সম্পাদকীয়
স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ অনুবাদ করলেন কবীর চৌধুরী। এ রকম অ্যাবসার্ড নাটক অনুবাদ করা খুব কঠিন। কবীর চৌধুরী নাটকটি শোনানোর জন্য ডাকলেন আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার আর আতাউর রহমানকে। তাঁর বাড়িতেই নাটকটি পড়ে শোনালেন। তারপর তিনি বললেন, ‘আমি চাই, তোমরা দুই দল মিলে নাটকটি করো। যদিও ছোট কাস্ট।’ আসলে এই নাটকে থিয়েটার আর নাগরিক, এই দুই দলের অংশগ্রহণ চাইলেন তিনি।
আতাউর রহমান রামেন্দু মজুমদারকে নাটকটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, কিন্তু রামেন্দু মজুমদার গা করেন না। কিছুদিন পর কোনো এক পার্টিতে কবীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হলো আতাউর রহমানের। তিনি জানতে চাইলেন, কোনো অগ্রগতি আছে কি না। আতাউর রহমান বললেন, ‘আমার তো মনে হয়, থিয়েটার নাটকটি করবে না। আমরা করতে চাইলে অনুমতি দেবেন?’
কবীর চৌধুরী জানতে চাইলেন, ‘কেন করবে না বলে মনে করছ?’
‘টিকিট বিক্রি হবে না বলে বোধ হয়।’
‘তাহলে তোমরা করো।’
নাগরিকে নাটক অ্যাপ্রুভাল কমিটি ছিল। সেখানে আলোচনা তুললে আসাদুজ্জামান নূর বললেন, ‘আতা ভাই, তুমি এ নাটক কোরো না। নাটকটি একেবারেই জীবনবিমুখ নাটক। নিঃসঙ্গতার কথা বলে। একাকিত্বের কথা বলে।’
আতাউর রহমান বললেন, ‘আমাকে এটা স্পেশাল কনসিডারেশনে করতে দেওয়া হোক।’
আতাউর রহমান দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় সবাই তাঁকে নাটকটি করার অনুমতি দিলেন।
নাটকের কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না, কিন্তু একসময় আতাউর আবিষ্কার করলেন, এ যেন জীবনানন্দের কবিতার মতো। নাটকটি মঞ্চে আসার পর দর্শক তা গ্রহণ করল। কলকাতায় স্টেটসম্যান পত্রিকার জাঁদরেল সমালোচক ধরণী ঘোষ রিভিউ লিখলেন, ‘নাসিরউদ্দিন শাহ’র চেয়ে এই প্রডাকশন ভালো হয়েছে। আতাউর রহমান ইজ ট্রুলি আ বেকেটিয়ান ডিরেক্টর।’
আতাউর রহমান হাসলেন। তিনি কীভাবে বেকেটিয়ান ডিরেক্টর, তা নিজেই বোঝেননি! নাটকটির বাইশটি শো হয়েছিল। আঠারোটি হয়েছিল হাউসফুল।
সূত্র: হাসান শাহরিয়ার সম্পাদিত থিয়েটারওয়ালা, আতাউর রহমানের সাক্ষাৎকার
স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ অনুবাদ করলেন কবীর চৌধুরী। এ রকম অ্যাবসার্ড নাটক অনুবাদ করা খুব কঠিন। কবীর চৌধুরী নাটকটি শোনানোর জন্য ডাকলেন আলী যাকের, ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার আর আতাউর রহমানকে। তাঁর বাড়িতেই নাটকটি পড়ে শোনালেন। তারপর তিনি বললেন, ‘আমি চাই, তোমরা দুই দল মিলে নাটকটি করো। যদিও ছোট কাস্ট।’ আসলে এই নাটকে থিয়েটার আর নাগরিক, এই দুই দলের অংশগ্রহণ চাইলেন তিনি।
আতাউর রহমান রামেন্দু মজুমদারকে নাটকটির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন, কিন্তু রামেন্দু মজুমদার গা করেন না। কিছুদিন পর কোনো এক পার্টিতে কবীর চৌধুরীর সঙ্গে দেখা হলো আতাউর রহমানের। তিনি জানতে চাইলেন, কোনো অগ্রগতি আছে কি না। আতাউর রহমান বললেন, ‘আমার তো মনে হয়, থিয়েটার নাটকটি করবে না। আমরা করতে চাইলে অনুমতি দেবেন?’
কবীর চৌধুরী জানতে চাইলেন, ‘কেন করবে না বলে মনে করছ?’
‘টিকিট বিক্রি হবে না বলে বোধ হয়।’
‘তাহলে তোমরা করো।’
নাগরিকে নাটক অ্যাপ্রুভাল কমিটি ছিল। সেখানে আলোচনা তুললে আসাদুজ্জামান নূর বললেন, ‘আতা ভাই, তুমি এ নাটক কোরো না। নাটকটি একেবারেই জীবনবিমুখ নাটক। নিঃসঙ্গতার কথা বলে। একাকিত্বের কথা বলে।’
আতাউর রহমান বললেন, ‘আমাকে এটা স্পেশাল কনসিডারেশনে করতে দেওয়া হোক।’
আতাউর রহমান দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হওয়ায় সবাই তাঁকে নাটকটি করার অনুমতি দিলেন।
নাটকের কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না, কিন্তু একসময় আতাউর আবিষ্কার করলেন, এ যেন জীবনানন্দের কবিতার মতো। নাটকটি মঞ্চে আসার পর দর্শক তা গ্রহণ করল। কলকাতায় স্টেটসম্যান পত্রিকার জাঁদরেল সমালোচক ধরণী ঘোষ রিভিউ লিখলেন, ‘নাসিরউদ্দিন শাহ’র চেয়ে এই প্রডাকশন ভালো হয়েছে। আতাউর রহমান ইজ ট্রুলি আ বেকেটিয়ান ডিরেক্টর।’
আতাউর রহমান হাসলেন। তিনি কীভাবে বেকেটিয়ান ডিরেক্টর, তা নিজেই বোঝেননি! নাটকটির বাইশটি শো হয়েছিল। আঠারোটি হয়েছিল হাউসফুল।
সূত্র: হাসান শাহরিয়ার সম্পাদিত থিয়েটারওয়ালা, আতাউর রহমানের সাক্ষাৎকার
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৩ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৭ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৭ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৭ দিন আগে