‘দ্রুতই তেলের ঘাটতি পূরণ হবে’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ মে ২০২২, ১০: ১৭
Thumbnail image

ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। শিগগিরই তেলের ঘাটতি পূরণ হবে এবং বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সিনিয়র সচিব বলেন, ‘বিশ্বে চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় সবাইকে মিতব্যয়ী হতে হবে। এক দিনের তেল, গ্যাস দিয়ে দুই দিন রান্না করতে হবে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা তৈরি হয়েছে। এখন থেকেই আমাদের সতর্ক হতে হবে। দেশবাসীকে বিষয়টি বুঝতে হবে। নয়তো সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।’

গতকাল শনিবার দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনসে উগ্রবাদ প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য অংশীজনের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

এ সময় সিনিয়র সচিব আরও বলেন, ‘রাশিয়া ও এর আশপাশের দেশগুলো খাদ্য এবং জ্বালানি উৎপাদনে পৃথিবীতে শীর্ষে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এই অবস্থা বেশি দিন চললে বিশ্বকে ভুগতে হবে। বিষয়টি আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে। জনগণকে বোঝাতে হবে। এ বিষয়ে আমাদের তো কিছু করার নেই, পৃথিবীর কারও কিছু করার নেই।’

এ সময় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বিষয়টি সবার সঙ্গে আলোচনা করার অনুরোধ করেন সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এ ছাড়া পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর সর্বোচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে শতভাগ স্বচ্ছতায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে পদ্মা সেতু যানবাহনবোঝাই অবস্থায় থাকলেও কোনো ক্ষতি হবে না। এমনকি ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন জাহাজের ধাক্কায়ও পদ্মা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আগামী জুনের শেষ সপ্তাহের আগেই পদ্মা সেতু ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত হবে। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের দিনক্ষণ ঠিক করবেন। পদ্মা সেতু চালু হলে প্রথম দিকে দেশের জিডিবি ১ দশমিক ৩ বৃদ্ধি পাওয়ার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে জিডিবি ২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। ২৫ বছরের প্রয়োজন হবে না, আগামী ১৫-১৬ বছরের মধ্যে পদ্মা সেতুর খরচ উঠে আসবে।’

বাংলাদেশ পুলিশের সন্ত্রাস দমন ও আন্তর্জাতিক অপরাধ প্রতিরোধ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও কাউন্টার টেররিজম ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের আয়োজনে বেলা ১১টায় শরীয়তপুর পুলিশ লাইনসের মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা শুরু হয়। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকতার হোসেন, পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, র‍্যাবের প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশকে জঙ্গিদের আস্তানা হিসেবে প্রচার করতে চেয়েছিল পশ্চিমা বিশ্ব। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, বাংলাদেশে আইএসএস হচ্ছে। আইএসএসের বিজনেস করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়বে, যেখান থেকে আর বের হতে পারবে না। অনেক পশ্চিমা দেশ এবং অ্যাম্বাসি ঢাকাকে অনিরাপদ ঘোষণা করেছিল। বলা হচ্ছিল, দেশ শিগগিরই মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে। কিন্তু সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে দেশে আজ কেউ জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে না।’

আইজিপি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও দেশের নাগরিকদের সঙ্গে উগ্রবাদের কোনো সম্পর্ক নেই। উগ্রবাদ একটি বিজাতীয় সংস্কৃতি। দেশটাকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র বানাতে পারলে অস্ত্র ব্যবসা, আঞ্চলিক রাজনীতি, রক্তপাত ঘটত। কত সুবিধা হতো কিছু মানুষের। কিন্তু আমরা সৌভাগ্যবান, বঙ্গবন্ধু দেশ দিয়ে গেছেন আর তাঁর কন্যা সেই সময় দেশের দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর পরামর্শ ও দূরদর্শিতায় দেশ থেকে জঙ্গিবাদকে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত