অজয় দাশগুপ্ত
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ মে ব্যাংকের সদর দপ্তরের ভেতরে যখন অনুষ্ঠান চলছিল, তখন বাইরে চলছিল প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক কদর্য ঘটনা। এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের বলেই আমি মনে করি।
কোনো দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি না দেখে একে দেখতে হবে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে। কারণ এটা দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। কে দেশ শাসন করছেন, কোন দল দেশ শাসনে আর কে বিরোধী দলে, সেটা মূলত আপেক্ষিক বিষয়। কারণ সবার ওপরে দেশ। দেশের সম্মান যখন ভূপাতিত বা প্রশ্নের মুখে, তখন নাগরিক হিসেবে বা দ্বৈত নাগরিক হিসেবেও আমাদের আবেগ-অনুভূতি আহত হয় বৈকি।
আমরা বিদেশে বসবাস করার কারণে খুব ভালো করে জানি, বাংলাদেশিরা কতটা পরিশ্রমী। কতটা খাটেন তাঁরা। কীভাবে কষ্ট করে জীবনযাপন করেন। দূর থেকে আরাম-আয়েশ মনে হলেও মূলত প্রবাসজীবন কষ্টের। নিজের কাজ নিজে করার সমাজে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয় ব্যাপক। এই পরিশ্রমী মানুষজন কেন মারমুখো হলেন? কেন তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল? এর উত্তর খোঁজা কঠিন কিছু না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ প্রতিবাদ করে। তাদের আচরণ যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায় বা অন্যায়ের পথ ধরে, তখন আমরা বিস্মিত হওয়ার পাশাপাশি হতাশায় ভুগি। যা ঘটেছে বা যা কিছু হয়েছে তাকে আমলে নিয়ে এর একটা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা এখন জরুরি।
কথায় কথায় আমরা পাকিস্তানিদের মাথা গরম, উগ্র বলে রায় দিই। এই পাকিস্তানিরাও তাঁদের সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে এমনটা করেন বলে শুনিনি। ভারতীয়রা তো নয়ই। কারণ দেশের মৌলিক সমস্যা আর ভাবমূর্তির বেলায় তাঁরা এক। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেনি। মৌলিক বিষয়ে মতভেদ এতটাই প্রকট যে বাংলাদেশিদের জাতীয় অস্তিত্বই এখন ভয়াবহভাবে আক্রান্ত। এটা সুখের কিছু নয়। বাদ, প্রতিবাদ, বিদ্রোহ মানুষের অধিকার। তা করতে গিয়ে যখন পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে যায়, তখন উভয়ের সহনশীলতা কাম্য। কাম্য—আচরণে শিষ্টতা। সেটা আমরা দেখিনি। সরকারি বা বিরোধী দলের কেউ মনে রাখেননি যে এর ফলে আমাদের দেশের সম্মান পড়বে বিপদের মুখে।
বলা বাহুল্য, এর সমাধান দেশে। আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এই দুই দলে বিভক্ত রাজনীতির শিকার। অথচ এমন কথা ছিল না। কথা ছিল আমাদের রাজনীতি যা-ই হোক, যে দলে বিভক্ত হোক, জাতির সম্মান বিষয়ে থাকবে সমঝোতা। সে জায়গাটি থাকেনি বা রাখা হয়নি। আলাপ-আলোচনার দিনকাল বহু আগেই বিগত। এখন চলছে হিংসা আর প্রতিহিংসার শিকার জাতি। কে দায়ী আর কারা এর জন্য দায় নেবে, জানি না। কিন্তু নিতে হবে। নেওয়ার সময় বয়ে গেলে আখেরে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আমি আগেও লিখেছি, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা-প্রশাখার জন্য দায়ী দেশের নেতারা। তাঁরা এসব উপদলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। এসব নেতা-উপনেতার গডফাদার আছেন। তাঁরাই বাঁচিয়ে রাখেন তাঁদের। সেই কাল সাপ এখন ফণা তুলছে। যারা বিরোধী দলে তাদের যুক্তি—দেশে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা সরকারি দলে, তাদের যুক্তির অভাব নেই। এসব যুক্তি-তর্ক যে অসার, তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
আমাদের স্বাধীনতার বয়স কম নয়। ৫০ বছর পর একটি দেশে এত বিভক্তি কেন? এর সহজ উত্তর—সমাধানহীন রাজনীতি। কেউ কাউকে সহ্য না করার রাজনীতি। এর অবসান হবে কীভাবে? নিশ্চিতভাবে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ আর নির্বাচনের ন্যায্যতা এর একটা বিহিত করতে পারে। কিন্তু তা কি আদৌ আছে?
যখন কথা বলা প্রায় নিষিদ্ধ বা বললেও ভেবেচিন্তে বলতে হয়, তখন মানুষের মনে যে মেঘ জমে, সেটাই হয়তো অশনিসংকেত হয়ে দেখা দেয়। আজ দেশে নানাভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বাইরের মুক্ত সমাজে তার নিয়ন্ত্রণ যে কঠিন, সেটাই দেখা গেল। এই মারমুখী বাংলাদেশিদের দেখে অন্যরা কী ভাববে?
আমাদের উপমহাদেশের প্রতিবেশীরা এমনিতেই আমাদের রাজনীতিনির্ভরতা নিয়ে হাসাহাসি করে। কারণ দেশের বাইরে আমি কোনো ভারতীয় কংগ্রেস বা পাকিস্তানের মুসলিম লীগ দেখিনি। তাঁরা যদি রাজনীতি করেন তো বসবাসরত দেশের মূল দলগুলোর রাজনীতি করেন। এতে লাভ হয় দেশের। লাভ হয় দেশের জনগণের। তাঁরা যদি এমপি হতে পারেন তো সংসদে গিয়ে নিজ নিজ দেশের কথা তুলে ধরেন। একসময় তাঁরা শীর্ষ পদে চলে যান। ব্রিটেনের ঋষি সুনাকই এর উজ্জ্বল উদাহরণ। আমাদের দেশের প্রবাসীদের মেধা থাকার পরও আজ সে সম্ভাবনা শেষ হওয়ার পথে।
আমরা আসলে কী চাই? আমরা যদি দেশের উন্নতি আর অগ্রগতি বিবেচনায় রাখি, তাহলে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে হবে। আর তা সম্ভব কেবল আলোচনা আর সহনীয় পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় সে কাজটি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বিদ্রোহীরা নাকি তা চায়নি।
বিরোধীদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণ বোঝা কঠিন না। তাদের ভেতর যারা উগ্র, তাদের বাদ দিলে বাকিদের কথা শুনতে হবে। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি দলের ভয় কেন, সেটা বোধগম্য হয় না মাঝে মাঝে। এত উন্নয়ন, এত অর্জনের পরও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেন বদলায় না? নির্বাচনের সময় এখন সামনে। এই সময়কালে যদি তারা একবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাহলে হয়তো পরিবেশ কিছুটা হলেও উন্নত হবে।
সত্যিকারের ভাবমূর্তি কখনো ভয়ভীতির ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বহু দেশে আমাদের চেয়েও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি বিরাজমান। এরপরও তারা দেশের বাইরে এমন সব কাণ্ড করে না, যা দেশের মুখ ম্লান করে দেয়।
আমাদের জাতীয় সংগীতের শেষ লাইনটি হচ্ছে, ‘তোমার বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি...’। দেশ ও দেশের বাইরের মানুষদের নয়নজলে ভাসিয়ে কোনো রাজনীতিই টিকে থাকতে পারে না। সেটা সরকারি বা বিরোধী দল উভয়ের জন্য সত্য। দেশের রাজনীতির বাইরে রপ্তানি বন্ধের পাশাপাশি দেশপ্রেম আর গণতন্ত্রই এর সমাধান। সহ্য করার দায়িত্ব সরকারি দলের। তাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ড যেন গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠে, সেই কামনা করি।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারত্বের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ মে ব্যাংকের সদর দপ্তরের ভেতরে যখন অনুষ্ঠান চলছিল, তখন বাইরে চলছিল প্রবাসী আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক কদর্য ঘটনা। এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জন্য উৎকণ্ঠা আর উদ্বেগের বলেই আমি মনে করি।
কোনো দলীয় রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিষয়টি না দেখে একে দেখতে হবে বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে। কারণ এটা দেশের স্বার্থ ও ভাবমূর্তির সঙ্গে জড়িত। কে দেশ শাসন করছেন, কোন দল দেশ শাসনে আর কে বিরোধী দলে, সেটা মূলত আপেক্ষিক বিষয়। কারণ সবার ওপরে দেশ। দেশের সম্মান যখন ভূপাতিত বা প্রশ্নের মুখে, তখন নাগরিক হিসেবে বা দ্বৈত নাগরিক হিসেবেও আমাদের আবেগ-অনুভূতি আহত হয় বৈকি।
আমরা বিদেশে বসবাস করার কারণে খুব ভালো করে জানি, বাংলাদেশিরা কতটা পরিশ্রমী। কতটা খাটেন তাঁরা। কীভাবে কষ্ট করে জীবনযাপন করেন। দূর থেকে আরাম-আয়েশ মনে হলেও মূলত প্রবাসজীবন কষ্টের। নিজের কাজ নিজে করার সমাজে মানুষকে পরিশ্রম করতে হয় ব্যাপক। এই পরিশ্রমী মানুষজন কেন মারমুখো হলেন? কেন তাঁদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল? এর উত্তর খোঁজা কঠিন কিছু না। দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মানুষ প্রতিবাদ করে। তাদের আচরণ যদি অস্বাভাবিক হয়ে যায় বা অন্যায়ের পথ ধরে, তখন আমরা বিস্মিত হওয়ার পাশাপাশি হতাশায় ভুগি। যা ঘটেছে বা যা কিছু হয়েছে তাকে আমলে নিয়ে এর একটা দীর্ঘমেয়াদি সুরাহা এখন জরুরি।
কথায় কথায় আমরা পাকিস্তানিদের মাথা গরম, উগ্র বলে রায় দিই। এই পাকিস্তানিরাও তাঁদের সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধে এমনটা করেন বলে শুনিনি। ভারতীয়রা তো নয়ই। কারণ দেশের মৌলিক সমস্যা আর ভাবমূর্তির বেলায় তাঁরা এক। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমাদের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠেনি। মৌলিক বিষয়ে মতভেদ এতটাই প্রকট যে বাংলাদেশিদের জাতীয় অস্তিত্বই এখন ভয়াবহভাবে আক্রান্ত। এটা সুখের কিছু নয়। বাদ, প্রতিবাদ, বিদ্রোহ মানুষের অধিকার। তা করতে গিয়ে যখন পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে যায়, তখন উভয়ের সহনশীলতা কাম্য। কাম্য—আচরণে শিষ্টতা। সেটা আমরা দেখিনি। সরকারি বা বিরোধী দলের কেউ মনে রাখেননি যে এর ফলে আমাদের দেশের সম্মান পড়বে বিপদের মুখে।
বলা বাহুল্য, এর সমাধান দেশে। আমরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি এই দুই দলে বিভক্ত রাজনীতির শিকার। অথচ এমন কথা ছিল না। কথা ছিল আমাদের রাজনীতি যা-ই হোক, যে দলে বিভক্ত হোক, জাতির সম্মান বিষয়ে থাকবে সমঝোতা। সে জায়গাটি থাকেনি বা রাখা হয়নি। আলাপ-আলোচনার দিনকাল বহু আগেই বিগত। এখন চলছে হিংসা আর প্রতিহিংসার শিকার জাতি। কে দায়ী আর কারা এর জন্য দায় নেবে, জানি না। কিন্তু নিতে হবে। নেওয়ার সময় বয়ে গেলে আখেরে দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আমি আগেও লিখেছি, দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর বিদেশি শাখা-প্রশাখার জন্য দায়ী দেশের নেতারা। তাঁরা এসব উপদলকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন। এসব নেতা-উপনেতার গডফাদার আছেন। তাঁরাই বাঁচিয়ে রাখেন তাঁদের। সেই কাল সাপ এখন ফণা তুলছে। যারা বিরোধী দলে তাদের যুক্তি—দেশে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। আর যারা সরকারি দলে, তাদের যুক্তির অভাব নেই। এসব যুক্তি-তর্ক যে অসার, তা এখন দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
আমাদের স্বাধীনতার বয়স কম নয়। ৫০ বছর পর একটি দেশে এত বিভক্তি কেন? এর সহজ উত্তর—সমাধানহীন রাজনীতি। কেউ কাউকে সহ্য না করার রাজনীতি। এর অবসান হবে কীভাবে? নিশ্চিতভাবে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক সমাজ আর নির্বাচনের ন্যায্যতা এর একটা বিহিত করতে পারে। কিন্তু তা কি আদৌ আছে?
যখন কথা বলা প্রায় নিষিদ্ধ বা বললেও ভেবেচিন্তে বলতে হয়, তখন মানুষের মনে যে মেঘ জমে, সেটাই হয়তো অশনিসংকেত হয়ে দেখা দেয়। আজ দেশে নানাভাবে তাকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও বাইরের মুক্ত সমাজে তার নিয়ন্ত্রণ যে কঠিন, সেটাই দেখা গেল। এই মারমুখী বাংলাদেশিদের দেখে অন্যরা কী ভাববে?
আমাদের উপমহাদেশের প্রতিবেশীরা এমনিতেই আমাদের রাজনীতিনির্ভরতা নিয়ে হাসাহাসি করে। কারণ দেশের বাইরে আমি কোনো ভারতীয় কংগ্রেস বা পাকিস্তানের মুসলিম লীগ দেখিনি। তাঁরা যদি রাজনীতি করেন তো বসবাসরত দেশের মূল দলগুলোর রাজনীতি করেন। এতে লাভ হয় দেশের। লাভ হয় দেশের জনগণের। তাঁরা যদি এমপি হতে পারেন তো সংসদে গিয়ে নিজ নিজ দেশের কথা তুলে ধরেন। একসময় তাঁরা শীর্ষ পদে চলে যান। ব্রিটেনের ঋষি সুনাকই এর উজ্জ্বল উদাহরণ। আমাদের দেশের প্রবাসীদের মেধা থাকার পরও আজ সে সম্ভাবনা শেষ হওয়ার পথে।
আমরা আসলে কী চাই? আমরা যদি দেশের উন্নতি আর অগ্রগতি বিবেচনায় রাখি, তাহলে এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হতে হবে। আর তা সম্ভব কেবল আলোচনা আর সহনীয় পরিবেশ বজায় রাখার মাধ্যমে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমেরিকায় সে কাজটি করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু বিদ্রোহীরা নাকি তা চায়নি।
বিরোধীদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণ বোঝা কঠিন না। তাদের ভেতর যারা উগ্র, তাদের বাদ দিলে বাকিদের কথা শুনতে হবে। তাদের রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি দলের ভয় কেন, সেটা বোধগম্য হয় না মাঝে মাঝে। এত উন্নয়ন, এত অর্জনের পরও তাদের দৃষ্টিভঙ্গি কেন বদলায় না? নির্বাচনের সময় এখন সামনে। এই সময়কালে যদি তারা একবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে, তাহলে হয়তো পরিবেশ কিছুটা হলেও উন্নত হবে।
সত্যিকারের ভাবমূর্তি কখনো ভয়ভীতির ওপর দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। বহু দেশে আমাদের চেয়েও সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি বিরাজমান। এরপরও তারা দেশের বাইরে এমন সব কাণ্ড করে না, যা দেশের মুখ ম্লান করে দেয়।
আমাদের জাতীয় সংগীতের শেষ লাইনটি হচ্ছে, ‘তোমার বদনখানি মলিন হলে আমি নয়ন জলে ভাসি...’। দেশ ও দেশের বাইরের মানুষদের নয়নজলে ভাসিয়ে কোনো রাজনীতিই টিকে থাকতে পারে না। সেটা সরকারি বা বিরোধী দল উভয়ের জন্য সত্য। দেশের রাজনীতির বাইরে রপ্তানি বন্ধের পাশাপাশি দেশপ্রেম আর গণতন্ত্রই এর সমাধান। সহ্য করার দায়িত্ব সরকারি দলের। তাদের আচরণ ও কর্মকাণ্ড যেন গণতান্ত্রিক হয়ে ওঠে, সেই কামনা করি।
লেখক: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী কলামিস্ট
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে