গঙ্গাচড়া প্রতিনিধি
গঙ্গাচড়ায় ঈদের আগে ভিজিএফের চাল পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে উপকারভোগীদের মধ্যে। তবে এবার বরাদ্দ কম থাকায় বঞ্চিত অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ কার্ড না থাকার পরও বিতরণের জায়গায় ভিড় করেছেন।
গতকাল রোববার কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণ কর্মসূচি চলে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে দেওয়া হয় ১০ কেজি করে চাল।
সেখানে কথা হয় কুড়িবিশ্বা বাঁধের পাড় এলাকার মোমেনা বেওয়ার সঙ্গে। দুপুরের তপ্ত রোদে ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা ছিলেন ঘামে ভেজা। কিন্তু স্লিপ দেখিয়ে পাওয়া চালের বস্তার ওপর বসে তিনি হাসছিলেন স্বস্তির হাসি।
মোমেনা বলেন, ‘কাইল চেয়ারম্যান রাইতোত মোর বাড়িত যায়া একখান চাউলের স্লিপ দিয়া আসছে, তারে না চাউল পানুং। রমজান মাস খাইতে যা কষ্ট হইছে! যাক এই চাউল দিয়া কোনোরকমে এখান মাস চলে যাবে। দোয়া করং চেয়ারম্যানোক এই দিনে মোক চাউলের স্লিপখান দেওয়ার জন্য।’
তবে মোমেনার মতো সব দরিদ্র মানুষের চাল সহায়তা পাওয়ার ভাগ্য হয়নি। গতকাল বিতরণকালে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে অনেকে স্লিপ না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে কথা হয় কোলকোন্দ ভাই ভাই মোড় থেকে আসা আদরী বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হামার ওদিকের মেম্বার হামাক চাউলের স্লিপ দেয়ে নাই। হামারা কি পাওয়ার যোগ্য নয়?’
আদরী সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও কয়েকজন নারী জানান, তাঁরা যোগ্য হলেও কেউ ভিজিএফের কার্ড পাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ বলেন, ‘আমার কোলকোন্দ ইউনিয়নে হতদরিদ্র লোকের সংখ্যা ৬ হাজার ৫০০। আমি পেয়েছি ৪ হাজার ৩৯৯টি কার্ড। এ লোকদের দেওয়ার পরও এখনো ইউনিয়নে বঞ্চিত রয়েছে ২ হাজার ১০১টি হতদরিদ্র পরিবার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন থাকল, আগামীতে এ ধরনের বরাদ্দ যেন এই ইউনিয়নে বাড়িয়ে দেয়। আমার ইউনিয়নটির অর্ধেকেরও বেশি এলাকা নদীভাঙন কবলিত।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, গঙ্গাচড়ায় এ বছর ৪২ হাজার ৯৩৮টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর এই পরিবারের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫৫৮টি। ঈদ সামনে রেখে বিতরণের জন্য উপজেলায় ৪২৯ দশমিক ৩৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগের বছরের তুলনায় এ বরাদ্দ কম। যার ফলে ৭ হাজার ৭২০টি পরিবার ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গঙ্গাচড়ায় ঈদের আগে ভিজিএফের চাল পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে উপকারভোগীদের মধ্যে। তবে এবার বরাদ্দ কম থাকায় বঞ্চিত অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের কেউ কেউ কার্ড না থাকার পরও বিতরণের জায়গায় ভিড় করেছেন।
গতকাল রোববার কোলকোন্দ ইউনিয়ন পরিষদে ঈদ উপলক্ষে মানবিক সহায়তার চাল বিতরণ কর্মসূচি চলে। প্রতিটি কার্ডের বিপরীতে দেওয়া হয় ১০ কেজি করে চাল।
সেখানে কথা হয় কুড়িবিশ্বা বাঁধের পাড় এলাকার মোমেনা বেওয়ার সঙ্গে। দুপুরের তপ্ত রোদে ৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা ছিলেন ঘামে ভেজা। কিন্তু স্লিপ দেখিয়ে পাওয়া চালের বস্তার ওপর বসে তিনি হাসছিলেন স্বস্তির হাসি।
মোমেনা বলেন, ‘কাইল চেয়ারম্যান রাইতোত মোর বাড়িত যায়া একখান চাউলের স্লিপ দিয়া আসছে, তারে না চাউল পানুং। রমজান মাস খাইতে যা কষ্ট হইছে! যাক এই চাউল দিয়া কোনোরকমে এখান মাস চলে যাবে। দোয়া করং চেয়ারম্যানোক এই দিনে মোক চাউলের স্লিপখান দেওয়ার জন্য।’
তবে মোমেনার মতো সব দরিদ্র মানুষের চাল সহায়তা পাওয়ার ভাগ্য হয়নি। গতকাল বিতরণকালে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে অনেকে স্লিপ না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। সেখানে কথা হয় কোলকোন্দ ভাই ভাই মোড় থেকে আসা আদরী বেওয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘হামার ওদিকের মেম্বার হামাক চাউলের স্লিপ দেয়ে নাই। হামারা কি পাওয়ার যোগ্য নয়?’
আদরী সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও কয়েকজন নারী জানান, তাঁরা যোগ্য হলেও কেউ ভিজিএফের কার্ড পাননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ বলেন, ‘আমার কোলকোন্দ ইউনিয়নে হতদরিদ্র লোকের সংখ্যা ৬ হাজার ৫০০। আমি পেয়েছি ৪ হাজার ৩৯৯টি কার্ড। এ লোকদের দেওয়ার পরও এখনো ইউনিয়নে বঞ্চিত রয়েছে ২ হাজার ১০১টি হতদরিদ্র পরিবার। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন থাকল, আগামীতে এ ধরনের বরাদ্দ যেন এই ইউনিয়নে বাড়িয়ে দেয়। আমার ইউনিয়নটির অর্ধেকেরও বেশি এলাকা নদীভাঙন কবলিত।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুনিমুল হক জানান, গঙ্গাচড়ায় এ বছর ৪২ হাজার ৯৩৮টি পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। গত বছর এই পরিবারের সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৫৫৮টি। ঈদ সামনে রেখে বিতরণের জন্য উপজেলায় ৪২৯ দশমিক ৩৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। আগের বছরের তুলনায় এ বরাদ্দ কম। যার ফলে ৭ হাজার ৭২০টি পরিবার ভিজিএফ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে