নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম থেকে যশোরের সরকারি গুদামে পাঠানো সেই ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার পরীক্ষায় নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে। চট্টগ্রামের টিএসপি সার কারখানার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন টিএসপি কমপ্লেক্সের এমডি মো. আতাউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে চালানের সঙ্গে পাঠানো আরও ১১৫ মেট্রিক টন টিএসপি সারের হদিস নেই। ৯ দিন আগে পাঠানো ১১৫ মেট্রিক টন সার এখনো যশোর বাফার গুদামে পৌঁছায়নি।
১৮ মার্চ বাফার গুদামে নকল সার খালাসের চেষ্টা নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে টিএসপি। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হতে গুদামে থাকা সারগুলো টিএসপি ল্যাবে এনে পরীক্ষা করা হয়। ল্যাব পরীক্ষায় সারগুলো নকল প্রমাণিত হয়।
টিএসপির জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) মো. সুলাইমান বলেন, যশোর বাফার গুদামের সন্দেহজনক সার নকল প্রমাণিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিসিআইসিতে একটি বিশেষ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সারগুলোর পাশাপাশি একই চালানে পাঠানো আরও ১১৫ টন যথা সময়ে গুদামে না পৌঁছানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিবহনকালে সার পরিবর্তন করে নকল সার গুদামে ঢোকার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে টিএসপি সার পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ এমকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবিব রুবেল আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, ‘গাড়িগুলো পথে রয়েছে।’ গ্রিন সিগনাল পেলে বাফার গুদামে সার পৌঁছে যাবে। গ্রিন সিগনাল বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি।
রাস্তায় তো এখন বড় সমস্যা বা যানজট নেই, ৯ দিনেও না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
টিএসপি সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) যশোর গুদাম চত্বরে এসে পৌঁছায় পাঁচ ট্রাকে ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সারগুলো আনা হয়। এ সময় সার দেখে সন্দেহ হয় বাফার গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলামের। তিনি খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সন্দেহের বিষয়টি জানান। ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়। আর সার খালাস না করে ট্রাকসহ গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে যশোর বাফার গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দ সারের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে চট্টগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যান।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব উপপ্রধান রসায়নবিদ শফিকুল কবির বলেন, ‘ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে, সব সারই ভেজাল। আমাদের উৎপাদিত সারের সঙ্গে যশোর বাফার গুদামের সারের মিল নাই। আমরা ধারণা করছি, সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে ভেজাল সার ওঠানো হয়েছে। আমরা টিএসপির এমডির কাছে গত বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
চট্টগ্রাম থেকে যশোরের সরকারি গুদামে পাঠানো সেই ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার পরীক্ষায় নকল বলে প্রমাণিত হয়েছে। চট্টগ্রামের টিএসপি সার কারখানার পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছে তদন্ত কমিটি।
গত বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন টিএসপি কমপ্লেক্সের এমডি মো. আতাউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
এদিকে চালানের সঙ্গে পাঠানো আরও ১১৫ মেট্রিক টন টিএসপি সারের হদিস নেই। ৯ দিন আগে পাঠানো ১১৫ মেট্রিক টন সার এখনো যশোর বাফার গুদামে পৌঁছায়নি।
১৮ মার্চ বাফার গুদামে নকল সার খালাসের চেষ্টা নিয়ে আজকের পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে টিএসপি। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হতে গুদামে থাকা সারগুলো টিএসপি ল্যাবে এনে পরীক্ষা করা হয়। ল্যাব পরীক্ষায় সারগুলো নকল প্রমাণিত হয়।
টিএসপির জেনারেল ম্যানেজার (বাণিজ্য) মো. সুলাইমান বলেন, যশোর বাফার গুদামের সন্দেহজনক সার নকল প্রমাণিত হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার বিসিআইসিতে একটি বিশেষ বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সারগুলোর পাশাপাশি একই চালানে পাঠানো আরও ১১৫ টন যথা সময়ে গুদামে না পৌঁছানোর বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পরিবহনকালে সার পরিবর্তন করে নকল সার গুদামে ঢোকার চেষ্টার বিষয়টি অস্বীকার করে টিএসপি সার পরিবহন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সৈয়দ এমকে এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আহসান হাবিব রুবেল আজকের পত্রিকার কাছে দাবি করেন, ‘গাড়িগুলো পথে রয়েছে।’ গ্রিন সিগনাল পেলে বাফার গুদামে সার পৌঁছে যাবে। গ্রিন সিগনাল বলতে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন সেটি স্পষ্ট করেননি তিনি।
রাস্তায় তো এখন বড় সমস্যা বা যানজট নেই, ৯ দিনেও না পৌঁছানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
টিএসপি সূত্রে জানা গেছে, ১৭ মার্চ বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) যশোর গুদাম চত্বরে এসে পৌঁছায় পাঁচ ট্রাকে ৭২ মেট্রিক টন টিএসপি সার। সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার টিএসপি সার কারখানা থেকে সারগুলো আনা হয়। এ সময় সার দেখে সন্দেহ হয় বাফার গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলামের। তিনি খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সন্দেহের বিষয়টি জানান। ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়। আর সার খালাস না করে ট্রাকসহ গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে যশোর বাফার গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ২১ মার্চ টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি যশোরে এসে জব্দ সারের নমুনা সংগ্রহ করেন। পরে চট্টগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে যান।
তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব উপপ্রধান রসায়নবিদ শফিকুল কবির বলেন, ‘ল্যাব টেস্টে দেখা গেছে, সব সারই ভেজাল। আমাদের উৎপাদিত সারের সঙ্গে যশোর বাফার গুদামের সারের মিল নাই। আমরা ধারণা করছি, সড়ক থেকে আসল সার নামিয়ে ভেজাল সার ওঠানো হয়েছে। আমরা টিএসপির এমডির কাছে গত বুধবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে