আদা-রসুনের দাম বাড়তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১৪
Thumbnail image

সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় বাজারে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। তবে এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে চায়না আদা, রসুন। সপ্তাহের ব্যবধানে খাতুনগঞ্জ বাজারে প্রতি কেজি চায়না আদা ২০-২৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে এই আদা। চায়না রসুনের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। প্রতি কেজি চায়না রসুন ৩০-৩৫ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। তবে সবজির দাম এখনো সাধারণের আয়ত্তে আসেনি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।

নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারে আসা লালখান বাজার এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে, তাতে আমাদের আর চলার উপায় থাকছে না। চালের পর এখন বাজারে আদা, রসুনের দাম বাড়ছে। মাছ, মাংস, শাকসবজির দামও অনেক বেশি। আগে শীতকালে সবজির দাম অনেক কম থাকত। ২০-৩০ টাকায় শিম, লাউ কেনা যেত। এখন কোনো সবজিই ২০-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে না।’

খাতুনগঞ্জ হামিদুল্লা মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিস গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি চায়না আদা বিক্রি হয়েছে ৯৫ টাকায়। অন্যদিকে প্রতি কেজি চায়না রসুন বিক্রি হয়েছে ১৪৫-১৫০ টাকায়। অথচ গত সপ্তাহের শনিবার প্রতি কেজি চায়না আদা বিক্রি হয়েছিল ৭০-৭৫ টাকায়। একই দিন চায়না রসুন বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১১৫-১২০ টাকায়। তবে বাজারে দেশি আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম স্বাভাবিক।

এদিকে মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়লেও সবজির কিছুটা স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় এসবের দাম স্থিতিশীল আছে। গতকাল শুক্রবার প্রতি কেজি শিম ৪০-৪৫ টাকা, ফুলকপি ৪০, পটোল ৪০, মুলা ৩৮, বাঁধাকপি ৩৫, বরবটি ৬০, শসা ৪০, বেগুন ৫০, পেঁপে ৩০ ও ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

তবে মাছ-মাংসের দাম কিছুটা বাড়তির দিকে। বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়। অপর দিকে সোনালি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে রুই-কাতল আকারভেদে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ৩০০ এবং শিং মাছ ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি বড় আকারের ইলিশ ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পাঙাশ ১৫০, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ১৬০ ও চিংড়ি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম জানতে চাইলে চৌমুহনী কর্ণফুলী কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা জমির উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কিছুটা কমেছে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ থাকায় দাম এখন স্বাভাবিক। সামনে দাম আরও কমবে।’

একই বাজারের চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজারের মাছ বিক্রেতা মো. ইউছুপ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাজারে সামুদ্রিক মাছে দাম কিছুটা স্বাভাবিক। তবে রুই, কাতল, শিংসহ দেশি জাতের মাছের দাম ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে ১ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। অন্যদিকে রুই বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত