দান করার অনন্য ফজিলত

ড. মো. শাহজাহান কবীর
প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ০৯: ৪৪

পবিত্র কোরআনে দানের কথা বিরাশিবার উল্লেখ করা হয়েছে। দানের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মানুষের মাঝে রিজিকের ভারসাম্য রক্ষা করেন। বিনিময়ে প্রতিদানও দিয়ে থাকেন। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-সদকা করো, তবে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে ফকির-মিসকিনকে দান করে দাও, তবে তা আরও বেশি উত্তম। আর তিনি তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭১)

মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘ওপরের হাত নিচের হাত অপেক্ষা উত্তম।’ (মুসলিম)। অর্থাৎ দাতা গ্রহীতা অপেক্ষা শ্রেয়। দান করলে দাতার সম্মান ও গৌরব বৃদ্ধি পায়। দানের ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দিতে হয়। সম্পদ ব্যয়ের সর্বশ্রেষ্ঠ খাত মা-বাবা।

আত্মীয়দের মধ্যে ভাইবোনের হক সবচেয়ে বেশি। পাশাপাশি শ্বশুর-শাশুড়ি ও বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয় যাঁরা, তাঁদেরও অগ্রাধিকার রয়েছে।নানা উপলক্ষে তাঁদের হাদিয়া, উপহার ও উপঢৌকন দেওয়া সুন্নত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই তোমাদের সম্পদে নিঃস্ব ও অসহায়দের অধিকার রয়েছে।’ (সুরা জারিয়াত: ১৯) অর্থাৎ আমরা যা দান করি, কোরআনের দৃষ্টিতে তা দয়া নয়; তা অসহায়দের অধিকার বা হক্কুল ইবাদ। আপনি যখন দান করেন, তখন আপনি সৃষ্টির অধিকারকেই সম্মান করেন। তখন স্বাভাবিকভাবেই আল্লাহ আপনাকে সম্মানিত করবেন।

দান করে খোঁটা দিতে নেই। এতে দানের ফজিলত নষ্ট হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সদ্ব্যবহার, সুন্দর কথা ওই দান অপেক্ষা উত্তম, যার পেছনে আসে যন্ত্রণা। আল্লাহ ঐশ্বর্যশালী ও পরম সহিষ্ণু। হে মুমিনগণ, তোমরা খোঁটা দিয়ে ও কষ্ট দিয়ে তোমাদের দান বাতিল কোরো না। তাদের মতো, যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে লোকদেখানোর জন্য এবং তারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে না।’ (সুরা বাকারা: ২৬৩ ও ২৬৪) 

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত