অশোক কুমার
বনফুলের ‘হাটে বাজারে’ নিয়ে সিনেমা করতে চাইলেন তপন সিংহ। যদিও সেটা ডায়েরির ফর্মে লেখা, তবু তার চরিত্রগুলো জীবন্ত বলে ছবি করলে উতরে যাবে। কারা অভিনয় করবেন? তপন সিংহ ঠিক করলেন বোম্বের ব্যস্ত শিল্পী বৈজয়ন্তী মালা আর অশোক কুমারকে নেবেন প্রধান চরিত্রে। বোম্বে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলায় দুজনই ছবিটি করতে উৎসাহী হলেন। বৈজয়ন্তী একবর্ণ বাংলা জানেন না, তাঁর জন্য টেপ রেকর্ডারে তিন রকম স্পিডে সংলাপ রেকর্ড করা হলো।
আর অশোক কুমার? সেই ১৯৩৬ সাল থেকে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রকে দিয়েছেন অন্য এক মাত্রা। অভিনয়ে চিরকাল বুদ্ধিকে লাগিয়েছেন কাজে। স্বাভাবিক অভিনয় করার সাধনায় তিনি নিজেকে ব্যাপ্ত রেখেছেন সারা জীবন। অশোক কুমারের চোখ আর হাসির তুলনা হয় না বলেই তপন সিংহ বিশ্বাস করতেন। মঞ্চের অভিনয় থেকে অনেক দূরে থাকতেন অশোক কুমার। তপন সিংহকে বলেছিলেন, ‘বাঙালি হলেও, বাংলা ভাষার ওপর দখল একেবারে নেই। যা শিখেছি, তা মায়ের কাছে। তাই সংলাপ যদি একটু কম করে দাও, তাহলে আমার সুবিধা হবে।’
তপন সিংহ সংলাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন অশোক কুমার। প্রচণ্ড হাঁপানির টান। বিপদ হলো। ফোন করা হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনকে। তিনি ছোট্ট একটি প্লেনে ডা. ছেত্রীকে পাঠিয়ে দিলেন। ডা. ছেত্রী দু-তিন দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বললেন। অশোক কুমার কিন্তু বললেন, ‘সাফ সাফ বলছি, হয় আমাকে কাজ করতে দাও, না হলে বোম্বে পাঠিয়ে দাও।’
অগত্যা! ক্যামেরা চলার আগপর্যন্ত হাঁপানির টানে হাঁপরের মতো বুক ওঠানামা করছিল অশোক কুমারের। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু যেই ক্যামেরা চালু হলো, মুহূর্তে কষ্ট মিলিয়ে গেল। মুখে মিষ্টি হাসি। নিপুণভাবে অভিনয় করে গেলেন। শট শেষ হওয়ার পর বললেন, ‘তাড়াতাড়ি একটা চেয়ার দাও, দাঁড়াতে পারছি না, মরে যাব।’
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৮১-৮২
বনফুলের ‘হাটে বাজারে’ নিয়ে সিনেমা করতে চাইলেন তপন সিংহ। যদিও সেটা ডায়েরির ফর্মে লেখা, তবু তার চরিত্রগুলো জীবন্ত বলে ছবি করলে উতরে যাবে। কারা অভিনয় করবেন? তপন সিংহ ঠিক করলেন বোম্বের ব্যস্ত শিল্পী বৈজয়ন্তী মালা আর অশোক কুমারকে নেবেন প্রধান চরিত্রে। বোম্বে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলায় দুজনই ছবিটি করতে উৎসাহী হলেন। বৈজয়ন্তী একবর্ণ বাংলা জানেন না, তাঁর জন্য টেপ রেকর্ডারে তিন রকম স্পিডে সংলাপ রেকর্ড করা হলো।
আর অশোক কুমার? সেই ১৯৩৬ সাল থেকে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রকে দিয়েছেন অন্য এক মাত্রা। অভিনয়ে চিরকাল বুদ্ধিকে লাগিয়েছেন কাজে। স্বাভাবিক অভিনয় করার সাধনায় তিনি নিজেকে ব্যাপ্ত রেখেছেন সারা জীবন। অশোক কুমারের চোখ আর হাসির তুলনা হয় না বলেই তপন সিংহ বিশ্বাস করতেন। মঞ্চের অভিনয় থেকে অনেক দূরে থাকতেন অশোক কুমার। তপন সিংহকে বলেছিলেন, ‘বাঙালি হলেও, বাংলা ভাষার ওপর দখল একেবারে নেই। যা শিখেছি, তা মায়ের কাছে। তাই সংলাপ যদি একটু কম করে দাও, তাহলে আমার সুবিধা হবে।’
তপন সিংহ সংলাপ কমিয়ে দিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন অশোক কুমার। প্রচণ্ড হাঁপানির টান। বিপদ হলো। ফোন করা হলো পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল সেনকে। তিনি ছোট্ট একটি প্লেনে ডা. ছেত্রীকে পাঠিয়ে দিলেন। ডা. ছেত্রী দু-তিন দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বললেন। অশোক কুমার কিন্তু বললেন, ‘সাফ সাফ বলছি, হয় আমাকে কাজ করতে দাও, না হলে বোম্বে পাঠিয়ে দাও।’
অগত্যা! ক্যামেরা চলার আগপর্যন্ত হাঁপানির টানে হাঁপরের মতো বুক ওঠানামা করছিল অশোক কুমারের। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু যেই ক্যামেরা চালু হলো, মুহূর্তে কষ্ট মিলিয়ে গেল। মুখে মিষ্টি হাসি। নিপুণভাবে অভিনয় করে গেলেন। শট শেষ হওয়ার পর বললেন, ‘তাড়াতাড়ি একটা চেয়ার দাও, দাঁড়াতে পারছি না, মরে যাব।’
সূত্র: তপন সিংহ, মনে পড়ে, পৃষ্ঠা ৮১-৮২
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে