অরুণ কর্মকার
গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের অভাবনীয় সাফল্য প্রশ্নাতীত। নবায়নযোগ্য উৎস থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে বাস্তবায়নাধীন। তবে সরকারের পরিকল্পিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছে নবায়নযোগ্য খাত। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য এই খাতের গতিশীলতার প্রতি আরেকটু বেশি নজর দেওয়া দরকার।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বহুমুখী উৎসের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপ্তি বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত আছে। সৌর, বায়ু, পানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে কাজ চলছে। হাইড্রোজেনও আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’ পরিকল্পনা তো সরকারের আছেই। দরকার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি।
এরপর গত রোববার ৫৫ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়ুবিদ্যুতের আকারও দিন দিন বড় হবে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা আশাব্যঞ্জক।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ সরকারের অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের হার হতাশাজনক। প্রকল্প বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথগতির। যেমন নারায়ণগঞ্জের জালকুরিতে বর্জ্য থেকে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চুক্তি সই হলো গত বৃহস্পতিবার, সেটি সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আগ্রহপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) ইস্যু করা হয়। প্রায় একই সময়ে ঢাকার আমিনবাজারে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্পও অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। সেটির বাস্তবায়ন চুক্তি এখনো সই হয়নি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতার ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। এখন ২০২২ সালের শেষার্ধ। কিন্তু নবায়নযোগ্য খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন সেই পরিকল্পনা থেকে বেশ দূরে।
উল্লিখিত ১০ শতাংশের স্থলে ৪ শতাংশের মতো।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে, দেশে এখন বিদ্যুতের মোট স্থাপিত ক্ষমতা ২২ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। পুরোনো কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ডিরেটেড ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৮০ মেগাওয়াট। এই ডিরেটেড ক্ষমতা অনুযায়ী এখন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতা হওয়ার কথা ২ হাজার ১৬৮ মেগাওয়াট। কিন্তু টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা বর্তমানে ৯১০ দশমিক ৭৮ মেগাওয়াট। (টেবিল-১)দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষমতার সঙ্গে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতার তুলনা করলেও লক্ষ্য পূরণ থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকে নবায়নযোগ্য খাত। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, এখন দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তার ১০ শতাংশ হিসাবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা হওয়ার কথা দেড় হাজার মেগাওয়াট।
২০১৮ সালে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বছরভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের ধারে-কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ওই পরিকল্পনায় ২০১৮ সালকে ভিত্তি বছর ধরে পরবর্তী তিন বছরের সম্ভাব্য অর্জনের একটি প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে মোট ৫৮৪ দশমিক ৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো। এরপর ২০১৯ সালে নতুন ৪৩২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট; ২০২০ সালে ৬০৪ দশমিক ৫ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে ৫৫৫ দশমিক ৫ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। (টেবিল-২)ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে গত বছরের (২০২১ সাল) মধ্যে মোট ২ হাজার ১৭৭ দশমিক ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অবশ্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে ৩২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৪২ মেগাওয়াট উৎপাদনের কাজ চলমান আছে। এর পরবর্তী পর্যায়ে আরও ৭৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৩২ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের পাঁচটি উৎস বা প্রযুক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সৌর, বায়ু, পানি, বায়োগ্যাস ও বায়োম্যাস। এর মধ্যে বায়োগ্যাস ও বায়োম্যাস থেকে খুব বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। পানিবিদ্যুতেরও বড় কোনো উৎস আপাতত দেশে নেই। বেশি সম্ভাবনাময় হচ্ছে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ। এর মধ্যে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা-সমীক্ষা চলছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সূর্যালোক থেকে।
স্রেডার সূত্র জানায়, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ‘অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-৪১’ শিরোনামে নতুন একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটির খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অগ্রহণযোগ্য বলেছে। একই সঙ্গে ওই কমিটি কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। সেই অনুযায়ী এখন আবার রোডম্যাপটি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ছাড়া নবায়নযোগ্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য হালনাগাদ করা হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিও। এ কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ও টেকসই ভবিষ্যতের আশা করাই যেতে পারে।
গত এক যুগে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের অভাবনীয় সাফল্য প্রশ্নাতীত। নবায়নযোগ্য উৎস থেকেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। আরও বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে বাস্তবায়নাধীন। তবে সরকারের পরিকল্পিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় এখনো অনেকটাই পিছিয়ে আছে নবায়নযোগ্য খাত। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য এই খাতের গতিশীলতার প্রতি আরেকটু বেশি নজর দেওয়া দরকার।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবার বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘বহুমুখী উৎসের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপ্তি বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত আছে। সৌর, বায়ু, পানি ও বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়ে কাজ চলছে। হাইড্রোজেনও আমাদের পরিকল্পনায় আছে।’ পরিকল্পনা তো সরকারের আছেই। দরকার সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অগ্রগতি।
এরপর গত রোববার ৫৫ মেগাওয়াটের একটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বায়ুবিদ্যুতের আকারও দিন দিন বড় হবে। উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের ৯টি স্থানে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে যে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে, তা আশাব্যঞ্জক।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা ও উদ্যোগ সরকারের অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের হার হতাশাজনক। প্রকল্প বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথগতির। যেমন নারায়ণগঞ্জের জালকুরিতে বর্জ্য থেকে ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চুক্তি সই হলো গত বৃহস্পতিবার, সেটি সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অনুমোদন করে ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। ওই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর আগ্রহপত্র (লেটার অব ইনটেন্ট) ইস্যু করা হয়। প্রায় একই সময়ে ঢাকার আমিনবাজারে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াটের একটি প্রকল্পও অনুমোদন করে মন্ত্রিসভা কমিটি। সেটির বাস্তবায়ন চুক্তি এখনো সই হয়নি।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা অনুযায়ী ২০২০ সালের মধ্যে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতার ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। এখন ২০২২ সালের শেষার্ধ। কিন্তু নবায়নযোগ্য খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদন সেই পরিকল্পনা থেকে বেশ দূরে।
উল্লিখিত ১০ শতাংশের স্থলে ৪ শতাংশের মতো।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সর্বশেষ তথ্য হচ্ছে, দেশে এখন বিদ্যুতের মোট স্থাপিত ক্ষমতা ২২ হাজার ৪৮২ মেগাওয়াট। পুরোনো কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্ষমতা কমে যাওয়ায় ডিরেটেড ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ৬৮০ মেগাওয়াট। এই ডিরেটেড ক্ষমতা অনুযায়ী এখন নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্থাপিত ক্ষমতা হওয়ার কথা ২ হাজার ১৬৮ মেগাওয়াট। কিন্তু টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা বর্তমানে ৯১০ দশমিক ৭৮ মেগাওয়াট। (টেবিল-১)দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকৃত ক্ষমতার সঙ্গে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতার তুলনা করলেও লক্ষ্য পূরণ থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকে নবায়নযোগ্য খাত। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, এখন দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ হাজার মেগাওয়াট। তার ১০ শতাংশ হিসাবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের স্থাপিত ক্ষমতা হওয়ার কথা দেড় হাজার মেগাওয়াট।
২০১৮ সালে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি বছরভিত্তিক পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ২০২১ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্ত সেই পরিকল্পনাও বাস্তবায়নের ধারে-কাছে পৌঁছাতে পারেনি। ওই পরিকল্পনায় ২০১৮ সালকে ভিত্তি বছর ধরে পরবর্তী তিন বছরের সম্ভাব্য অর্জনের একটি প্রাক্কলন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী ২০১৮ সালে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে মোট ৫৮৪ দশমিক ৭২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো। এরপর ২০১৯ সালে নতুন ৪৩২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট; ২০২০ সালে ৬০৪ দশমিক ৫ মেগাওয়াট এবং ২০২১ সালে ৫৫৫ দশমিক ৫ মেগাওয়াট নতুন বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। (টেবিল-২)ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নবায়নযোগ্য বিভিন্ন উৎস থেকে গত বছরের (২০২১ সাল) মধ্যে মোট ২ হাজার ১৭৭ দশমিক ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হতো। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। অবশ্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বর্তমানে ৩২টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৪৪২ মেগাওয়াট উৎপাদনের কাজ চলমান আছে। এর পরবর্তী পর্যায়ে আরও ৭৬টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৪ হাজার ৬৩২ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের পাঁচটি উৎস বা প্রযুক্তি চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে—সৌর, বায়ু, পানি, বায়োগ্যাস ও বায়োম্যাস। এর মধ্যে বায়োগ্যাস ও বায়োম্যাস থেকে খুব বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ক্ষীণ। পানিবিদ্যুতেরও বড় কোনো উৎস আপাতত দেশে নেই। বেশি সম্ভাবনাময় হচ্ছে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ। এর মধ্যে বায়ুবিদ্যুতের সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা-সমীক্ষা চলছে। উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে সূর্যালোক থেকে।
স্রেডার সূত্র জানায়, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ‘অ্যাকশন প্ল্যান ২০২১-৪১’ শিরোনামে নতুন একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। এটির খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটি সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অগ্রহণযোগ্য বলেছে। একই সঙ্গে ওই কমিটি কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। সেই অনুযায়ী এখন আবার রোডম্যাপটি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ ছাড়া নবায়নযোগ্য খাতকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য হালনাগাদ করা হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিও। এ কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সব মিলে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি উজ্জ্বল ও টেকসই ভবিষ্যতের আশা করাই যেতে পারে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১২ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে