তাপস মজুমদার
কিংবদন্তি কথাকার হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য নাম। আজ জন্মদিনে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। খুব নিরাসক্তভাবে হাসানকে দেখা দরকার। হাসানের গন্তব্য ছিল উদার, স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন। বাঙালির জন্য তিনি অসীম প্রেরণার উৎস। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা, মানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আমাদের সাহিত্যে হাসানকে পেয়েছি। হাসান আজিজুল হকের লেখা পড়ে হয়তো অনেকেই তাঁকে চেনেন। আবার অনেকে চেনেনও না। তাঁর লেখার মধ্যে মানবিকবোধের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। বলার বিষয় হলো, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও সেই বোধের অস্তিত্ব সমানভাবে বিদ্যমান ছিল।
১৯৪৭-এ দেশভাগের কিছু পরে তিনি বর্ধমানের যবগ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনায়। এসে কলেজে ভর্তি হন এবং রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বাম রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী হাসান রাজরোষে কারাবন্দীও হন। পাকিস্তান আর্মির নির্যাতনে মারাত্মক জখম হন। এরই একপর্যায়ে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে কথা ওঠে। তখন তাঁকে বাধ্য হয়ে খুলনা ছেড়ে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হতে হয়।
হাসানের প্রতিভার প্রকাশ ও বিকাশ তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই ঘটেছে। চারদিকে যা কিছু দেখছেন, তা তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেখান থেকে রসদটুকু সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। আজকাল ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলনের যে অসারতা ও কুৎসিত চেহারা দেখা যায়, হাসান আজিজুল হকের ছাত্র আমলে সেটা নিতান্তই কল্পনাতীত ছিল। অন্তত ছাত্রাবস্থায় অগাধ অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা তখন ঘটেনি।
হাসান আজিজুল হক যখন সরকার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিরুদ্ধ ছাত্রসংগঠনে কোনো অনিয়ম, অবিচার, অনৈতিকতা দেখেছেন, সঙ্গে সঙ্গে সংগত কারণেই তার প্রতিবাদ করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রতিবাদ কখনো লোকদেখানো বা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছিল না। এ জন্য তাঁর অশেষ ভোগান্তি হয়েছে। তবু তিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করেছেন। এসব কারণে দৌলতপুরের বিএল কলেজে পড়াকালীনই তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন।
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কথা বলার ভঙ্গিও ছিল অতীব আকর্ষণীয়। মানুষকে যেন সম্মোহিত করে ফেলতেন তিনি। এই প্রতিভা অধিকাংশ লেখকের মধ্যে থাকে না। হাসানের ছিল অসম্ভব রসজ্ঞান। যেকোনো আড্ডা ও আলোচনায় তিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন অবলীলায়। এ ব্যাপারে তাঁর জুড়ি পাওয়া দুষ্কর।
একটি মজার ঘটনা বলি। একসময় তিনি পরপর বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেলেন। সম্ভবত ‘আগুনপাখি’ প্রকাশ হওয়ার পর। এরকমই একদিন অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারীসহ আমরা কয়েকজন সুহৃদ তাঁর পড়ার ঘরে আড্ডায় বসে আছি। অন্তত দুজন প্রকাশকের কাছ থেকে টাকা পাঠানোর ফোন পেলেন তিনি। তাঁর ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে হাসান বলতে লাগলেন, ‘বুঝলে, এই পুরস্কার আর টাকা পাওয়াটা কেমন যেন একটা বদভ্যাসে পরিণত হচ্ছে আমার।’ বলেই একগাল হেসে দিলেন।
দেখেছি, খ্যাতির অহংকার হাসানকে কখনো পেয়ে বসেনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন ছিল তাঁর। কি পোশাক, কি খাদ্য, কি ঘরবাড়ি ও আসবাব! সব ক্ষেত্রেই। তিনি প্রায়ই বলতেন—যার ধারেকাছে যাওয়া যায় না, তিনি বড় মানুষ নন। খ্যাতি নিয়েও যে তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে রাখতে পেরেছিলেন, সেটা বোঝা যায়—তিনি রাজশাহীতেই স্থায়ীভাবে বাস করে গেছেন।
হাসানের একটি সংবেদনশীল মন ছিল। সে জন্যই তিনি সৃষ্টি করতে পেরেছেন ‘আগুনপাখি’, ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর মতো উপন্যাস এবং ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘পাতালে হাসপাতালে’সহ অজস্র যুগসৃষ্ট গল্প।
তিনি ছিলেন চিন্তাশীল ও প্রেরণাদায়ী মানুষ। মানুষের অন্তর্নিহিত মৌলিক সত্য আবিষ্কার ও তা প্রকাশ করেছেন নিজস্ব ভঙ্গির সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায়। হাসান সুশিক্ষক ছিলেন। তাঁর যেমন পাণ্ডিত্য ছিল, তেমনি তার প্রকাশভঙ্গি ছিল অসাধারণ। কঠিনকে সহজ করে বলা যেন হাসানের পক্ষেই সম্ভব ছিল।
উদার অন্তর ছিল তাঁর। দল-মত-সম্প্রদায়নির্বিশেষে তিনি সবার প্রতি আচরণে ছিলেন উদার। বিশেষ করে মানুষের বিরূপ অবস্থায়। এই মহৎ বাণী হাসান আজিজুল হকের কাছেই শোনা—‘মানুষের কাজ কী! ব্যাধি ক্ষুধায় মানুষকে কি বৈষম্য করা যায়?’
চরম অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন তিনি। শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে হিন্দুপ্রধান দেশ থেকে তিনি যে চলে এলেন মুসলিমপ্রধান দেশে, তাঁর পক্ষে হয়তো খুব স্বাভাবিক ছিল সাম্প্রদায়িক বা হিন্দুবিদ্বেষী হওয়া। কিন্তু সেরকমটি তিনি তো হননিই, বরং চরম অসাম্প্রদায়িকতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন তাঁর গোটা জীবনের কাজে। এ জন্যই তিনি স্বতন্ত্র; এ জন্যই তিনি খাঁটি মানুষ।
হাসান আজিজুল হক দান করতেন খুব। তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে অনেক অসহায় মানুষকে আসতে দেখেছি। তিনি কাউকে ফেরাতেন না। তাই তিনি যতটা ছিলেন পরিবারের, বাইরের হিসেবেও তিনি কম ছিলেন না। মানুষকে আপন করে নেওয়ার ব্যাপারে হাসানের জুড়ি ছিল না। তিনি একজন অসাধারণ অভিনেতা ছিলেন। নাটক যেমন লিখেছেন, তেমনি অনেক নাটকের নানান চরিত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকে তিনি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অনেক বড় অবদান রেখেছেন।
আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, ভাষাচর্চা ও দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে যে খরা বা বলা যায় বিপর্যয়কর অবস্থা চলছে, তাতে হাসান আজিজুল হকের বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বতন্ত্র জীবনচর্চা এবং তাঁর প্রভাবশালী সাহিত্য আমাদের দিশা দিতে পারে।
লেখক: সাংস্কৃতিক সংগঠক
কিংবদন্তি কথাকার হাসান আজিজুল হক বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য নাম। আজ জন্মদিনে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। খুব নিরাসক্তভাবে হাসানকে দেখা দরকার। হাসানের গন্তব্য ছিল উদার, স্পষ্ট ও দ্বিধাহীন। বাঙালির জন্য তিনি অসীম প্রেরণার উৎস। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা, মানে বাংলা ভাষাভাষী মানুষ আমাদের সাহিত্যে হাসানকে পেয়েছি। হাসান আজিজুল হকের লেখা পড়ে হয়তো অনেকেই তাঁকে চেনেন। আবার অনেকে চেনেনও না। তাঁর লেখার মধ্যে মানবিকবোধের পূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে। বলার বিষয় হলো, তাঁর ব্যক্তিগত জীবনেও সেই বোধের অস্তিত্ব সমানভাবে বিদ্যমান ছিল।
১৯৪৭-এ দেশভাগের কিছু পরে তিনি বর্ধমানের যবগ্রাম থেকে উদ্বাস্তু হয়ে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের খুলনায়। এসে কলেজে ভর্তি হন এবং রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বাম রাজনৈতিক দর্শনে বিশ্বাসী হাসান রাজরোষে কারাবন্দীও হন। পাকিস্তান আর্মির নির্যাতনে মারাত্মক জখম হন। এরই একপর্যায়ে তাঁকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে বলে কথা ওঠে। তখন তাঁকে বাধ্য হয়ে খুলনা ছেড়ে রাজশাহী কলেজে ভর্তি হতে হয়।
হাসানের প্রতিভার প্রকাশ ও বিকাশ তাঁর ছাত্রজীবন থেকেই ঘটেছে। চারদিকে যা কিছু দেখছেন, তা তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং সেখান থেকে রসদটুকু সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। আজকাল ছাত্ররাজনীতি এবং ছাত্র আন্দোলনের যে অসারতা ও কুৎসিত চেহারা দেখা যায়, হাসান আজিজুল হকের ছাত্র আমলে সেটা নিতান্তই কল্পনাতীত ছিল। অন্তত ছাত্রাবস্থায় অগাধ অর্থবিত্তের মালিক হয়ে যাওয়ার ঘটনা তখন ঘটেনি।
হাসান আজিজুল হক যখন সরকার বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথবা বিরুদ্ধ ছাত্রসংগঠনে কোনো অনিয়ম, অবিচার, অনৈতিকতা দেখেছেন, সঙ্গে সঙ্গে সংগত কারণেই তার প্রতিবাদ করেছেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই প্রতিবাদ কখনো লোকদেখানো বা হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছিল না। এ জন্য তাঁর অশেষ ভোগান্তি হয়েছে। তবু তিনি ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করেছেন। এসব কারণে দৌলতপুরের বিএল কলেজে পড়াকালীনই তিনি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হন।
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের কথা বলার ভঙ্গিও ছিল অতীব আকর্ষণীয়। মানুষকে যেন সম্মোহিত করে ফেলতেন তিনি। এই প্রতিভা অধিকাংশ লেখকের মধ্যে থাকে না। হাসানের ছিল অসম্ভব রসজ্ঞান। যেকোনো আড্ডা ও আলোচনায় তিনি প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন অবলীলায়। এ ব্যাপারে তাঁর জুড়ি পাওয়া দুষ্কর।
একটি মজার ঘটনা বলি। একসময় তিনি পরপর বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেলেন। সম্ভবত ‘আগুনপাখি’ প্রকাশ হওয়ার পর। এরকমই একদিন অধ্যাপক মহেন্দ্রনাথ অধিকারীসহ আমরা কয়েকজন সুহৃদ তাঁর পড়ার ঘরে আড্ডায় বসে আছি। অন্তত দুজন প্রকাশকের কাছ থেকে টাকা পাঠানোর ফোন পেলেন তিনি। তাঁর ইজি চেয়ারে দুলতে দুলতে হাসান বলতে লাগলেন, ‘বুঝলে, এই পুরস্কার আর টাকা পাওয়াটা কেমন যেন একটা বদভ্যাসে পরিণত হচ্ছে আমার।’ বলেই একগাল হেসে দিলেন।
দেখেছি, খ্যাতির অহংকার হাসানকে কখনো পেয়ে বসেনি। অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপন ছিল তাঁর। কি পোশাক, কি খাদ্য, কি ঘরবাড়ি ও আসবাব! সব ক্ষেত্রেই। তিনি প্রায়ই বলতেন—যার ধারেকাছে যাওয়া যায় না, তিনি বড় মানুষ নন। খ্যাতি নিয়েও যে তিনি নিজেকে সীমাবদ্ধতার ঊর্ধ্বে রাখতে পেরেছিলেন, সেটা বোঝা যায়—তিনি রাজশাহীতেই স্থায়ীভাবে বাস করে গেছেন।
হাসানের একটি সংবেদনশীল মন ছিল। সে জন্যই তিনি সৃষ্টি করতে পেরেছেন ‘আগুনপাখি’, ‘সাবিত্রী উপাখ্যান’-এর মতো উপন্যাস এবং ‘জীবন ঘষে আগুন’, ‘নামহীন গোত্রহীন’, ‘পাতালে হাসপাতালে’সহ অজস্র যুগসৃষ্ট গল্প।
তিনি ছিলেন চিন্তাশীল ও প্রেরণাদায়ী মানুষ। মানুষের অন্তর্নিহিত মৌলিক সত্য আবিষ্কার ও তা প্রকাশ করেছেন নিজস্ব ভঙ্গির সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায়। হাসান সুশিক্ষক ছিলেন। তাঁর যেমন পাণ্ডিত্য ছিল, তেমনি তার প্রকাশভঙ্গি ছিল অসাধারণ। কঠিনকে সহজ করে বলা যেন হাসানের পক্ষেই সম্ভব ছিল।
উদার অন্তর ছিল তাঁর। দল-মত-সম্প্রদায়নির্বিশেষে তিনি সবার প্রতি আচরণে ছিলেন উদার। বিশেষ করে মানুষের বিরূপ অবস্থায়। এই মহৎ বাণী হাসান আজিজুল হকের কাছেই শোনা—‘মানুষের কাজ কী! ব্যাধি ক্ষুধায় মানুষকে কি বৈষম্য করা যায়?’
চরম অসাম্প্রদায়িক মানুষ ছিলেন তিনি। শুধু মুসলমান হওয়ার কারণে হিন্দুপ্রধান দেশ থেকে তিনি যে চলে এলেন মুসলিমপ্রধান দেশে, তাঁর পক্ষে হয়তো খুব স্বাভাবিক ছিল সাম্প্রদায়িক বা হিন্দুবিদ্বেষী হওয়া। কিন্তু সেরকমটি তিনি তো হননিই, বরং চরম অসাম্প্রদায়িকতার স্বাক্ষর রেখে গেছেন তাঁর গোটা জীবনের কাজে। এ জন্যই তিনি স্বতন্ত্র; এ জন্যই তিনি খাঁটি মানুষ।
হাসান আজিজুল হক দান করতেন খুব। তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে অনেক অসহায় মানুষকে আসতে দেখেছি। তিনি কাউকে ফেরাতেন না। তাই তিনি যতটা ছিলেন পরিবারের, বাইরের হিসেবেও তিনি কম ছিলেন না। মানুষকে আপন করে নেওয়ার ব্যাপারে হাসানের জুড়ি ছিল না। তিনি একজন অসাধারণ অভিনেতা ছিলেন। নাটক যেমন লিখেছেন, তেমনি অনেক নাটকের নানান চরিত্রে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকে তিনি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অনেক বড় অবদান রেখেছেন।
আমাদের শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, ভাষাচর্চা ও দেশপ্রেমের ক্ষেত্রে যে খরা বা বলা যায় বিপর্যয়কর অবস্থা চলছে, তাতে হাসান আজিজুল হকের বৈচিত্র্যপূর্ণ স্বতন্ত্র জীবনচর্চা এবং তাঁর প্রভাবশালী সাহিত্য আমাদের দিশা দিতে পারে।
লেখক: সাংস্কৃতিক সংগঠক
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে