সম্পাদকীয়
রোমাঁ রোলাঁ যে বাড়িতে থাকেন, তার একদিকে হ্রদ, অন্যদিকে পর্বত। লেজার পর্বতমালার নিচে জেনেভা হ্রদ, সেখানে গ্রামের পর গ্রাম। তারই এক গ্রামে তখন থাকতেন রোমাঁ রোলাঁ। অন্নদাশঙ্কর রায় সেখানে গেলেন মণীন্দ্রলাল বসুর সঙ্গে। রোলাঁ ইংরেজি বোঝেন না, অন্নদাশঙ্কর বোঝেন না ফরাসি। তাই অনুবাদে বুঝে নিতে হলো দুজন দুজনকে।
বাইরের দিক থেকে রোলাঁর কুটিরটিকে নিঃস্ব মনে হয়। দেখে মনে হয় না, এত বড় একজন সাহিত্যিক এ রকম জরাজীর্ণ এক বাড়িতে থাকেন। কিন্তু ভেতরে গেলেই বাড়িটির অন্য চেহারা। বসার ঘরে বই ভরা শেলফ, বই-ছড়ানো টেবিল, ফুলের সাজি, ফুলগাছের টব, দেয়ালে দেয়ালে ছবি। অন্নদাশঙ্করের হঠাৎ মনে হলো, রোমাঁ রোলাঁর ঘরের অন্তর-বাহির তাঁর নিজের অন্তর-বাহিরের প্রতিরূপক।
সাদাসিধে পোশাক, নীলকৃষ্ণ স্যুট, টাই নেই, পাদরিসুলভ কলার। এক হাতে দারিদ্র্যের সঙ্গে, অন্য হাতে অসত্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছেন জীবনভর।
রোলাঁ মণীন্দ্রলাল বসুর ‘পদ্মরাগ’-এর প্রশংসা করলেন। শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’রও প্রশংসা করলেন। শ্রীকান্তের ইতালিয়ান অনুবাদ হয়েছে, ফরাসি অনুবাদ হচ্ছে তখন। যুদ্ধের কথা উঠতেই শান্ত মানুষটি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। উত্তেজিত শব্দাবলির সঙ্গে ডান হাতের প্রবল ওঠা-নামা দেখে অন্নদাশঙ্করের মনে হচ্ছিল, সামনে বুঝি বসে আছেন কিং লিয়র। বললেন, ‘নেশনরা যত দিন না ঠেকে শিখছে যে এক নেশনের ক্ষতিতে সব নেশনের ক্ষতি, যুদ্ধ তত দিন থাকবেই। মানুষের যুদ্ধের দেখি অবসান হলো না। আলো জ্বালান, আলো জ্বালান, দিকে দিকে আলো জ্বালিয়ে তুলুন। যুদ্ধের প্রতিষেধক—শিক্ষা।’
শিক্ষা নিয়ে কথা উঠতেই বললেন, ‘আর্টিস্ট কেবল চিরকালের সৌন্দর্য সৃষ্টি নিয়েই থাকবে না, স্বকালের সমস্যা-সমাধানেও সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে একাধিক আত্মা আছে। কোনোটা করবে আর্টের কাজ, কোনোটা করবে সমাজের সেবা।’
অন্নদাশঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা তো তাঁর কথা শুনতে যাইনি, আমরা গিয়েছিলুম তাঁকে শুনতে ও তাঁকে দেখতে।’ তাঁকে শুনতে—কথাটা দারুণ!
সূত্র: অন্নদাশঙ্কর রায়, পথে প্রবাসে, পৃষ্ঠা ২৮-৩২
রোমাঁ রোলাঁ যে বাড়িতে থাকেন, তার একদিকে হ্রদ, অন্যদিকে পর্বত। লেজার পর্বতমালার নিচে জেনেভা হ্রদ, সেখানে গ্রামের পর গ্রাম। তারই এক গ্রামে তখন থাকতেন রোমাঁ রোলাঁ। অন্নদাশঙ্কর রায় সেখানে গেলেন মণীন্দ্রলাল বসুর সঙ্গে। রোলাঁ ইংরেজি বোঝেন না, অন্নদাশঙ্কর বোঝেন না ফরাসি। তাই অনুবাদে বুঝে নিতে হলো দুজন দুজনকে।
বাইরের দিক থেকে রোলাঁর কুটিরটিকে নিঃস্ব মনে হয়। দেখে মনে হয় না, এত বড় একজন সাহিত্যিক এ রকম জরাজীর্ণ এক বাড়িতে থাকেন। কিন্তু ভেতরে গেলেই বাড়িটির অন্য চেহারা। বসার ঘরে বই ভরা শেলফ, বই-ছড়ানো টেবিল, ফুলের সাজি, ফুলগাছের টব, দেয়ালে দেয়ালে ছবি। অন্নদাশঙ্করের হঠাৎ মনে হলো, রোমাঁ রোলাঁর ঘরের অন্তর-বাহির তাঁর নিজের অন্তর-বাহিরের প্রতিরূপক।
সাদাসিধে পোশাক, নীলকৃষ্ণ স্যুট, টাই নেই, পাদরিসুলভ কলার। এক হাতে দারিদ্র্যের সঙ্গে, অন্য হাতে অসত্যের সঙ্গে যুদ্ধ করে এসেছেন জীবনভর।
রোলাঁ মণীন্দ্রলাল বসুর ‘পদ্মরাগ’-এর প্রশংসা করলেন। শরৎচন্দ্রের ‘শ্রীকান্ত’রও প্রশংসা করলেন। শ্রীকান্তের ইতালিয়ান অনুবাদ হয়েছে, ফরাসি অনুবাদ হচ্ছে তখন। যুদ্ধের কথা উঠতেই শান্ত মানুষটি উত্তেজিত হয়ে উঠলেন। উত্তেজিত শব্দাবলির সঙ্গে ডান হাতের প্রবল ওঠা-নামা দেখে অন্নদাশঙ্করের মনে হচ্ছিল, সামনে বুঝি বসে আছেন কিং লিয়র। বললেন, ‘নেশনরা যত দিন না ঠেকে শিখছে যে এক নেশনের ক্ষতিতে সব নেশনের ক্ষতি, যুদ্ধ তত দিন থাকবেই। মানুষের যুদ্ধের দেখি অবসান হলো না। আলো জ্বালান, আলো জ্বালান, দিকে দিকে আলো জ্বালিয়ে তুলুন। যুদ্ধের প্রতিষেধক—শিক্ষা।’
শিক্ষা নিয়ে কথা উঠতেই বললেন, ‘আর্টিস্ট কেবল চিরকালের সৌন্দর্য সৃষ্টি নিয়েই থাকবে না, স্বকালের সমস্যা-সমাধানেও সাহায্য করবে। মানুষের মধ্যে একাধিক আত্মা আছে। কোনোটা করবে আর্টের কাজ, কোনোটা করবে সমাজের সেবা।’
অন্নদাশঙ্কর বলেছেন, ‘আমরা তো তাঁর কথা শুনতে যাইনি, আমরা গিয়েছিলুম তাঁকে শুনতে ও তাঁকে দেখতে।’ তাঁকে শুনতে—কথাটা দারুণ!
সূত্র: অন্নদাশঙ্কর রায়, পথে প্রবাসে, পৃষ্ঠা ২৮-৩২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে