খান রফিক, বরিশাল
ইলিশের ভরা মৌসুমে গত আড়াই মাস বাজার ছিল অনেকটাই নিষ্প্রাণ। সাগর-নদীর এলাকা দক্ষিণের উপকূলে ইলিশের এমন সংকট সবাইকে হতাশ করেছে। এই হতাশা নিয়েই ২০ দিন পর শেষ হচ্ছে এ বছরের ইলিশ মৌসুম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় নাব্যসংকট, কম বৃষ্টি, অসহনীয় তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তন—এই চার কারণে এ বছর কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি।
বরিশাল বিশ্ববিদালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর-মোহনায় পলি পড়ায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশ প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টিও হয়েছে কম। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেরও প্রভাব রয়েছে। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ের বাইরে থাকায় ইলিশ সমুদ্রের গভীরে আশ্রয় নিচ্ছে। নাব্যসংকট ও বৃষ্টির অভাবে ইলিশ নদ-নদীতে ঢুকতে পারছে না। যে কারণে ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল।
এবার সংকটের কারণে ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ছিল। গতকাল শুক্রবারও বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মোকামে দেখা গেছে, এলসি সাইজের (৯০০ গ্রাম) ইলিশের কেজি সর্বনিম্ন ১ হাজার, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন জানান, গত সপ্তাহে ইলিশের দাম কিছুটা কম থাকলেও এখন আগের মতোই চড়া।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রতিবছরই ইলিশ উৎপাদন বাড়ছে। গত ১০ বছরে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে ১১২ ভাগ। এরপরও বাজারে ইলিশসংকটের পক্ষে নানান যুক্তি দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের বক্তব্য, গভীর সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ থাকলেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, সাগর-মোহনায় নাব্যসংকটসহ জলবায়ু পরিবর্তনে নদ-নদীতে এ বছর ভরা মৌসুমেও ইলিশের সংখ্যা কম।
বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, গত সপ্তাহে নিম্নচাপের পর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সাগর থেকে নদীতে ইলিশ প্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক দিন স্থানীয় নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নচাপের পর সাগরমুখী জেলেরা ফিরে আসার পর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। এতে মৌসুমের শেষ পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে নিম্নচাপের আগ পর্যন্ত পুরো ইলিশ মৌসুমে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। এ কারণে জেলেরা সাগরে গেলেও মাছ পাননি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চারটি মোহনা দিয়ে ইলিশ নদ-নদীতে প্রবেশ করে। প্রত্যেকটিতে কয়েক বছর আগে নাব্যসংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সাগর থেকে নদীতে পানি প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, মোহনায় নাব্যসংকটের কথা সবশেষ বিভাগীয় কমিশনারের মাসিক সভায় তুলেছেন। সাগর ও নদীর এই মোহনা উন্মুক্ত না করতে পারলে নদীতে মাছ আসতে বাধাগ্রস্ত হবে; কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে তো কারও হাত নেই। কেন বৃষ্টিপাত কম এবং তাপমাত্রা বাড়ছে, তা গবেষণার বিষয়। তাঁর দাবি, বরিশালে ইলিশ কম পাওয়া গেলে সাগর উপকূলে ইলিশ ধরা পড়েছে। জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।
ইলিশের ভরা মৌসুমে গত আড়াই মাস বাজার ছিল অনেকটাই নিষ্প্রাণ। সাগর-নদীর এলাকা দক্ষিণের উপকূলে ইলিশের এমন সংকট সবাইকে হতাশ করেছে। এই হতাশা নিয়েই ২০ দিন পর শেষ হচ্ছে এ বছরের ইলিশ মৌসুম। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সাগর মোহনায় নাব্যসংকট, কম বৃষ্টি, অসহনীয় তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তন—এই চার কারণে এ বছর কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি।
বরিশাল বিশ্ববিদালয়ের কোস্টাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান হাফিজ আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সাগর-মোহনায় পলি পড়ায় অভ্যন্তরীণ নদ-নদীতে ইলিশ প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৃষ্টিও হয়েছে কম। পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনেরও প্রভাব রয়েছে। তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ের বাইরে থাকায় ইলিশ সমুদ্রের গভীরে আশ্রয় নিচ্ছে। নাব্যসংকট ও বৃষ্টির অভাবে ইলিশ নদ-নদীতে ঢুকতে পারছে না। যে কারণে ভরা মৌসুমেও ইলিশের আকাল।
এবার সংকটের কারণে ইলিশের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে ছিল। গতকাল শুক্রবারও বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মোকামে দেখা গেছে, এলসি সাইজের (৯০০ গ্রাম) ইলিশের কেজি সর্বনিম্ন ১ হাজার, এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা। ব্যবসায়ী ইয়ার উদ্দিন জানান, গত সপ্তাহে ইলিশের দাম কিছুটা কম থাকলেও এখন আগের মতোই চড়া।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, প্রতিবছরই ইলিশ উৎপাদন বাড়ছে। গত ১০ বছরে ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে ১১২ ভাগ। এরপরও বাজারে ইলিশসংকটের পক্ষে নানান যুক্তি দেখাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের বক্তব্য, গভীর সাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ থাকলেও বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা, সাগর-মোহনায় নাব্যসংকটসহ জলবায়ু পরিবর্তনে নদ-নদীতে এ বছর ভরা মৌসুমেও ইলিশের সংখ্যা কম।
বরিশালের মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা (ইলিশ) ড. বিমল চন্দ্র দাস বলেন, গত সপ্তাহে নিম্নচাপের পর অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সাগর থেকে নদীতে ইলিশ প্রবেশ বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক দিন স্থানীয় নদ-নদীতে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। নিম্নচাপের পর সাগরমুখী জেলেরা ফিরে আসার পর বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়বে। এতে মৌসুমের শেষ পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার আগমুহূর্তে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে পারে। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে নিম্নচাপের আগ পর্যন্ত পুরো ইলিশ মৌসুমে তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। এ কারণে জেলেরা সাগরে গেলেও মাছ পাননি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চারটি মোহনা দিয়ে ইলিশ নদ-নদীতে প্রবেশ করে। প্রত্যেকটিতে কয়েক বছর আগে নাব্যসংকট দেখা দিয়েছে। ফলে সাগর থেকে নদীতে পানি প্রবেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ।
এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, মোহনায় নাব্যসংকটের কথা সবশেষ বিভাগীয় কমিশনারের মাসিক সভায় তুলেছেন। সাগর ও নদীর এই মোহনা উন্মুক্ত না করতে পারলে নদীতে মাছ আসতে বাধাগ্রস্ত হবে; কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনে তো কারও হাত নেই। কেন বৃষ্টিপাত কম এবং তাপমাত্রা বাড়ছে, তা গবেষণার বিষয়। তাঁর দাবি, বরিশালে ইলিশ কম পাওয়া গেলে সাগর উপকূলে ইলিশ ধরা পড়েছে। জানা গেছে, মা ইলিশ রক্ষায় আগামী ৭ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে