নজরুল ইসলাম
মোনায়েম সরকারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতার শুরু অনেক বছর আগে। তিনি আমাকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৩০ মার্চ সেমিনারটির বিষয় ছিল ‘রাজধানীর উন্নয়ন ভাবনা: পরিবেশ ও পরিচালন’ প্রসঙ্গে। স্থান ছিল সিরডাপ মিলনায়তন।
৩০ মার্চ মোনায়েম সরকারের জন্মদিন। বয়সে আমি তাঁর ছয় বছরের বড়। কিন্তু তারপরও আমরা যেন একই বয়সের বন্ধু। তাঁর খোলামেলা সহাস্য আচরণ সহজেই ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এশিয়াটিক সোসাইটি, আমাদের নগর গবেষণাকেন্দ্র এবং তাঁর ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তবে ঘনিষ্ঠভাবে মতবিনিময়ের সুযোগ হয় চামেলীবাগে তাঁর বাসার বিভিন্ন আড্ডায়। সেখানে প্রায়ই চার-পাঁচজন মিলে নিবিড় আড্ডা হয়ে থাকে। এমনকি প্রায় দিনই শুধু আমরা দুজনেই আড্ডা দিয়েছি।
শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোনায়েম সরকার আমার পাঁচ বছরের জুনিয়র। তিনি যখন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে ঢোকেন, আমি তাঁর আগেই ভূগোল বিভাগের শিক্ষক। তাঁর তৎকালীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আমার সরাসরি ছাত্র। আমি মোনায়েম সরকারকে তখন চিনতাম না। তিনি অবশ্য তখনই রাজনীতিতে নিবেদিত বাম ধারার রাজনীতির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ হয়ে তিনি পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হন। এতে মূল প্রেরণা অবশ্যই বঙ্গবন্ধু ছিলেন।
তাঁকে আমি চিনি তাঁর গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য। তাঁর সম্পাদনায় দুই খণ্ডের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি’ বিষয়ে একটি অসাধারণ প্রামাণ্য গ্রন্থ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর পাশাপাশি তৎকালীন ও তৎপূর্ব প্রাসঙ্গিক ইতিহাস চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। মোনায়েম সরকার তাঁর বন্ধু আশফাক-উল-আলমকে নিয়ে এ বইটির ঈষৎ সংক্ষিপ্ত সংস্করণ এক খণ্ডের ৫৫০ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ রচনা করেছেন। এটিও অত্যন্ত মূল্যবান কাজ। মোনায়েম সরকার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
মোনায়েম সরকারের জন্মদিনে তাঁর গবেষণামূলক লেখালেখির পরিচয় তুলে ধরার ইচ্ছা বা সামর্থ্য আমার নেই; তবে তিনি যে এভাবে জাতির প্রতি একটি অনন্য দায়িত্ব পালন করেছেন, এ জন্য তাঁকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। মোনায়েম সরকারকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বা বিএফডিআরের কর্ণধারের ভূমিকার জন্য। কয়েক বছর হলো, আমি তাঁর আহ্বানে এই ফাউন্ডেশনের একজন ট্রাস্টি হয়েছি।
ট্রাস্টি তালিকায় রয়েছেন সমমনা আরও অনেক বিশিষ্টজন।
বিএফডিআর আওয়ামী লীগের একটি প্রকৃত থিংক ট্যাংকধর্মী গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হতে পারত। তাঁর একক চেষ্টা ও তৎপরতায় প্রতিষ্ঠানটি কিছু দায়িত্ব পালন করলেও, তা যথেষ্ট নয়। এ প্রতিষ্ঠানটির আরও ভালো মানের গবেষণা তৎপরতা থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। শুধু মোনায়েমের একক গবেষণা ও প্রকাশনায় নয়; বরং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বিস্তৃত ও ব্যাপক গবেষণা, সম্পাদনা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের। আমার এ ধারণাটি আমি তাঁকে প্রায়ই ঘরোয়াভাবে বলে থাকি।
তিনি তাঁর জীবনের এ পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আরও দীর্ঘদিন তিনি আরও বড় অবদান রাখতে সক্ষম—এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অনন্যসাধারণ নিঃস্বার্থ মানুষ মোনায়েম, এ কারণে তাঁর ওপর আমার আস্থা আছে। একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা, সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ ও
কাছের মানুষ মোনায়েম সরকার যে ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন, তা একমাত্র যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরাই শুধু জানেন। বর্তমান যুগে এমন ধরনের মানুষ শুধু কল্পনার মতো মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তব জীবনে এ রকমই তিনি। তিনি চিরকুমার—এটাই এর যথেষ্ট ব্যাখ্যা নয়।
জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা।
নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ও নগরবিদ
মোনায়েম সরকারের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠতার শুরু অনেক বছর আগে। তিনি আমাকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের একটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। ২০০৩ সালের ৩০ মার্চ সেমিনারটির বিষয় ছিল ‘রাজধানীর উন্নয়ন ভাবনা: পরিবেশ ও পরিচালন’ প্রসঙ্গে। স্থান ছিল সিরডাপ মিলনায়তন।
৩০ মার্চ মোনায়েম সরকারের জন্মদিন। বয়সে আমি তাঁর ছয় বছরের বড়। কিন্তু তারপরও আমরা যেন একই বয়সের বন্ধু। তাঁর খোলামেলা সহাস্য আচরণ সহজেই ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এশিয়াটিক সোসাইটি, আমাদের নগর গবেষণাকেন্দ্র এবং তাঁর ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি। তবে ঘনিষ্ঠভাবে মতবিনিময়ের সুযোগ হয় চামেলীবাগে তাঁর বাসার বিভিন্ন আড্ডায়। সেখানে প্রায়ই চার-পাঁচজন মিলে নিবিড় আড্ডা হয়ে থাকে। এমনকি প্রায় দিনই শুধু আমরা দুজনেই আড্ডা দিয়েছি।
শিক্ষাজীবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোনায়েম সরকার আমার পাঁচ বছরের জুনিয়র। তিনি যখন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হয়ে ঢোকেন, আমি তাঁর আগেই ভূগোল বিভাগের শিক্ষক। তাঁর তৎকালীন ঘনিষ্ঠ বন্ধু আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আমার সরাসরি ছাত্র। আমি মোনায়েম সরকারকে তখন চিনতাম না। তিনি অবশ্য তখনই রাজনীতিতে নিবেদিত বাম ধারার রাজনীতির একজন একনিষ্ঠ কর্মী। ছাত্র ইউনিয়ন, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ হয়ে তিনি পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত হন। এতে মূল প্রেরণা অবশ্যই বঙ্গবন্ধু ছিলেন।
তাঁকে আমি চিনি তাঁর গবেষণামূলক লেখালেখির জন্য। তাঁর সম্পাদনায় দুই খণ্ডের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি’ বিষয়ে একটি অসাধারণ প্রামাণ্য গ্রন্থ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর পাশাপাশি তৎকালীন ও তৎপূর্ব প্রাসঙ্গিক ইতিহাস চমৎকারভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। মোনায়েম সরকার তাঁর বন্ধু আশফাক-উল-আলমকে নিয়ে এ বইটির ঈষৎ সংক্ষিপ্ত সংস্করণ এক খণ্ডের ৫৫০ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ রচনা করেছেন। এটিও অত্যন্ত মূল্যবান কাজ। মোনায়েম সরকার বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরও কয়েকটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
মোনায়েম সরকারের জন্মদিনে তাঁর গবেষণামূলক লেখালেখির পরিচয় তুলে ধরার ইচ্ছা বা সামর্থ্য আমার নেই; তবে তিনি যে এভাবে জাতির প্রতি একটি অনন্য দায়িত্ব পালন করেছেন, এ জন্য তাঁকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন। মোনায়েম সরকারকে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ বা বিএফডিআরের কর্ণধারের ভূমিকার জন্য। কয়েক বছর হলো, আমি তাঁর আহ্বানে এই ফাউন্ডেশনের একজন ট্রাস্টি হয়েছি।
ট্রাস্টি তালিকায় রয়েছেন সমমনা আরও অনেক বিশিষ্টজন।
বিএফডিআর আওয়ামী লীগের একটি প্রকৃত থিংক ট্যাংকধর্মী গবেষণাপ্রতিষ্ঠান হতে পারত। তাঁর একক চেষ্টা ও তৎপরতায় প্রতিষ্ঠানটি কিছু দায়িত্ব পালন করলেও, তা যথেষ্ট নয়। এ প্রতিষ্ঠানটির আরও ভালো মানের গবেষণা তৎপরতা থাকা বাঞ্ছনীয় বলে মনে করি। শুধু মোনায়েমের একক গবেষণা ও প্রকাশনায় নয়; বরং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আরও বিস্তৃত ও ব্যাপক গবেষণা, সম্পাদনা ও দিকনির্দেশনা প্রদানের দায়িত্ব পালন করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ফর ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের। আমার এ ধারণাটি আমি তাঁকে প্রায়ই ঘরোয়াভাবে বলে থাকি।
তিনি তাঁর জীবনের এ পর্যন্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। আরও দীর্ঘদিন তিনি আরও বড় অবদান রাখতে সক্ষম—এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অনন্যসাধারণ নিঃস্বার্থ মানুষ মোনায়েম, এ কারণে তাঁর ওপর আমার আস্থা আছে। একজন প্রবীণ রাজনৈতিক কর্মী ও নেতা, সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের ঘনিষ্ঠ ও
কাছের মানুষ মোনায়েম সরকার যে ব্যক্তিগতভাবে সাধারণ ও অনাড়ম্বর জীবন যাপন করেন, তা একমাত্র যাঁরা তাঁকে কাছ থেকে দেখেছেন, তাঁরাই শুধু জানেন। বর্তমান যুগে এমন ধরনের মানুষ শুধু কল্পনার মতো মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তব জীবনে এ রকমই তিনি। তিনি চিরকুমার—এটাই এর যথেষ্ট ব্যাখ্যা নয়।
জন্মদিনে তাঁর প্রতি রইল আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভকামনা।
নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ও নগরবিদ
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে