সম্পাদকীয়
একটু একটু করে তখন অচল হয়ে যাচ্ছেন শম্ভু মিত্র। এত দিন যে আড্ডা হতো, সেই আড্ডায় ধীরে ধীরে কমতে লাগল মানুষ। শম্ভু মিত্র কখনো হাসতে হাসতে বলতেন, ‘এইটা বেশ ইন্টারেস্টিং।’
বলা তো হলো অচল, আসলে সে কথা দিয়ে কিন্তু পঙ্গুত্ব বা অথর্বতা বোঝানো হচ্ছে না। চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছিল খুব। তাই বাইরে কোথাও যেতে চাইতেন না। আকাশে হয়তো কড়া রোদ। তিনি বলতেন, ‘কী রে, আকাশটা মেঘলা নাকি রে?’
তারপর বেশ আমোদ করে বলতেন, ‘কী ফার্স্ট ক্লাস বল তো! সব সময়ই কেমন আকাশে মেঘ দেখতে পাই! অন্ধ হওয়ার কত সুবিধে।’
কুঁচকির হাড়ে সামান্য চিড় ধরায় হাঁটার ধরনটা একটু বদলে গিয়েছিল। যাঁদের সঙ্গে শম্ভু মিত্র কথা বলতে ভালো বাসতেন, তাঁরা তত দিনে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। শাঁওলী মিত্র অনেককেই আসতে অনুরোধ করেছেন, কিন্তু তাঁদের কেউ কেউ আর আসার সময় বের করতে পারেননি। পছন্দের কেউ যদি চলে আসতেন, তাহলে কী যে খুশি হতেন শম্ভু মিত্র! শাঁওলী বাড়িতে ফিরলেই কী কথা হলো, তার সবটাই বলতেন।
কিন্তু মাথাটা ছিল টনটনে। স্বচ্ছ ছিল ভাবনার জগৎ। একবার শাঁওলীকে বলছেন, ‘একটা লেখা লিখতে হবে। তোকে বা আর কাউকে। রাজনীতির সঙ্গে সমাজে বাঁচবার জন্য যে সততার প্রয়োজন—তার সম্পর্কটা কী? এটা তো কাউকে ভাবতেই হবে!’
কিংবা ‘বুদ্ধকে নিয়ে আরও পড়াশোনা করবার ছিল। বুদ্ধ মানুষটা…কীভাবে…সময়ই হলো না!’ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করছেন ‘তুতেনখামেন’ নিয়ে!
কিন্তু আতশ কাচ দিয়েও যখন আর পড়তে পারছিলেন না, তখন তাঁর বাঁচার ইচ্ছে মরে গেল। বলতেন, ‘আর কদ্দিন মাগো? আর পারি না! তুই ভাব–বুড়োটা ৮২ বচ্ছর বেঁচে আছে। পড়তে পারে না, খবর রাখতে পারে না!’
মৃত্যুটা কারও হাতে নেই শুনে বললেন, ‘দূর ওসব বোগাস কথা! একটু পটাশিয়াম সায়ানাইড এনে দাও দিকি!’
শাঁওলী বলল, ‘তোমার কপালে মৃত্যু না লেখা থাকলে দেখবে পটাশিয়াম সায়ানাইডেও ভেজাল!’ শুনে হো হো করে হেসে উঠলেন শম্ভু মিত্র!
সূত্র: শাঁওলী মিত্র, তর্পণ, পৃষ্ঠা ৮১-৮৪
একটু একটু করে তখন অচল হয়ে যাচ্ছেন শম্ভু মিত্র। এত দিন যে আড্ডা হতো, সেই আড্ডায় ধীরে ধীরে কমতে লাগল মানুষ। শম্ভু মিত্র কখনো হাসতে হাসতে বলতেন, ‘এইটা বেশ ইন্টারেস্টিং।’
বলা তো হলো অচল, আসলে সে কথা দিয়ে কিন্তু পঙ্গুত্ব বা অথর্বতা বোঝানো হচ্ছে না। চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছিল খুব। তাই বাইরে কোথাও যেতে চাইতেন না। আকাশে হয়তো কড়া রোদ। তিনি বলতেন, ‘কী রে, আকাশটা মেঘলা নাকি রে?’
তারপর বেশ আমোদ করে বলতেন, ‘কী ফার্স্ট ক্লাস বল তো! সব সময়ই কেমন আকাশে মেঘ দেখতে পাই! অন্ধ হওয়ার কত সুবিধে।’
কুঁচকির হাড়ে সামান্য চিড় ধরায় হাঁটার ধরনটা একটু বদলে গিয়েছিল। যাঁদের সঙ্গে শম্ভু মিত্র কথা বলতে ভালো বাসতেন, তাঁরা তত দিনে আসা কমিয়ে দিয়েছেন। শাঁওলী মিত্র অনেককেই আসতে অনুরোধ করেছেন, কিন্তু তাঁদের কেউ কেউ আর আসার সময় বের করতে পারেননি। পছন্দের কেউ যদি চলে আসতেন, তাহলে কী যে খুশি হতেন শম্ভু মিত্র! শাঁওলী বাড়িতে ফিরলেই কী কথা হলো, তার সবটাই বলতেন।
কিন্তু মাথাটা ছিল টনটনে। স্বচ্ছ ছিল ভাবনার জগৎ। একবার শাঁওলীকে বলছেন, ‘একটা লেখা লিখতে হবে। তোকে বা আর কাউকে। রাজনীতির সঙ্গে সমাজে বাঁচবার জন্য যে সততার প্রয়োজন—তার সম্পর্কটা কী? এটা তো কাউকে ভাবতেই হবে!’
কিংবা ‘বুদ্ধকে নিয়ে আরও পড়াশোনা করবার ছিল। বুদ্ধ মানুষটা…কীভাবে…সময়ই হলো না!’ ডাক্তারের সঙ্গে আলোচনা করছেন ‘তুতেনখামেন’ নিয়ে!
কিন্তু আতশ কাচ দিয়েও যখন আর পড়তে পারছিলেন না, তখন তাঁর বাঁচার ইচ্ছে মরে গেল। বলতেন, ‘আর কদ্দিন মাগো? আর পারি না! তুই ভাব–বুড়োটা ৮২ বচ্ছর বেঁচে আছে। পড়তে পারে না, খবর রাখতে পারে না!’
মৃত্যুটা কারও হাতে নেই শুনে বললেন, ‘দূর ওসব বোগাস কথা! একটু পটাশিয়াম সায়ানাইড এনে দাও দিকি!’
শাঁওলী বলল, ‘তোমার কপালে মৃত্যু না লেখা থাকলে দেখবে পটাশিয়াম সায়ানাইডেও ভেজাল!’ শুনে হো হো করে হেসে উঠলেন শম্ভু মিত্র!
সূত্র: শাঁওলী মিত্র, তর্পণ, পৃষ্ঠা ৮১-৮৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে