সম্পাদকীয়
জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন, কিন্তু পরিবারে সবার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন। পড়াশোনা শুরু করেছিলেন দেরিতে।মুসলমানের ছেলে হিসেবে আরবি, ফারসি আর উর্দু পড়েছেন বাড়িতেই। স্কুলে শিখেছিলেন ইংরেজি। সাহিত্যের প্রতি ছিল তীব্র আকর্ষণ।
একবার ডুমুরিয়া গ্রামে গিয়েছিলেন আবদুল করিম।
সেখানে এক কৃষকের ঘরে গিয়ে দেখলেন এক পুঁথি। দেখে শুধু অবাক হলেন না, বুঝলেন তিনি কিছু একটা আবিষ্কার করছেন। সেই চাষিকে বললেন, ‘এই চুক্তিটা আমাকে দিন।’
চাষি বুঝলেন না, মাস্টার সাহেব কোন সোনার খনির সন্ধান পেয়েছেন এতে! সেটা হাতে পেয়েই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে পাঠোদ্ধারে মনোনিবেশ করলেন।
এই পুঁথি ছিল আলাওলের ‘পদ্মাবতী’। পদ্মাবতী আবিষ্কার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিল আবদুল করিমের। প্রাচীন পুঁথি পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। সেই পুঁথির প্রাচীন হস্তাক্ষর পড়তে শিখলেন।
আলাওলের পদ্মাবতী উঠে এল সাহিত্যের দরবারে। এই পুঁথি আবিষ্কারের মাধ্যমে জানা গেল, মধ্যযুগের সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের অবদান কম নয়।
সেই নেশার ঘোরেই জানতে পারেন, শিলাইগড়া গ্রামের মহুরিবাড়িতে থাকেন বুধা গাজী। তাঁর বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় বসে পুঁথিপাঠের আসর। আবদুল করিম গেলেন বুধা গাজীর বাড়িতে। লক্ষ করলেন, বুধা গাজীর সংগ্রহে অনেক পুঁথি রয়েছে। কীভাবে এই পুঁথি সংগ্রহ করা যায়? বুধা গাজী খুশিমনেই পুঁথিগুলো দেন আবদুল করিমকে।
নিজের কাজ নিয়ে খুব তৃপ্ত ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁর বলা কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
‘আমি যেকালে সাহিত্যে প্রবেশ করি, তখন দ্বিতীয় মুসলমান কেহ ছিল না বলিলেই হয়। হিন্দু পুস্তক, পত্রিকা পাঠ করিতে করিতে একটা প্রশ্ন আমার মনে আন্দোলিত হইত যে, আধুনিক কালের মতো প্রাচীন কালেও কি মুসলমান ছিল না? প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ করিতে বুঝিতে পারি যে হিন্দুর মতো মুসলমানেরও একটা বিরাট সুগঠিত ও উন্নত প্রাচীন সাহিত্য আছে।’ (১৯৪৫-এ জয়ন্তী উৎসবে মানপত্রের উত্তরে ভাষণ)।
সূত্র: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্মারকগ্রন্থ
জন্মের আগেই বাবাকে হারিয়েছিলেন, কিন্তু পরিবারে সবার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছেন। পড়াশোনা শুরু করেছিলেন দেরিতে।মুসলমানের ছেলে হিসেবে আরবি, ফারসি আর উর্দু পড়েছেন বাড়িতেই। স্কুলে শিখেছিলেন ইংরেজি। সাহিত্যের প্রতি ছিল তীব্র আকর্ষণ।
একবার ডুমুরিয়া গ্রামে গিয়েছিলেন আবদুল করিম।
সেখানে এক কৃষকের ঘরে গিয়ে দেখলেন এক পুঁথি। দেখে শুধু অবাক হলেন না, বুঝলেন তিনি কিছু একটা আবিষ্কার করছেন। সেই চাষিকে বললেন, ‘এই চুক্তিটা আমাকে দিন।’
চাষি বুঝলেন না, মাস্টার সাহেব কোন সোনার খনির সন্ধান পেয়েছেন এতে! সেটা হাতে পেয়েই নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে পাঠোদ্ধারে মনোনিবেশ করলেন।
এই পুঁথি ছিল আলাওলের ‘পদ্মাবতী’। পদ্মাবতী আবিষ্কার ভাবনার মোড় ঘুরিয়ে দিল আবদুল করিমের। প্রাচীন পুঁথি পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিলেন। সেই পুঁথির প্রাচীন হস্তাক্ষর পড়তে শিখলেন।
আলাওলের পদ্মাবতী উঠে এল সাহিত্যের দরবারে। এই পুঁথি আবিষ্কারের মাধ্যমে জানা গেল, মধ্যযুগের সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের অবদান কম নয়।
সেই নেশার ঘোরেই জানতে পারেন, শিলাইগড়া গ্রামের মহুরিবাড়িতে থাকেন বুধা গাজী। তাঁর বাড়িতে প্রতি সন্ধ্যায় বসে পুঁথিপাঠের আসর। আবদুল করিম গেলেন বুধা গাজীর বাড়িতে। লক্ষ করলেন, বুধা গাজীর সংগ্রহে অনেক পুঁথি রয়েছে। কীভাবে এই পুঁথি সংগ্রহ করা যায়? বুধা গাজী খুশিমনেই পুঁথিগুলো দেন আবদুল করিমকে।
নিজের কাজ নিয়ে খুব তৃপ্ত ছিলেন তিনি। এ ব্যাপারে তাঁর বলা কথাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
‘আমি যেকালে সাহিত্যে প্রবেশ করি, তখন দ্বিতীয় মুসলমান কেহ ছিল না বলিলেই হয়। হিন্দু পুস্তক, পত্রিকা পাঠ করিতে করিতে একটা প্রশ্ন আমার মনে আন্দোলিত হইত যে, আধুনিক কালের মতো প্রাচীন কালেও কি মুসলমান ছিল না? প্রাচীন পুঁথি সংগ্রহ করিতে বুঝিতে পারি যে হিন্দুর মতো মুসলমানেরও একটা বিরাট সুগঠিত ও উন্নত প্রাচীন সাহিত্য আছে।’ (১৯৪৫-এ জয়ন্তী উৎসবে মানপত্রের উত্তরে ভাষণ)।
সূত্র: আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ স্মারকগ্রন্থ
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে