অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক
১৯৮০ সালে ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের পক্ষ থেকে আপনাকে ভারত ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনারা ড. আনিসুজ্জামানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না?’
থতমত খেয়ে সে কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই যথাসময়ে তাঁকেও আমরা আমন্ত্রণ জানাব।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘ওকে যখন নিমন্ত্রণ করবেন, তখন আমাকে বলবেন, আমরা একসঙ্গে যাব।’
আনিসুজ্জামান এসব কিছুই জানতেন না, কারণ তিনি তখন ছিলেন চট্টগ্রামে। একদিন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের অফিস থেকে আনিসুজ্জামানকেও জানানো হলো ভারতে বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণ। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক হবেন সঙ্গী।
দিল্লি, বোম্বে (এখনকার মুম্বাই) আর কলকাতা থাকল সফরসূচিতে। তবে সেই সঙ্গে আবদুর রাজ্জাক ঠিক করলেন ত্রিবান্দ্রমে যাবেন ড. কে এন রাজের সঙ্গে দেখা করতে।
সফরটা খুব ভালো হয়েছিল। প্রকাশ্য বক্তৃতা করেননি আবদুর রাজ্জাক। কিন্তু বন্ধুমহলে হয়েছিল অনেক আলোচনা। তবে বইয়ের দোকানে গেলেই যেন মনের ভেতর অক্সিজেন পেতেন আবদুর রাজ্জাক। দিল্লিতে মূলত ইংরেজি বইয়ের নতুন ও পুরোনো দোকানগুলোয় গিয়েছিলেন। পুরোনো দিল্লির বনেদি দোকান থেকে দামি দামি ইতিহাসের বইয়ের পুনর্মুদ্রণগুলো কিনেছিলেন। মনোহারলালের দোকানে বইয়ের তালিকায় নাম ছিল, কিন্তু দোকানে ছিল না, এমন বইয়ের জন্যও টাকা দিয়ে এসেছেন, বিকেলে তারা পৌঁছে দিয়েছে বই।
এরপর কলকাতায় বই কেনা। এশিয়াটিক সোসাইটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত অনেক বই কিনলেন। এরপর চলল পুরোনো বইয়ের দোকানে অভিযান। এই দোকানিরা সহজে তাদের সেরা সংগ্রহ বের করতে চায় না। সমঝদার ক্রেতা পেলেই তারা নিজেদের দুষ্প্রাপ্য বই মেলে ধরে। প্রথমে আবদুর রাজ্জাককে পাত্তা দেয়নি তারা। পরে যখন তাঁর কথা শুনে ওরা বুঝতে পারল, এ এক দারুণ সমঝদার ক্রেতা, তখন উজাড় করে দিল নিজেদের। অনেক বই কিনলেন তিনি।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ২৮৪-২৯০
১৯৮০ সালে ভারতীয় হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তা জ্ঞানতাপস আবদুর রাজ্জাকের কাছে গিয়ে বললেন, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনসের পক্ষ থেকে আপনাকে ভারত ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘আপনারা ড. আনিসুজ্জামানকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না?’
থতমত খেয়ে সে কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘নিশ্চয়ই যথাসময়ে তাঁকেও আমরা আমন্ত্রণ জানাব।’
আবদুর রাজ্জাক বললেন, ‘ওকে যখন নিমন্ত্রণ করবেন, তখন আমাকে বলবেন, আমরা একসঙ্গে যাব।’
আনিসুজ্জামান এসব কিছুই জানতেন না, কারণ তিনি তখন ছিলেন চট্টগ্রামে। একদিন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনের অফিস থেকে আনিসুজ্জামানকেও জানানো হলো ভারতে বেড়াতে যাওয়ার আমন্ত্রণ। অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক হবেন সঙ্গী।
দিল্লি, বোম্বে (এখনকার মুম্বাই) আর কলকাতা থাকল সফরসূচিতে। তবে সেই সঙ্গে আবদুর রাজ্জাক ঠিক করলেন ত্রিবান্দ্রমে যাবেন ড. কে এন রাজের সঙ্গে দেখা করতে।
সফরটা খুব ভালো হয়েছিল। প্রকাশ্য বক্তৃতা করেননি আবদুর রাজ্জাক। কিন্তু বন্ধুমহলে হয়েছিল অনেক আলোচনা। তবে বইয়ের দোকানে গেলেই যেন মনের ভেতর অক্সিজেন পেতেন আবদুর রাজ্জাক। দিল্লিতে মূলত ইংরেজি বইয়ের নতুন ও পুরোনো দোকানগুলোয় গিয়েছিলেন। পুরোনো দিল্লির বনেদি দোকান থেকে দামি দামি ইতিহাসের বইয়ের পুনর্মুদ্রণগুলো কিনেছিলেন। মনোহারলালের দোকানে বইয়ের তালিকায় নাম ছিল, কিন্তু দোকানে ছিল না, এমন বইয়ের জন্যও টাকা দিয়ে এসেছেন, বিকেলে তারা পৌঁছে দিয়েছে বই।
এরপর কলকাতায় বই কেনা। এশিয়াটিক সোসাইটি, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে প্রকাশিত অনেক বই কিনলেন। এরপর চলল পুরোনো বইয়ের দোকানে অভিযান। এই দোকানিরা সহজে তাদের সেরা সংগ্রহ বের করতে চায় না। সমঝদার ক্রেতা পেলেই তারা নিজেদের দুষ্প্রাপ্য বই মেলে ধরে। প্রথমে আবদুর রাজ্জাককে পাত্তা দেয়নি তারা। পরে যখন তাঁর কথা শুনে ওরা বুঝতে পারল, এ এক দারুণ সমঝদার ক্রেতা, তখন উজাড় করে দিল নিজেদের। অনেক বই কিনলেন তিনি।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, বিপুলা পৃথিবী, পৃষ্ঠা ২৮৪-২৯০
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে