সম্পাদকীয়
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শেষভাগে পাকিস্তানি বাহিনী শুরু করল জেনোসাইড। কবরী তখন ঢাকায়। কিছুদিন থাকলেন অভিনেতা জলিলদের বাড়িতে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় ‘ত্রিরত্ন’ নাটকে তিন রত্নের এক রত্ন ছিলেন জলিল। অন্য দুজন খান জয়নুল ও আশীষ কুমার লোহ। জলিলের মাকে কবরী ‘মা’ বলে ডাকতেন। সেই সুবাদে জলিল তাঁর ভাই। কিছুদিন সে বাড়িতে থাকার পর জলিল একদিন কবরীকে বললেন, ‘কবে আবার শান্তি ফিরে আসবে, কবে আবার কাজ করব, কে জানে। তুই বরং কদিন তোর মায়ের বাড়িতে থেকে আয়।’
কবরী তখন জনপ্রিয় নায়িকা। ঢাকার বাড়ির সবকিছু ফেলে তিনি চললেন চট্টগ্রামে। মায়ের কাছে। কিন্তু সেটা কবরীর জন্য নিরাপদ ছিল না। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে গিয়ে থাকতে হচ্ছিল। এরপর একসময় চলে যান গাঁয়ের বাড়ি।
মাঝে মাঝে যখন রাজাকাররা বলত, পাকিস্তানি বাহিনী এই এলাকায় চলে এসেছে, তখন দল বেঁধে সবাই পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিত। রাজাকাররা আসলে মিথ্যে বলত। লুটপাট করার জন্য।
কবরীর সেখানে থাকাটা নিরাপদ বলে মনে হলো না কারও। তাই তাঁকে সীমান্ত পার হয়ে যেতে হবে। এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে দালালদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে তাঁরা হেঁটেই রওনা হলেন সীমান্তের দিকে। একদল উদ্বাস্তু মানুষের সঙ্গে চললেন তাঁরা। স্বামী, দুই ছেলে আর কবরী। খুব কষ্ট হলো। একসময় এক জায়গায় দেখলেন হাঁড়িতে ভাত ফুটছে। সবাই হামলে পড়লেন। খেলেন ভাত-ডাল আর ডিম, মনে হলো অমৃত!
বিশ্রাম নেওয়ার সময় এক বাঙালি ক্যাপ্টেন তাঁকে চিনতে পারলেন। তিনি গোপনে বললেন, ‘এত মানুষকে তো নিয়ে যেতে পারব না, আপনারা আমাদের জিপে উঠে বসেন। সীমান্তে পৌঁছে দেব।’
সেভাবেই কবরী চেপে বসলেন গাড়িতে। গাড়ি স্টার্ট নিলে অন্যরাও দৌড়ে এল। তারাও বলতে থাকল, ‘আমাদের নিয়ে যান।’
কবরীর খুব কান্না পেল। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমি কী করে আপনাদের নেব? আমার তো সাধ্য নাই!’
সূত্র: কবরী, স্মৃতিটুকু থাক, পৃষ্ঠা ৫১-৬৪
১৯৭১ সালের মার্চ মাসের শেষভাগে পাকিস্তানি বাহিনী শুরু করল জেনোসাইড। কবরী তখন ঢাকায়। কিছুদিন থাকলেন অভিনেতা জলিলদের বাড়িতে। টেলিভিশনের জনপ্রিয় ‘ত্রিরত্ন’ নাটকে তিন রত্নের এক রত্ন ছিলেন জলিল। অন্য দুজন খান জয়নুল ও আশীষ কুমার লোহ। জলিলের মাকে কবরী ‘মা’ বলে ডাকতেন। সেই সুবাদে জলিল তাঁর ভাই। কিছুদিন সে বাড়িতে থাকার পর জলিল একদিন কবরীকে বললেন, ‘কবে আবার শান্তি ফিরে আসবে, কবে আবার কাজ করব, কে জানে। তুই বরং কদিন তোর মায়ের বাড়িতে থেকে আয়।’
কবরী তখন জনপ্রিয় নায়িকা। ঢাকার বাড়ির সবকিছু ফেলে তিনি চললেন চট্টগ্রামে। মায়ের কাছে। কিন্তু সেটা কবরীর জন্য নিরাপদ ছিল না। এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে গিয়ে থাকতে হচ্ছিল। এরপর একসময় চলে যান গাঁয়ের বাড়ি।
মাঝে মাঝে যখন রাজাকাররা বলত, পাকিস্তানি বাহিনী এই এলাকায় চলে এসেছে, তখন দল বেঁধে সবাই পাহাড়ে গিয়ে আশ্রয় নিত। রাজাকাররা আসলে মিথ্যে বলত। লুটপাট করার জন্য।
কবরীর সেখানে থাকাটা নিরাপদ বলে মনে হলো না কারও। তাই তাঁকে সীমান্ত পার হয়ে যেতে হবে। এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখে দালালদের হাতে কিছু টাকা দিয়ে তাঁরা হেঁটেই রওনা হলেন সীমান্তের দিকে। একদল উদ্বাস্তু মানুষের সঙ্গে চললেন তাঁরা। স্বামী, দুই ছেলে আর কবরী। খুব কষ্ট হলো। একসময় এক জায়গায় দেখলেন হাঁড়িতে ভাত ফুটছে। সবাই হামলে পড়লেন। খেলেন ভাত-ডাল আর ডিম, মনে হলো অমৃত!
বিশ্রাম নেওয়ার সময় এক বাঙালি ক্যাপ্টেন তাঁকে চিনতে পারলেন। তিনি গোপনে বললেন, ‘এত মানুষকে তো নিয়ে যেতে পারব না, আপনারা আমাদের জিপে উঠে বসেন। সীমান্তে পৌঁছে দেব।’
সেভাবেই কবরী চেপে বসলেন গাড়িতে। গাড়ি স্টার্ট নিলে অন্যরাও দৌড়ে এল। তারাও বলতে থাকল, ‘আমাদের নিয়ে যান।’
কবরীর খুব কান্না পেল। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘আমি কী করে আপনাদের নেব? আমার তো সাধ্য নাই!’
সূত্র: কবরী, স্মৃতিটুকু থাক, পৃষ্ঠা ৫১-৬৪
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে