেন। তারপর কণ্ঠ চড়িয়ে জানতে চাইলেন, ‘কে? কে এই কথা বলল?’ পিনপতন নীরবতা। কারও মুখে রা নেই। ক্রুশ্চেভ চিৎকার করে আবার বললেন, ‘এখন মুখ বন্ধ কেন? সাহস থাকলে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলুন।’
তবু নীরবতা। এবার ক্রুশ্চেভ হুংকার দিয়ে বললেন, ‘এখন যে কারণে আপনি মুখ বন্ধ রেখেছেন, সে সময় আমিও একই কারণে মুখ বন্ধ রাখতাম! পরিস্থিতি বুঝেই মুখ খুলতে হয়, সেটা আমার না বোঝার কথা নয়।’
খ. এক পীর সাহেবের কাছে গিয়ে একজন নারী কয়েক দিন ধরে কান্নাকাটি করছেন। একসময় বিরক্ত হয়ে পীর সাহেব জানতে চাইলেন, ‘তোমার সমস্যাটা কী?’ ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাঁর স্বামী তাঁকে সারাক্ষণ বকাঝকা করেন, এমনকি প্রায়ই মারধরও করেন। তাঁর আর বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই। এখন স্বামীকে বশ করার একটা তাবিজ যদি পীর সাহেব তাঁকে দিতেন!
পীর সাহেব একটা তাবিজ নিয়ে বিড়বিড় করে কিছু বললেন। তারপর সেটা ওই নারীর হাতে দিয়ে বললেন, ‘এটা গলায় কিংবা বাহুতে পরা যাবে না। এটা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরেরাখতে হবে।’
দিন কয়েক পর নারী কয়েক কেজি মিষ্টিসহ আরও কিছু উপহার নিয়ে এলেন পীর সাহেবের জন্য। বললেন, ‘হুজুর, আমার স্বামী খুব ভালো হয়ে গেছে। আপনার তাবিজের কেরামতিতে তিনি এই কয়দিন আর আমার গায়ে হাত তোলেননি।’
পীর সাহেব এবারও বিড়বিড় করলেন। তবে এবার কোনো দুর্বোধ্য শব্দ নয়, তিনি আসলে বললেন, ‘এটা তাবিজের কেরামতি না। আপনি যে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন, এটা তাঁর কেরামতি!’
গ. একবার শান্তিনিকেতনে একটি ওজন মাপার মেশিন কেনা হয় এবং তাতে নিয়মিত সব বয়সী নারী-পুরুষের ওজন মাপা হচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময় পেলে প্রায়ই দূরে দাঁড়িয়ে তা লক্ষ করছিলেন। একদিন একজনের ওজন মাপা শেষ হলেই কবি তাঁকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, ‘কী রে, তুই কত হলি?’
একটি স্থূলকায় মেয়ে বলল, ‘দু মণ।’ এই মেয়েটির সে সময় বিয়ের আলাপ চলছিল এবং কবি তা জানতেন। কবি ছিলেন রসিক মানুষ। তাই এ ক্ষেত্রেও তিনি কৌতুক করতে ছাড়লেন না। বললেন, ‘তুই এখনো দু “মন!” তোর তো এখন এক “মন” হওয়ার কথা রে।’
কবিগুরু কথা প্রসঙ্গে তাঁর নাতি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে একদিন বললেন, ‘বুঝলি দিনু, সেদিন অমুক লোকটা আমার কাছ থেকে দশ টাকা ধার নিয়ে গদগদ কণ্ঠে বললেন, “আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে রইলুম।”’
দিনুবাবু আঁতকে উঠে বললেন, ‘তুমি দিলে ওকে টাকাটা? ও তো একটা জোচ্চোর!’
‘তা মানি, কিন্তু লোকটার একটা গুণ ছিল’—কবিগুরু শান্ত স্বরে বললেন। ‘লোকটা সত্যভাষী। ধার চেয়ে পরিশোধের কথা না বলে চিরঋণী থাকার কথাই বলেছিল!’
সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর লেনিন ক্ষমতায় বসেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর স্ট্যালিনের ওপর শাসনক্ষমতা অর্পিত হয়। সেখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না। কমিউনিস্ট পার্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সবকিছু চলত। স্ট্যালিন আমলে তিনি হন পার্টি এবং শাসনকাজের সর্বেসর্বা। তাঁর কথার ওপর কোনো কথা চলত না। এমনকি পার্টি নেতৃত্বও তাঁর আজ্ঞাবাহী ছিলেন। সে সময় নানা ধরনের বাড়াবাড়ি হওয়ার বিস্তর অভিযোগ আছে। সর্বহারার একনায়কত্বের নামে চালু হয়েছিল স্ট্যালিনের একনায়কতন্ত্র। সবকিছুরই যেমন শেষ আছে, তেমনি স্ট্যালিন শাসনেরও অবসান হয় তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। স্ট্যালিনের পর ক্ষমতা যায় ক্রুশ্চেভের হাতে।
ক্রুশ্চেভ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক হয়ে তাঁর ক্ষমতা সংহত করতে তৎপর হয়ে ওঠেন। পার্টির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে মিটিং ডেকেছেন ক্রুশ্চেভ। স্ট্যালিনের বিরুদ্ধে তিনি তুমুল বিষোদগার করছেন। পেছন থেকে কেউ একজন মিনমিনে কণ্ঠে বললেন, ‘স্ট্যালিন বেঁচে থাকতে এসব বলেননি কেন?’
ক্রুশ্চেভ একটু চুপ থাকলেন। তারপর কণ্ঠ চড়িয়ে জানতে চাইলেন, ‘কে? কে এই কথা বলল?’ পিনপতন নীরবতা। কারও মুখে রা নেই। ক্রুশ্চেভ চিৎকার করে আবার বললেন, ‘এখন মুখ বন্ধ কেন? সাহস থাকলে দাঁড়িয়ে জোর গলায় বলুন।’
তবু নীরবতা। এবার ক্রুশ্চেভ হুংকার দিয়ে বললেন, ‘এখন যে কারণে আপনি মুখ বন্ধ রেখেছেন, সে সময় আমিও একই কারণে মুখ বন্ধ রাখতাম! পরিস্থিতি বুঝেই মুখ খুলতে হয়, সেটা আমার না বোঝার কথা নয়।’
খ. এক পীর সাহেবের কাছে গিয়ে একজন নারী কয়েক দিন ধরে কান্নাকাটি করছেন। একসময় বিরক্ত হয়ে পীর সাহেব জানতে চাইলেন, ‘তোমার সমস্যাটা কী?’ ওই নারী কাঁদতে কাঁদতে বললেন, তাঁর স্বামী তাঁকে সারাক্ষণ বকাঝকা করেন, এমনকি প্রায়ই মারধরও করেন। তাঁর আর বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই। এখন স্বামীকে বশ করার একটা তাবিজ যদি পীর সাহেব তাঁকে দিতেন!
পীর সাহেব একটা তাবিজ নিয়ে বিড়বিড় করে কিছু বললেন। তারপর সেটা ওই নারীর হাতে দিয়ে বললেন, ‘এটা গলায় কিংবা বাহুতে পরা যাবে না। এটা দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরেরাখতে হবে।’
দিন কয়েক পর নারী কয়েক কেজি মিষ্টিসহ আরও কিছু উপহার নিয়ে এলেন পীর সাহেবের জন্য। বললেন, ‘হুজুর, আমার স্বামী খুব ভালো হয়ে গেছে। আপনার তাবিজের কেরামতিতে তিনি এই কয়দিন আর আমার গায়ে হাত তোলেননি।’
পীর সাহেব এবারও বিড়বিড় করলেন। তবে এবার কোনো দুর্বোধ্য শব্দ নয়, তিনি আসলে বললেন, ‘এটা তাবিজের কেরামতি না। আপনি যে বাধ্য হয়ে মুখ বন্ধ রেখেছেন, এটা তাঁর কেরামতি!’
গ. একবার শান্তিনিকেতনে একটি ওজন মাপার মেশিন কেনা হয় এবং তাতে নিয়মিত সব বয়সী নারী-পুরুষের ওজন মাপা হচ্ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সময় পেলে প্রায়ই দূরে দাঁড়িয়ে তা লক্ষ করছিলেন। একদিন একজনের ওজন মাপা শেষ হলেই কবি তাঁকে জিজ্ঞাসা করছিলেন, ‘কী রে, তুই কত হলি?’
একটি স্থূলকায় মেয়ে বলল, ‘দু মণ।’ এই মেয়েটির সে সময় বিয়ের আলাপ চলছিল এবং কবি তা জানতেন। কবি ছিলেন রসিক মানুষ। তাই এ ক্ষেত্রেও তিনি কৌতুক করতে ছাড়লেন না। বললেন, ‘তুই এখনো দু “মন!” তোর তো এখন এক “মন” হওয়ার কথা রে।’
কবিগুরু কথা প্রসঙ্গে তাঁর নাতি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে একদিন বললেন, ‘বুঝলি দিনু, সেদিন অমুক লোকটা আমার কাছ থেকে দশ টাকা ধার নিয়ে গদগদ কণ্ঠে বললেন, “আপনার কাছে আমি চিরঋণী হয়ে রইলুম।”’
দিনুবাবু আঁতকে উঠে বললেন, ‘তুমি দিলে ওকে টাকাটা? ও তো একটা জোচ্চোর!’
‘তা মানি, কিন্তু লোকটার একটা গুণ ছিল’—কবিগুরু শান্ত স্বরে বললেন। ‘লোকটা সত্যভাষী। ধার চেয়ে পরিশোধের কথা না বলে চিরঋণী থাকার কথাই বলেছিল!’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে