জমিতে বৃষ্টির পানি ফসলের ক্ষতির শঙ্কা

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ১৯
আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪৫

খেতে বৃষ্টির পানি জমায় উঠতি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কৃষকেরা। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, বৃষ্টিতে সমতলের কিছু ফসল ক্ষতি হলেও চরাঞ্চলের কৃষকদের জন্য উপকার হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মাঝারি এ বৃষ্টির কারণে অনেক এলাকায় ফসলের জমিতে পানি জমে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে উঠতি ফসলের। কিছু কিছু নিম্নাঞ্চলে বোরো ফসলের খেত ডুবে গেছে। এসব বোরো ধানের চারা পানির নিচে থাকলে পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে উঠতি ফসল সরিষার পাশাপাশি পেঁয়াজ ও আগাম রসুনের জমিতে পানি জমে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। তাঁরা জানান, তীব্র শীত আর বৃষ্টিতে সরিষা, আলু, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন রবিশস্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৃষ্টির কারণে সবজিখেতে রোগবালাইয়ের শঙ্কাও বেড়ে গেছে।

উদাখালী ইউনিয়নের ছালুয়া গ্রামের সরিষাচাষি বাচ্চা আলী সরকার বলেন, ‘শুক্রবার সারা দিন বৃষ্টি হওয়ায় আমার দেড় বিঘা জমির সরিষাখেতে পানি জমে গেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই সরিষা তুলতে পারতাম। বৃষ্টির কারণে সরিষাগাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এখন কী হবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।’

কাঠুর গ্রামের কৃষক আজিজল হক বলেন, ‘সাধারণত মাঘ মাসে এত বৃষ্টি হয় না। প্রচুর বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকার বোরো ফসল ডুবে গেছে। এসব জমির পানি বের করে দেওয়ার উপায়ও নেই। রোদ না হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।’

অন্যদিকে চরাঞ্চলের এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ডাকাতিয়ার চর গ্রামের আবু হাশেম, রফিকুল ইসলাম, দছিজল মণ্ডলসহ অনেকে বলেন, ‘মাঘের বৃষ্টি কিছু মানুষের ক্ষতি করলেও আমাদের উপকার হয়েছে। ভুট্টা, মরিচ, বোরোসহ চরাঞ্চলে এ সময়ে ফসলে সেচ দিতে হতো। বৃষ্টির কারণে আর সেচ দিতে হবে না। জমি তৈরি করেই বোরোর চারা রোপণ করতে পারব।’

ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিন্টু মিয়া আজকের পত্রিকা বলেন, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির কারণে চরাঞ্চলের সেচনির্ভর ফসলের জন্য উপকার হয়েছে। তবে সমতলের সরিষা ও আলুসহ কিছু ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত