সম্পাদকীয়
১৯৫৪ সালের ১ ডিসেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে চলছিল কয়েক দিনের যুব উৎসব। নাচ, গান, নাটক, কবিতা ছাড়াও নানাদিকে ছিল নানা আয়োজন। সেখানেই ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর শঙ্খ ঘোষ। ঘুরতে ঘুরতে একসময় সুভাষ মুখোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষকে বললেন, ‘শোনো, তোমার সঙ্গে কথা আছে। চলো একটু ওদিকে যাই।’
একটু আলো-আঁধারির মধ্যে জনশূন্য জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন তাঁরা। সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটু ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার বিষয়ে একটা গুজব শুনছি, সেটা কি সত্য?’
‘গুজব! আমার বিষয়ে? কিসের গুজব?’—অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন শঙ্খ ঘোষ। সুভাষ কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন, ‘শুনলাম তুমি নাকি পার্টি মেম্বারশিপ নেবার কথা ভাবছ?’
শঙ্খ ঘোষ ভাবলেন, যদি এ সংবাদ সত্য হতো, তাহলে সুভাষ মুখোপাধ্যায় খুব খুশি হতেন, কিন্তু স্কুলজীবন থেকেই কোনো দলীয় রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল না শঙ্খ ঘোষের। দলীয়তা মানেই বুকটা দমচাপা হয়ে যায়, সে কথা বুঝতেন শঙ্খ ঘোষ। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি বামপন্থী রাজনীতির অনুবর্তী হয়েছিলেন এবং সে কারণেই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় কষ্ট পাবেন জেনেও সত্য কথাটা বলতে হলো শঙ্খ ঘোষকে। তিনি বললেন, ‘না, কথাটা ঠিক সত্যি নয়। ও রকম কোনো ভাবনা আমার নেই। ওটা আমি পেরে উঠব না।’
শুনে মনে হলো, সুভাষ মুখোপাধ্যায় যেন একটি স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লেন। বললেন, ‘সত্যি নয়? তবে খুব ভালো। শোনো। এখন তো নয়ই, লিখতে যদি চাও পার্টি মেম্বারশিপ নেবার কথা কখনোই ভেবো না। পার্টির কাজ যদি করো, বাইরে থেকে করো। বাইরে থেকেই অনেক ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। দুপক্ষেই সেটা ভালো।’
এরপর তিনি বলেছিলেন, ‘পার্টির কাজে সাহায্য করার কথা ভুলো না কখনো। মানুষের সঙ্গ ছেড়ো না।’
শঙ্খ ঘোষ কখনো দলীয় রাজনীতিতে যোগ দেননি।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষের গদ্য সংগ্রহ, অষ্টম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৭৫-১৭৭
১৯৫৪ সালের ১ ডিসেম্বরে কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে চলছিল কয়েক দিনের যুব উৎসব। নাচ, গান, নাটক, কবিতা ছাড়াও নানাদিকে ছিল নানা আয়োজন। সেখানেই ফুরফুরে মেজাজে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর শঙ্খ ঘোষ। ঘুরতে ঘুরতে একসময় সুভাষ মুখোপাধ্যায় শঙ্খ ঘোষকে বললেন, ‘শোনো, তোমার সঙ্গে কথা আছে। চলো একটু ওদিকে যাই।’
একটু আলো-আঁধারির মধ্যে জনশূন্য জায়গায় গিয়ে দাঁড়ালেন তাঁরা। সুভাষ মুখোপাধ্যায় একটু ইতস্তত করে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার বিষয়ে একটা গুজব শুনছি, সেটা কি সত্য?’
‘গুজব! আমার বিষয়ে? কিসের গুজব?’—অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন শঙ্খ ঘোষ। সুভাষ কিছুক্ষণ চুপ করে বললেন, ‘শুনলাম তুমি নাকি পার্টি মেম্বারশিপ নেবার কথা ভাবছ?’
শঙ্খ ঘোষ ভাবলেন, যদি এ সংবাদ সত্য হতো, তাহলে সুভাষ মুখোপাধ্যায় খুব খুশি হতেন, কিন্তু স্কুলজীবন থেকেই কোনো দলীয় রাজনীতি করার ইচ্ছে ছিল না শঙ্খ ঘোষের। দলীয়তা মানেই বুকটা দমচাপা হয়ে যায়, সে কথা বুঝতেন শঙ্খ ঘোষ। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি বামপন্থী রাজনীতির অনুবর্তী হয়েছিলেন এবং সে কারণেই সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর এত ঘনিষ্ঠতা।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় কষ্ট পাবেন জেনেও সত্য কথাটা বলতে হলো শঙ্খ ঘোষকে। তিনি বললেন, ‘না, কথাটা ঠিক সত্যি নয়। ও রকম কোনো ভাবনা আমার নেই। ওটা আমি পেরে উঠব না।’
শুনে মনে হলো, সুভাষ মুখোপাধ্যায় যেন একটি স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়লেন। বললেন, ‘সত্যি নয়? তবে খুব ভালো। শোনো। এখন তো নয়ই, লিখতে যদি চাও পার্টি মেম্বারশিপ নেবার কথা কখনোই ভেবো না। পার্টির কাজ যদি করো, বাইরে থেকে করো। বাইরে থেকেই অনেক ভালোভাবে কাজ করতে পারবে। দুপক্ষেই সেটা ভালো।’
এরপর তিনি বলেছিলেন, ‘পার্টির কাজে সাহায্য করার কথা ভুলো না কখনো। মানুষের সঙ্গ ছেড়ো না।’
শঙ্খ ঘোষ কখনো দলীয় রাজনীতিতে যোগ দেননি।
সূত্র: শঙ্খ ঘোষের গদ্য সংগ্রহ, অষ্টম খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৭৫-১৭৭
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে