পেঁয়াজ চাষে লাখপতি

মিজান মাহী, দুর্গাপুর
প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২২, ০৭: ৪১
আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২২, ১২: ০৯

তিনি এখন একজন সফল পেঁয়াজচাষি। হয়েছেন লাখপতিও। উপজেলা কৃষি অফিসের প্রণোদনার বীজ নিয়ে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করে রাতারাতি ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন তিনি।

এ বছর বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় পেঁয়াজ চাষ করেই সাধারণ কৃষক থেকে লাখপতি বনে যাওয়া এই ব্যক্তি হলেন দুর্গাপুর উপজেলার শাহাদত হোসেন। বাড়ি উপজেলার হরিপুর গ্রামে।

দুর্গাপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সংকটের কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম বছরজুড়েই বেশি ছিল। তাই ঘাটতি মেটাতে কৃষি অধিদপ্তর নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। কৃষকেরাও উৎপাদন বাড়াতে নতুন জাতের পেঁয়াজ লাগাচ্ছেন। দুর্গাপুরসহ আশপাশের উর্বর জমিতে প্রতিবছরই পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়। দুর্গাপুর পৌর এলাকার হরিপুর গ্রামও পেঁয়াজ চাষের জন্য ভালো। এই উপজেলার কৃষি অফিসের সহায়তায় এবার ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলেন শাহাদত। উচ্চফলনশীল এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ লাগিয়ে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। এই বীজে বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২০০ মণ।

শাহাদত হোসেন বলেন, ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে তাঁর খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন তিনি। প্রতি মণ পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা মণ দরে। এখনো জমিতে রয়েছে পোক্ত আরও পেঁয়াজ। বাজারে পেঁয়াজের চড়া দাম হওয়ায় প্রায় আড়াই লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তিনি।

শাহাদত আরও বলেন, গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ জাতটা এই এলাকায় নতুন। জমিতে একটু বেশি সময় লাগলেও ফলন হয় বাম্পার। তিনি ভবিষ্যতে এ পেঁয়াজের চাষ আরও বাড়াবেন। তাঁর এ সাফল্য দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন অনেক কৃষক।

উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোকলেছুর রহমান বলেন, পেঁয়াজের এন-৫৩ জাতটা নতুন। এর ফলন অধিক। বিঘাপ্রতি ২০০ মণ হারে ফলন হচ্ছে। বাজারে পেঁয়াজের চড়া দাম থাকায় কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন। আমার ব্লক হরিপুর গ্রামে কৃষক শাহাদত ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন। তাঁর এই সাফল্যে এই এলাকার কৃষকেরাও পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এই উপজেলার পেঁয়াজ নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে সারা দেশে সরবরাহ করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত