জিয়াউল হক, যশোর
যশোরে এক মাসের ব্যবধানে দুই দফায় চালের দাম বেড়েছে। এ সময়ে প্রকারভেদে চালের দাম পাইকারিতে বেড়েছে ২ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৪ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে সুগন্ধি ও পোলাও চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আড়তদারেরা বলছেন, অটো চালকল মালিকদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই সুযোগ নিয়েছে সিন্ডিকেটটি।
তেল, গ্যাস, ডাল, মাংস, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় যখন নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের, তখন যশোরের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লোকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
অনেককেই বাধ্য হয়ে নামতে হয়েছে ‘শর্টকাট লিস্টে’। তার পরও বড় অংশের সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন দৈনন্দিনের সাংসারিক চাহিদা মেটাতে।
যশোর বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা পবিত্র পাল জানান, এক মাস আগেও যশোরের বাজারে স্বর্ণলতা চাল প্রকারভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৪০ টাকায়। দুই দফায় দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়। ৩৫ টাকার হাইব্রিড জিএস বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। হিরা চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা। বিরি ২৮ জাতের চাল ৮ টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা, বিরি ৪৯ জাত ৯ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, বিরি ৫১ জাত ১০ টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা। সমপরিমাণ দাম বেড়েছে বিনা ৭ জাতের চালেরও।
পবিত্র পাল আরও জানান, ৫০ টাকা কেজির কাজললতা চাল দুই দফায় ১০ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৮ টাকার হাবু বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। বিরি ৮৭ জাত ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। প্রকারভেদে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়। ৫২ টাকার জিরা মিনিকেটের দাম এখন ৬০-৬২ টাকা। সমপরিমাণ দাম বেড়েছে কাটারিভোগেরও। ৭০ টাকার নাজিরশাইল ৮৮ টাকা, একই দামের মৌ জাত বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮২ টাকা। ক্ষীর কোণ ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, কালোজিরা ৯০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা।
আড়তদার আশিকুর রহমান বলেন, ‘মোটা চালের চেয়ে চিকন চালের দাম বেড়েছে তুলনামূলক বেশি। সম্প্রতি বাজারদর একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। আজ এক দামে কিনে নিয়ে আসছি, কাল আবার সেটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যেমন দামে কিনছি, লাভ রেখে তেমন দামেই বিক্রি করছি। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
ক্রেতা আদনান সিদ্দিকী বলেন, ‘এক মাস ধরে চালের দাম বেড়েই চলেছে। সবকিছুরই দাম বেশি। সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
শুভ রায় নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আগে পাঁচ–সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মাছ, মাংস, মসলা ও সবজি কিনলে সংসার চলত। সঙ্গে তিন হাজার টাকার চাল আর একটি সিলিন্ডার গ্যাস নিলেই হতো। অর্থাৎ ১২-১৩ হাজার টাকায় ৪ জনের নিম্নমধ্যবিত্ত একটি শহুরে সংসার চলে যেত। কিন্তু এখন আর এই টাকায় সংসার চলে না।’
যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ্বাস বলেন, ‘মূলত আমনের মৌসুমে মোটা জাতের ধানের চাষ বেশি হয়। চিকন জাতের ধান কম আবাদ হয়। যে কারণে চিকন জাতের চালের দাম তুলনামূলক বেশি বাড়ছে।’
সভাপতি সুশীল বিশ্বাস বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন অটো চালকল মালিকেরা। ধান ওঠার শুরুতেই তাঁরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে মজুত করেন। সেই মজুত থেকেই শুরু হয় তাঁদের কারসাজি।’
সুশীল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘অটো মিল মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। অন্যথায় চালের বাজার অস্থিতিশীল থাকবে।’
যশোরে এক মাসের ব্যবধানে দুই দফায় চালের দাম বেড়েছে। এ সময়ে প্রকারভেদে চালের দাম পাইকারিতে বেড়েছে ২ টাকা। আর খুচরা বাজারে বেড়েছে ৪ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত। তবে সুগন্ধি ও পোলাও চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
আড়তদারেরা বলছেন, অটো চালকল মালিকদের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে চালের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। অন্য দিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই সুযোগ নিয়েছে সিন্ডিকেটটি।
তেল, গ্যাস, ডাল, মাংস, পেঁয়াজসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়ায় যখন নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের, তখন যশোরের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে চালের দাম। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লোকেরা পড়েছেন চরম বিপাকে।
অনেককেই বাধ্য হয়ে নামতে হয়েছে ‘শর্টকাট লিস্টে’। তার পরও বড় অংশের সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন দৈনন্দিনের সাংসারিক চাহিদা মেটাতে।
যশোর বড় বাজারের খুচরা বিক্রেতা পবিত্র পাল জানান, এক মাস আগেও যশোরের বাজারে স্বর্ণলতা চাল প্রকারভেদে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৭ থেকে ৪০ টাকায়। দুই দফায় দাম বেড়ে এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়। ৩৫ টাকার হাইব্রিড জিএস বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকায়। হিরা চাল ৩৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪৬ টাকা। বিরি ২৮ জাতের চাল ৮ টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা, বিরি ৪৯ জাত ৯ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকা, বিরি ৫১ জাত ১০ টাকা বেড়ে ৫৬ টাকা। সমপরিমাণ দাম বেড়েছে বিনা ৭ জাতের চালেরও।
পবিত্র পাল আরও জানান, ৫০ টাকা কেজির কাজললতা চাল দুই দফায় ১০ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৪৮ টাকার হাবু বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়। বিরি ৮৭ জাত ১২ টাকা বেড়ে হয়েছে ৬০ টাকা। প্রকারভেদে ১০ থেকে ১২ টাকা বেড়ে বাসমতি চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকায়। ৫২ টাকার জিরা মিনিকেটের দাম এখন ৬০-৬২ টাকা। সমপরিমাণ দাম বেড়েছে কাটারিভোগেরও। ৭০ টাকার নাজিরশাইল ৮৮ টাকা, একই দামের মৌ জাত বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮২ টাকা। ক্ষীর কোণ ৮৫ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, কালোজিরা ৯০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩৫ টাকা।
আড়তদার আশিকুর রহমান বলেন, ‘মোটা চালের চেয়ে চিকন চালের দাম বেড়েছে তুলনামূলক বেশি। সম্প্রতি বাজারদর একেবারেই নিয়ন্ত্রণহীন। আজ এক দামে কিনে নিয়ে আসছি, কাল আবার সেটির দাম বেড়ে যাচ্ছে। আমরা যেমন দামে কিনছি, লাভ রেখে তেমন দামেই বিক্রি করছি। এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই।’
ক্রেতা আদনান সিদ্দিকী বলেন, ‘এক মাস ধরে চালের দাম বেড়েই চলেছে। সবকিছুরই দাম বেশি। সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।’
শুভ রায় নামের আরেক ক্রেতা বলেন, ‘আগে পাঁচ–সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মাছ, মাংস, মসলা ও সবজি কিনলে সংসার চলত। সঙ্গে তিন হাজার টাকার চাল আর একটি সিলিন্ডার গ্যাস নিলেই হতো। অর্থাৎ ১২-১৩ হাজার টাকায় ৪ জনের নিম্নমধ্যবিত্ত একটি শহুরে সংসার চলে যেত। কিন্তু এখন আর এই টাকায় সংসার চলে না।’
যশোর চাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশীল বিশ্বাস বলেন, ‘মূলত আমনের মৌসুমে মোটা জাতের ধানের চাষ বেশি হয়। চিকন জাতের ধান কম আবাদ হয়। যে কারণে চিকন জাতের চালের দাম তুলনামূলক বেশি বাড়ছে।’
সভাপতি সুশীল বিশ্বাস বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরেই ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন অটো চালকল মালিকেরা। ধান ওঠার শুরুতেই তাঁরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনে মজুত করেন। সেই মজুত থেকেই শুরু হয় তাঁদের কারসাজি।’
সুশীল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘অটো মিল মালিকদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই ধান-চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। অন্যথায় চালের বাজার অস্থিতিশীল থাকবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে